somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভেঙ্গানি পুষ্ট

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুশীল সাহিত্যমনারা ফাকে যান। অভদ্র, অশিক্ষিত লুকজন আসেন।

দিন দিন মনটা বিকৃত হইয়া যাইতাছে। খালি হাসি আসে। একটা হিন্দি গানের ভিডিও দেখলাম। মনে হইল এক আবাল আর এক আবালি হুদাই ব্যায়াম করতাছে আর ক্যাচ ক্যাচ করতাছে। হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ গানডা শুনতে আরম্ভ করলাম। হলুদ কথাডা মনে হইতেই গুয়ের রঙ মনে আইল। গানডা থিকা মনে হইতছিল গন্ধ বাইরাইতাছে। রাইতে বইলাম শরৎ নিয়া। পাগলের মত পড়তাম শরৎ। তার তারা দেবী অথবা চাঁদের দর্শনের কথা খুব ভালা লাগত। কিন্তু এ কি হইল আমার।

অরক্ষণীয়া
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মেজমাসীমা, মা মহাপ্রসাদ পাঠিয়ে দিলেন-ধরো।

কে রে, অতুল? আয় বাবা আয়, বলিয়া দুর্গামণি রান্নাঘর হইতে বাহির হইলেন। অতুল প্রণাম করিয়া পায়ের ধুলা গ্রহণ করিল। (খ্যাক খ্যাক)

নীরোগ হও বাবা, ( হা হা প গে, কি ডায়ালগটাই না দিল =p~ ), দীর্ঘজীবী হও ( আবার হা হা প গে, ফাইজলামী ছাড়া এই কথা বন্ধুবান্ধবরা ব্যবহার করি না )। ওরে ও জ্ঞানদা, তোর অতুলদাদা ফিরে এসেছেন যে রে! ( কাঠখোট্টা ভাষায় কথা কইয়া অভ্যাস, সে জায়গায় এই নাটকীয় ডায়ালগ শুইনা আবার হা হা প গে, "ফিরে এসেছেন যে রে", "যে রে, যে রে" ; খেক্স)

..................
.....................

এরপর দেহা যায় জ্ঞানদা আগে, মাথা হেট কইরা ঘাড়ের লগে লাগাইগা। কিন্তু ছেড়ির মনে মনে ঠিকই পিরীতের বাজনা বাজতাছে।

"কিন্তু একটু ভাল করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যাইত, যাবার সময়ে মেয়েটির চোখমুখ দিয়া একটা চাপা হাসি যেন উছলিয়া পড়িতেছিল"

খেক্স! পুলাপান সবসমই বজ্জাত। হেই আমলে মুবাইল থাকলে যে এই মাথা হেট ঘাড় বেকা জ্ঞানদা রাইতভর অতুল ছাগ্লার সাথে গেজাইত তা নিয়া কুন সন্দেহ নাই। তয় কথা হইল শরৎচন্দ্র কিন্তু একটু ভাল করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যাইত এই কথাডা কৈল কেন। বেটায় কি ওইহানে খাড়াইয়া খাড়াইয়া দেখতে আছিল নাকি পিরীতের কাহিনী। সাহিত্যিকের তৃতীয় নয়নের গুষ্টি কিলাই। নাকি বেটা নিজেই অতুল। অবশ্য কথাসাহিত্যিকের পথের দাবীতে উনারে বার্মাতে চিড়া চাবাইতে দেখা গিয়াছিল।

"আবার শুধু মেয়েটিই নয়। এদিকে একটুখানি নজর করিলে চোখে পড়িতে পারিত, এই সুশ্রী ছেলেটিরও মুখের উপর দিয়া একটা চাপা হাসি যেন উছলিয়া পড়িতেছিল"

হা হা প গে আবার। লুইচ্চা হাসিরে কয় চাপা হাসি। খাইয়া দাইয়া কাম নাই আর। চিন্তা করলাম শরৎচন্দ্রের কি ভূত মাথায় চাপছিল যে অতুলরে সুশ্রী বানাইয়া দিল আর জ্ঞানদারে সাধারন বানাইল। এক কাজ করা যাইতে পারে। নায়িকারা হৈব রুপসী, ফুপসী, ভুপসী, ঘুপসী ইত্যাদি ইত্যাদি।

ও হ্যা আসল হাসির জিনিসটাই তো কৈনাই। নাম একখান হোইচে বটে। জ্ঞানদা। কেমন জানি জ্ঞানদান জ্ঞানদান ভাব আছে। হে পৃথিবীর জনসংখ্যা তুমাদের এখন জ্ঞান্দান করা হৈবে। তুমরা থালাবাটি নিয়া বস।

এরপরে দুষ্কের কাহিনী। শরৎচন্দ্রের সেই মমতাময়ী নারী চরিত্র। এই মহাবিশ্বের যত কষ্ট আছে সব নারীদের ঘাড়ে চাপাইয়া বেটা একধরণের লৈখিক নির্যাতন চালাইছে নারীদের উপর। শরৎচন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বেটা শুধু নির্যাতন কইরাই ক্ষান্ত দেয় নাই, কুটিলরুপে নারী চরিত্রের বহিপ্রকাশও ঘটাইছে।

আর পারতাম না লিখতে। গলা জ্বলতাছে।


মহান এই লেখকের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক, হলুদিয়া পাখির প্রতি ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৩
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×