-এই মেয়ে!কি হয়েছে তোমার?
-তুমি তো জানো কি হয়েছে,তাহলে জিজ্ঞেস করো কেন?
-তবুও তুমি বলো,তোমার মুখ থেকে শুনতে চাঁই,
-আমার মুখ থেকে শোনা আর তুমি নিজে বলার ভেতর তো কোনও পার্থক্য নাই। আমি ই তো তুমি
-আমি তুমি হই,আর তুমি আমি হই না কেন,কি হয়েছে এটা বলো। তুমি কি চাও বলঅ,আমার সাথে বলো। তাহলে হাল্কা লাগবে।
-নিজের সাথে নিজে বললে হাল্কা লাগে?
--লাগে লাগে। বলে ফেলো নিজের সাথে নিজে কথা বলার উপকারিতা অনেক। তা জানো?
-হইসে। তোমার আর গান দিতে হবেনা!
-অভিমান করতেছ! কার সাথে?তোমার নিজের সাথে!হা হাহা!
-ধ্যেত্!বড্ড জ্বালাও তুমি। এখন যাও। আমার ভালোলাগছেনা।
-এজন্যই তো তোমার সামনে এলাম জানতে। আমাকে বলো।ভাললাগবে..
-হুম। . আচ্ছা শোনো,আমার কিছুই ভালোলাগেনা । কার সাথে মিশতে ভালোলাগেনা,কথা বলতে ভালোলাগেনা।কিছুই ভালোলাগছেনা । .
-কখনো খুজে দেখেছো কি ভালোলাগে তোমার?কি করলে ভালোলাগে?কি করলে ভালোলাগবে?
-উহু,সেটাও বুঝতে পারছিনা।যে আমার কিসে ভালোলাগবে!
-ভেবে দেখো আরো গভীর ভাবে।আসলে কি চাও তুমি।
-আমি যেটা চাঁই,সেটা কখনো হবেনা আমি জানি,তাই আর কিছুই চাইনা এখন। শুধু একটু স্বাভাবিক হতে চাঁই।
-তো স্বাভাবিক হোউ,কেনো মন মরা হয়ে থাকো সবসময়?
-মন মরা কিনা জানিনা,কিন্তু এটা বুঝি,যে আমি আমার মন কে নিয়ন্ত্রণ কর তে পারিনা। অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু তেই পারিনা!আচ্ছা বলতো,মন তো আমাদের দেহের ই একটা অংশ। তাহলে এটা আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে কেন?এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে কেন?নিজের কথামতো মন কে চালাতে পারিনা কেন?মনে হয় যে আমরা মন কে নিয়ন্ত্রণ করিনা।মন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে
-হাহাহা!তাঁরো মানে তুমি কিই তোমার মনের কাছ থেকে ভাগতেছো?
-হু,আমার মন টা বড্ড নাছোড়বান্দা!আমার একটাও কথা শোনেনা,কতো বোঝাই,ওরে!যাসনে আর ওদিকে,মনে করিস ন্যা আর কিছু। কিন্তু অবুঝ মন কথাই শনেনা। বারে বারে আমাকে অধিকে নিয়ে ওদিকে আমি যেতে চাইনা,ওদিকে নিয়ে যায়!মনে হয় আমার ভেতরেই আরেকটা সত্তা,আরেকটা প্রান থাকে!আমি যে কি করি এই অবুঝ মন নিয়ে!
-মন কে মন দিয়ে বোঝাও,নাহলে মন কে ঢেকে রাখো। এত বেশি ভাবও কেন যে সবসময়!কিছু ভাবনা ছেড়ে দাও তোমার মনের উপর!অরেও একটু কাজে লাগাও। তুমি চুপচাপ থাকো,তোমার মন কে ভাবনার জগতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে বিশ্রাম নাও।যখন কনো কিছু আমাদের হাতে না থাকে তখন সেটা সময় এর উপর ছেড়ে দিতে হয়!