[সামহোয়ারিনে কেউ নাটক লিখেছেন বলে মনে পড়ে না। অবশ্য এখানে নাটকের মাঝেই আমাদের বসবাস। আমার নতুন গোঁফ ওঠা স্কুল কলেজ মিলিয়ে জীবন নিয়ে নাটকের এ ক্ষুদ্রপ্রয়াস। আপনার উৎসাহ দিলে কাজ এগোবে।]
চরিত্র পরিচিতি:
কাষ্ঠু বশির: সারাবছর ধরে অ্যাজমা রোগী বশির সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই। কথা বলতে গিয়ে অ্যাজমার তোড়ে কোন বাক্য সে কখনো সম্পুর্ন করতে পেরেছে বলে মনে পড়ে না।
:> ধান্দা সাদিয়া: ধান্দাবাজিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী সাদিয়া আলম। উপর কেলাস নিচের কেলাস মিলাইয়া এমন কোন পোলা নাই, সাদিয়া যারে ঘুরায় নাই। সে কাউকেই না বলে না, সবাইকেই ঝুলাইয়া রাখে। প্রাপ্তিস্বরূপ উপহারে উপহারে তার রিডিং রুম ভরে ওঠে। ছিল দিতেও ওস্তাদ মাইয়া। এ যাবতকালে তাকে আড্ডার বিল দেয়া দুরে থাক, নিজের রিক্সা ভাড়া দিতে দেখা যায় নাই।
:-& চউরা ছরোয়ার: হালায় কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী। সকাল বেলা ফজরের আজানের লগে লগে চরে গিয়া কাম সারতো।
ফজু রাজাকার: আব্দুর রাজ্জাক ফজলের নাম কিভাবে ফজু রাজাকার হইল আমার জানা নেই। সে খুবই মিষ্ট এবং স্বল্পভাষী। তবে একে ওকে তলে তলে তাল দিয়ে আখের গোছানোর বদনাম তার ভালোই আছে।
ছাগল শামীম: তার বৈশিষ্ট্য সবসময় মাথায় ক্যাপ পরে থাকতে হবে। কেউ কথা বলতে গেলে তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আগ বাড়িয়ে কথা বলা শুরু করে। দুর্ভাগ্যক্রমে তার কথাবার্তা চিন্তাভাবনা সবকিছুই ছাগলামির পর্যায়ে পড়ে। ছাগল শামীম নামটা তাই অবধারিতভাবেই তার।
চিপা শাওন: এইডা এক বড়লুকের আদুরে মাইয়া, যাকে বলে এক্কেরে মিচকা শয়তান। উপরে উপরে ভাজা মাছ উলটাইয়া খাইতে জানে না, ভিতরে ভিতরে শয়তানির জম। এর কথা ওরে কয়, ওর কথা এরে কইয়া ঝগড়া লাগাইয়া দূর থাইকা দেখে আর মজা লয়।
মামা আইজুদ্দি: এইডা হলো গিয়া আজিম শিকদার। বয়সের তুলনায় গম্ভীর মানুষ। মাঝে ছেকা খাইয়া এক্কেরে বেহাল অবস্থা। মামা নাম আগেই ছিলো, ছেকা কেসের পরে নামের সাথে আইজুদ্দি যোগ হইছে।
পেটকা হারামি: বিরাট ভুড়িওয়ালা গোঁফেল নিযামী চুড়ান্ত বদমাশ। তার বাবাময়ের সাথে তেমন বনিবনা নাই। হারামি শব্দটার উৎপত্তি সেখান থেকেই। তবে সামনা-সামনি কেউ সে কথা বলি না। বলি যে আদর করেই তাকে হারামি বলা হয়।
খাড়া রোকন: এইডা আমি স্বয়ং। উচিত কথা কই। তার উপরে মুখ খারাপ। সুশীল গ্রামার মানি না।
[নেক্সট পর্বে দুই অংক থাকবে।]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৯