somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনসুর

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কষ্ট আর কষ্ট। অনেক সময় মাথা ধরে যায়, মাথায় হাত চেপে বসে থাকি। মগজের বহুল ব্যাবহারে মনে হয় মগজটার খুব ক্ষুদ্র কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেল। মানুষের অনেক সীমাবদ্ধতা। সে তার মগজের বাইরে যেতে পারে না।

তুষার পড়ছে। মনে হচ্ছে আকাশে অনেক শিমুল তুলা। সেই তুলা কেউ একটা চিকন বেত দিয়ে অবিরাম পেটাচ্ছে। খন্ড বিখন্ড তুলার মত তুষার মাটিতে পড়ে জমা হচ্ছে। মনে হচ্ছে অবিরাম এইভাবেই তুষার পড়তে থাকবে, শেষ হবে না।

মনসুর নামের একজনের সাথে কথা হয়েছিল বছরখানেক আগে। মনসুর শহরের পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত। এমনিতে এই শহরটা অনেক পরিচ্ছন্ন। তবুও মাঝে মাঝে রাস্তায় কিছু ছোট ছোট কাগজের টুকরা পড়ে থাকে, পড়ে থাকে সিগারেটের টুকরা। মনসুর সেসব কুড়ায়। ওর কাজের যন্ত্রপাতির মধ্যে আছে একটা বড়সড় কালো পলিথিনের ব্যাগ, একটা বেলচা যেটার হাতলটা কাঠের আর অনেক লম্বা, একটা লম্বা হাতলের ঝাড়ু। মনসুর সকাল হতেই এসব নিয়ে বের হয়ে পড়ে। মনসুরের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় আমার হোষ্টেলের সামনে, একদিন রাত দশটার দিকে। আমি আমার হোষ্টেলের সামনে সামান্য হাটাহাটি করতে করতে সিগারেট টানতে ছিলাম। সে আমাকে হঠাৎ করে থামিয়ে কথা বলতে শুরু করে। আমি প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না তার উদ্দেশ্য কি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো সে একটা সিগারেট চাইবে আমার কাছে। এই শহরটায় একটা সিগারেট সংস্কৃতি আছে। আপনি চাইলে পথের মধ্যে যে কাউকে থামিয়ে সৌজন্য সম্ভাষন করে একটা সিগারেট চাইতে পারেন যদিও সে আপনার পরিচিত নয়। কিন্তু মনসুর আমার কাছে সিগারেট চায় নি। সে নিছক আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলতে চেয়েছিল। আমি তাকে কথা বলার এক পর্যায়ে নিজ থেকেই একটা সিগারেট প্রস্তাব করলাম। সে আমার প্রস্তাব নাকচ করে নিজের পকেত থেকেই একটা সিগারেটের প্যাকেট বের করল এবং বলল সে এই ব্র্যান্ডের সিগারেট ছাড়া অন্য কোন সিগারেট খায় না। যেহেতু আমার সিগারেট অন্য ব্র্যান্ডের ছিল তাই সে আমার সিগারেট নিল না। সে তার নিজের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট ধরাল। আমার নিজের সিগারেট শেষ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে, আমি আরেকটা ধরালাম। আমরা উদ্দেশ্যহীনভাবে কথা বলতে লাগলাম নানা বিষয়ে। মনসুর আমার সম্পর্কে জানতে চাইল, বিভিন্ন প্রশ্ন করল। আমিও মনসুর সম্পর্কে জানতে চাইলাম। মনসুর আজারবাইজান থেকে এসেছে বহু বছর আগে এই শহরে। তার জীবনের বড় এক অংশ কেটেছে এই শহরে। সে তার অতীত জীবনের কথা বলা শুরু করল।

চলবে.........
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×