somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়াও, খারাপ কি, ভালোই তো, বেগুন গাছের লগে দড়ি দিতে মঞ্চায়

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালোই তো! নিরাপদ হইয়া গেলাম। খারাপ না। কেমনে নিরাপদ হইলাম নিজেও জানি না। ভালোই তো! খারাপ কি! আমার বাবার এক বন্ধুর কথা বলি। বাস্তব জীবনের সচিত্র কৌতুক।

ছোট থাকতে মানুষ কত কি না করে! আমার বাবার এক বন্ধু আছে। কি এক ঘটনায় জানি উনি মনে খুব কষ্ট পাইলেন। উনাদের বয়স তখন পাচ ছয় বছর। তা আমার সেই চাচাজান মনে কষ্ট পাইয়া ঠিক করলেন আত্মহত্যা করবেন। সেই জন্য তিনি একটা রশি নিলেন আর এক বদনা পানি নিলেন। পরে উনি বেগুন খেতে যাইয়া বেগুন গাছের সাথে রশি বাইন্ধা গলায় দড়ি দিলেন। উনি নিজের প্রতি নিজে এতটা নির্মম, তাই বলে বেগুন গাছ তো আর এত নির্মম হইতে পারে না। তাই উনি গলায় দড়ি দিয়া বেগুন গাছের নীচে শুইয়া শুইয়া মৃত্যুর অপেক্ষা করতে লাগলেন আর বদনার নল দিয়া পানি খাইতে লাগলেন কিছুক্ষন পর পর। সকালবেলা উনি দড়ি দিলেন কিন্তু বেলা গড়াইয়া বিকাল হইয়া গেল উনার আর আত্মহত্যা হয় না। উনি বদনার পানি খাইয়া শেষ কইরা গলায় রশি সহ ঘুমাইয়া গেলেন কোন ফাকে। হৃদয়বান বেগুন গাছ উনাকে সুশীতল ছায়া দিয়া আগলে রাখল। বালকের কষ্ট এই পৃথিবীর মানুষেরা না বুঝলেও বেগুন বৃক্ষ তাহা বুঝিল। সারাদিন খোজ না পাইয়া সবাই উনারে নানা জায়গায় ব্যাপক খোজাখুজি কইরা বেগুন গাছে নীচে গলায় দড়ি দেওয়া ঘুমন্ত অবস্থায় আবিষ্কার করিল। উনার পাশে খালি বদনাটি জীবনের অন্তঃসারশুণ্যতা বুঝাইতেই হয়ত খালি হইয়া বসিয়া ছিল।

পরবর্তীতে উনাকে অনেক বাবা সোনা ডাকিয়া আদর করিয়া এই জঘন্য আত্মহত্যার পথ হইতে সকলে অনেক চেষ্টা করিয়া ফিরাইয়া আনিল।

বালকের মনের দুঃখ কেউ না বুঝিলেও বেগুন গাছ বুঝিয়াছিল। আসুন আমরা সকলে বেগুন ভাজি খাই আর বলি,

হে বেগুন বৃক্ষ তুমি দিয়াছ জীবন
তুমিই বুঝিলে শুধু বালকের মন
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২০
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×