somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমার গায়ে তারার গায়ের গন্ধ লেগে আছে

০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(দুনিয়ার কোনো ধর্ম নারী স্বাধীনতা স্বীকার করে না।)


প্রকৃতি নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে।যদিও প্রকৃতি নিয়ে আমার খুব বেশী কবিতা নেই।তবু মাঝ রাতে চাঁদ দেখতে দেখতে,দূরে নানান আলোর ঝলকানি ।বাতাসের শব্দ শুনতে শুনতে অনেক এলোমেলো লাইন চলে আসে মাথায়।কিন্তু কাগজ কলম নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করে না।এখন মনে রেখে দিব,কাল সকালে সময় মতো লিখে নিব।আশে পাশে কোথাও গান বাজছে-'আমার অনবকাশের উজান ঠেলে তোমাকে ঘরে আনতে চাই নে,যেদিন পালের হাওয়ায় তুমি আপনি আসিবে,সেদিন আগমনীর লগ্ন লাগবে...'।

আমি আপাতত চাই দুই বাংলা'র ঐতিহ্য আর ঊওরাধিকারের সম্পূর্ন পাঠ,তারপর অন্য কিছু ভাববো।অনেকেই আমার কথা বুঝতে পারে না।কিন্তু আমি জানি,আমাকে দেখতে দেখতে,জানতে জানতে ভালোবাসতে বাসতে উপলব্দি করতে পারবে।
'হিমি',প্রায়ই বলে,তুমি কী চাও?তোমার উপলব্দিকে অন্যের মধ্যে জারিত করা?তাহলে লেখ না কেন?তুমি কি সমাজ,রাষ্ট,দেশের দুরবস্তা পালটাতে চাও?তাহলে ঝাপিয়ে পড়ো না কেন?

সব মানুষেরই একটা আশ্রয় কেন্দ্র থাকা উচিত।আমার আশ্রয় কেন্দ্র হলো রবীন্দ্রনাথ এবং হিমি।আকাশের উদার আর নিলিপ্ত চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবি,হিমি ও কি এই মুহূর্তে চাঁদের দিকে একবার...।'হিমি' আমার কাছে প্রায়ই একটা কবিতা বার বার শুনতে চায়।কবিতা টি হলো-

"যতই আমি দূরে যেতে চাই
ততই আসি কাছে
আমার গায়ে তাহার গায়ের
গন্ধ লেগে আছে''।

জনবিরল রাস্তায় বিশাল আকাশের নীচে,বিকেলের নরম রোদে 'হিমি'র পাশে দাঁড়িয়ে থেকে আমার মনে হয়,এই নারী আমার নয়,কিন্তু 'হিমি'কে আমি হারাতে চাই না।বড় বেশী অভিমান আমার।অভিমান আমাকে রিক্ত করে দিয়েছে।আমি যখন খুশি 'হিমি'কে অনুভব করতে পারি-আবার কখনো সমুদ্রবেলায় সূর্যাস্তের মুখোমুখি এই নারী'কে হেঁটে যেতে না দেখলেও,সেই দৃশ্য শাশ্বত হয়ে থাকবে মনে।
এখন মানুষ কথায় কথায় ইন্টারনেট,মোবাইল,ফ্যাক্স,বিদেশী জিনিস,ল্যাপটপ,রমনীদের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে এতো তীব্র আর অশালীন সব পারফিউম।দিন আনি দিন খাই বাপের মেয়েও এখন নিয়মিত বিঊটি পার্লারে যায়,বড় বড় শপিং মলে ঘোরা ঘুরি করে,ডিসকোতে যায়,আমি যে এরকম লেকচার দিচ্ছি এই আমিই তো শালা পচানব্বই টাকা প্যাকেটের সিগারেট খাই,দিনে এক প্যাকেটের কম নয়,অর্থ্যাৎ মাসে উনএিশ শো টাকা।দু'শো টাকা এ পর্যন্ত কোনো সৎ কাজে ব্যয় করেছি?বিশ্বায়ন কপচাবো,সেয়ানা পাপীর মতো বুঝবো সব কিন্তু করবো না কিছুই।

মাথার দুই লক্ষ বিশ হাজার কিলোমিটার ওপরে চাঁদ জ্বলছে।গভীর রাত এখন।সময় হলো 'হিমি'র সাথে কথা বলার।ক্লিওপেট্রা আত্নহত্যা করেছিল কীভাবে জানো 'হিমি'?তার স্তনের বোঁটায় তীব্র সাপের দংশন সে নিজের ইচ্ছায় নিয়েছিল।ভাবা যায়?এন্টনির প্রতি ভালোবাসায়,এন্টনির মৃত্যুতে।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন না-"যেথা তার যতো ঊঠে ধ্বনি,/আমার বাঁশির সুরে সারা তার মিলেছে তখনি।"আমার ক্ষেএে সেটা তুমি,'হিমি'!
'হিমি'তুমি কি জানো,এলিজাবেথ টেলরের আটবার বিয়ে হয়েছে,তার মধ্যে রিচার্ড বার্টন কে দু'দুবার।এটা কি ভন্ডামী নয়?সত্য কথা বলতে কি-মানুষকে কোনো নিয়মে ফেলা যায় না।তার মস্তিষ্ক বস্তুটি তাকে নিয়ে খেলা করে।চেঙ্গিস খাঁ বলেছে,আমি হত্যা,হত্যা আর হত্যার দ্বারা পৃথিবীকে কবরের শান্তি নামিয়ে আনতে চাই।

আমার তেইশ বছরের জীবনটা প্রতিদিনের নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় বেশ কিছুটা বাঁক নিচ্ছে।'হিমি'র মতো নারীকে আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি।নারী তথা নারীর প্রতি ভালোবাসার এক অনন্যতা আছে যা,এযাবৎ আমি জানতাম না।

গতকাল বিকেল থেকে বোহেমিয়ান শব্দটা মাথার ভিতর ভন ভন করছে।বোহেমিয়ান শব্দটা একটু পরপর মাথার পিছনে নাঁচা-নাঁচি করছে।ডিকশনারীতে দেখলাম বোহেমিয়ান(Bohemiani) মানে, যাযাবর মানুষ।যারা স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায়।ভূপেন হাজারিকার সেই গান মনে পড়ে যায়-"পৃ্থিবী আমারে আপন করেছে,আপন করেছে পর...আমি এক যাযাবর...।"

(যা ভাবি,যা বুঝি,যা সত্য এবং যা জানি তা-ই লিখি ডরাই না।
"মায়ার জগতে সব মায়া নয়
যা কিছু দৃশ্যত,মনে হয়
পার্থিব জীবনে একবার
পরখ করাও দরকার"।)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×