একদিন এক দোস্তের বাসায় গেলাম। দোস্তের লগে গল্প করতাছি উঠানে বইসা বইসা। এমন সময় দেখি একটা মোরগ একটা মরা টিকটিকি ঠুকরাইতাছে। মোরগটা ঠুকরাইয়া ঠুকরাইয়া টিকটিকিটা খাইতাছে। সাদা মরা ফ্যাকাশে টিকটিকি। লেজটা লম্বা হয়ে আছে। তা দোস্ত আমারে কইল, আমি এহন কি চিন্তা করতাছি জানস? আমি জিগাইলাম, কি? দুস্ত কইল, আমি চিন্তা করতাছি আমি ঐ টিকটিকিডারে কামড়াইয়া কামড়াইয়া খাইতাছি। তারপরে দুস্ত আমারে একই রকম চিন্তা করার আহবান জানাইল। দুস্ত আরও কইল, চিন্তা করার সময় মরা টিকটিকিডার দিকে তাকাইয়া তাকাইয়া চিন্তা করবি, নয়তো শক্তিশালী চিন্তা হইব না। আমি টিকটিকিডার দিকে তাকাইলাম। চিন্তা শুরু করলাম। প্রথমে একটু সমস্যা হইলেও পরে ঠিক হইয়া গেল। এরপরে আমি অনেক জিনিস যেমন ব্যাঙ, সাপ ইত্যাদির দিকে তাকাইয়া চিন্তা করছি যে আমি ঐগুলা খাইতাছি। বিশেষ কইরা সবুজ সবুজ মোটা ঠ্যাং ওয়ালা কোলা ব্যাঙ এর ঠ্যাং ছিড়া ছিড়া খাইতাছি, ব্যাঙের সবুজ চামড়া চাবাইতাছি, পায়ের আঙ্গুল চিবাইতাছি এইসব চিন্তা করছি।
ইউটুবে মধ্যে মধ্যে ভিডিও দেহা যায়, এক গোখরা সাপে আরেকটা সাপ গিলা খাইতাছে। একটা লম্বা সাপে আরেকটা লম্বা সাপ একটু একটু কইরা গিলা খাইতাছে। ভাইবা দেখলাম খারাপ না। এমন অনেক পাবলিক আছে, জ্যান্ত সাপ গিলা খাওয়ার খেলা দেখায়। পরে আবার সেই সাপ উগলাইয়া দেয়। মানুষই যদি পারে তাইলে সাপের আর দোষ কি!
কমান্ডো বাহিনীতে নাকি সাপ ব্যাঙ গিরগিটি খাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঐ ব্যাটারা বাস্তবে খাইতে পারলে আমার চিন্তা করতে দোষ কি!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৫