হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ছে।নিড়ীহ সাধারণ ছাত্র ।হলে থাকে । সামনে পরীক্ষা কিন্তু বিদ্যুতের জন্য লেখাপড়ায় মন দিতে পারছে না ।বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই । তার উপর অসহনীয় গরম আর পানির সঙ্কট দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে ।সব জিনিসেরই দাম বাড়তি ।নিজে টিওশনি করে আগের মত আর লেখাপড়ার খরচ জোগান দিতে পারছে না । সংশারের টানাপোরনের কারনে বাড়ি থেকে বাড়তি টাকা আনাও সম্ভব নয় । এমতাবস্হায় এক রাতে সে নিজ রুমে বসে পড়ছিল কিন্তু পাসের রুমে অবস্হানরত ছাত্রলীগের কিছু ছেলে সেখানে বসে জুয়া খেলছিল আর বিশ্রী গন্ধযুক্ত সিগারেট খাচ্ছিল (সম্ভবত গাঁজা পরে জানা যায়)।পাশের রুমের জুনিয়র ছেলে তাই সে ভাবলো গিয়ে ওদের আস্তে কথা বলতে বলি ।কিন্তু সেই ভাবনাটা যে ছিল মস্ত বড় ভুল তা সে কল্পনাও করতে পারে নি । সেই রাতে অনেক কিছুই ঘটলো ...।
এর এক ' মাস পর... হাসান এখন মোটামুটি সুস্থ ।পরীক্ষাও খুব কাছাকাছি চলে এলো , কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগে দু গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে আটককৃত এক ছাত্রকে মুক্তি দিতে রাজি না হওয়ায় শুরু হলো তান্ডব । তান্ডবে ধ্বংস হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আনেক মুল্যবান সম্পদ । অথচ ওরা এ তান্ডবকে সাধারনের কাছে গ্রহনযোগ্য করবার জন্য সামনে এনেছিল অন্য এক ইস্যু । যথারিতী হল লিভ । বাড়ির পথে হাসান । ঘটনা এখানেই শেষ নয় । দু 'দিনপর হাসান জানতে পারলো তার নামে মামলা হয়েছে । বুঝুন অবস্থা ক ' দিন আগে যে ছেলে মার খেয়ে আহত হয়েছে তার পক্ষে কি তার পরিবারকে বুঝানো সম্ভব যে সে কোন কিছুতেই জড়িত নয় । অতপর শত তিরষ্কার আর গ্লানি নিয়ে হাসান নিতান্তই মুষড়ে পরলো । অনেক টাকা পয়সা খরচ করে সে যখন মুক্ত হলো তখন সে পন করলো আর কখনই সে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে না । সব শেষে ঝামেলার পর এবার শুরু হলো পরীক্ষা । দু ' টো পরীক্ষার পর তৃতীয় পরীক্ষার আগের রাতে হঠাৎ শুরু হলো গন্ডগোল রাতের আঁধারে ছাত্রলীগ হামলে পড়লো প্রতিপক্ষ দলের উপড়, কেড়ে নিল তাজা প্রান । হাসান অতীত অভিজ্ঞতার জোরে পালিয়ে বাঁচলো ।
কিন্তু লুটপাট হয়ে গেল হাসানের সবকিছু এমনকি বাবার গায়ের গন্ধযুক্ত শেষ চিহ্ন শালটিও যেটা শুকলে সে তার মৃত বাবার অস্তিত্ব খুঁজে পেত । হাসান ভোর হবার জন্য অপেক্ষা করছে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



