somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (এক)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনুবাদ সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। অনুবাদ সাহিত্য নিঃসন্দেহে একটি শিল্পকর্ম। অনুবাদের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের গতিধারা ও রূপবৈচিত্র্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাই। এক কথায় অনুবাদের মাধ্যমে বিদেশি সাহিত্যের একটি সামগ্রিক রূপ প্রতিফলিত হয় নিজস্ব সাহিত্যে।

ইংরেজি সাহিত্য বলতে বোঝায় ইংরেজি ভাষায় রচিত সাহিত্য। কেবলমাত্র ইংল্যান্ডের লেখকদের সাহিত্যকেই এই বর্গের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা নয়। উদাহরণস্বরূপ, রবার্ট বার্নস ছিলেন একজন স্কটিশ, জেমস জয়েস ছিলেন আইরিশ, জোসেফ কনরাড পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ডিলান টমাস ছিলেন ওয়েলশ, এডগার অ্যালান পো ছিলেন আমেরিকান, ভি. এস. নাইপল ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভ্লাদিমির নবোকভ ছিলেন রাশিয়ান। কিন্তু এঁরা প্রত্যেকেই ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকের মর্যাদা পেয়ে থাকেন।

১। 'গ্রেট এক্সপেক্টেশন' লেখক- চার্লস ডিকেন্স। পিপ নামে এক ইংরেজ ছোকরার গল্প। তার বড়ো হওয়ার গল্প। সে অপরাধীদের সাহায্য করছে, নিজের ভালবাসার মানুষটাকে খুঁজছে, আবার এক বুড়ি বিধবাকে পুড়ে মরতেও দেখছে। তার নিজের জীবনের সবচেয়ে বড়ো আশাগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। উপন্যাসের শেষে দেখা যাবে, সে তার পুরনো প্রেমিকাকে খুঁজে পাচ্ছে।

২। 'দ্য আলকেমিস্ট' লেখক- পাওলো কোয়ালহো। অসাধারন একটা বই । জীবনটাকে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারার মত বই।সান্তিয়াগো নামে এক তরুন স্ব্প্নচারীর নিজেকে পাওয়ার গল্প বলা হয়েছে এখানে।

৩। 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট' ও 'থ্রি কমরেডস' লেখক- এরিখ মারিয়া রেমার্ক। প্রথমবার পড়ে চোখের পানি আর আটকিয়ে রাখতে পারিনি।পল বোমান নামক সতের বছরের এক কিশোর,রঙিন স্ব্প্ন দেখার যখন সময় তখন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ।লেখক বুঝিয়েছেন যে, হাজার বছরের সভ্যতাও মানুষের পশুত্বকে মুছে দিতে পারেনি।পল বোমার চরিত্রটার মাধ্যমে লেখক নিজের জ়ীবনের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাই ফুটিয়ে তুলেছেন।
যুদ্ধোত্তর জামার্নীর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে পা ফেলে চলেছে তিনজন প্রাক্তন সৈনিক।সমস্ত বিশ্বাস ভেঙে জেগে রয়েছে শুধু অটুট বন্ধুক্ত আর প্রেম।তাদেরই এক জনের অপ্রত্যাশিত অকুন্ঠ আত্নত্যাগের কাহিনী এই থ্রি কমরেডস।

৪। 'দ্য গডফাদার' লেখক- মারিও পুজো। এই উপন্যাস সম্পর্কে জানেননা এ রকম লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।আর যারা মোটামুট বইপত্র পড়েন, তাদের প্রায় সবাই উপন্যাসটি পড়েছেন।ভিটো কর্লিয়ানি আর তার পরিবারকে কেন্দ্র করে এর কাহিনি গড়ে উঠেছে।গডফাদারের সেই বিখ্যাত উক্তি-“প্রতিটা মানুষের জীবনেই এক সুনির্দিষ্ট নিয়তি থাকে”-এর মর্মার্থ মাইকেল কর্লিয়ানি চরিত্রটার মাধ্যমেই বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।পারিবারিক ব্যবসা থেকে দূরে সরে থাকতে চাইলেও নিয়তিই শেষ পর্যন্ত তাকেই গডফাদার বানালো।

৫। 'ট্রেজার আইল্যান্ড' লেখক- রবার্ট লুইস স্টিভেনসন। জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমূদ্র তীরের এক শহরে।সে ও তার মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে।একদিন সেই সরাই খানায় এসে উপস্থিত হয় এক বদরাগী মেজাজের ঝগড়াটে ক্যাপ্টেন।লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায় যা জিম এবং শহরের কিছু লোককে নিয়ে যায় এক দুঃসাহসিক অভিযানে।যেখানে তারা মোকাবেলা করে জলদস্যু ও বিশ্বাস ঘাতকদের।

৬। 'লা মিজারেবল' লেখক- ভিক্টর হুগো। জা ভালজা নামক এক হতভাগার জীবনের ঘটনা-দূর্ঘটনার কাহিনী। জা ভালজা চরিত্রটি ভিক্টর হুগোর এক অমর সৃষ্টি। এক টুকরো রুটির জন্য তাকে খাটতে হয়েছে ২০ বছরের জেল। বারবার জেল আর পালানোর মধ্যে কেটেছিল তার জীবন।

৭। 'আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী' উপন্যাসের ট্রাজেডী অনেক পড়েছি,তবে বাস্তব ট্রাজেডী যে গল্প-উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি কষ্টের তা আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী না পড়লে বোঝা যায় না।মাঝে মাঝে এই বইয়ের দুই-এক পাতা উল্টালেও মন বিষন্ন হয়ে ওঠে।

৮। 'কিস দা গার্লস' লেখক- জেমস প্যাঁটারসন। অনুবাদ করেছেন, অনীশ দাস। মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার মত একটি বই। এই গল্পে সিরিয়াল কিলার দুই জন। এক জন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সুন্দরী,বুদ্ধিমতী মেয়েদের অপহরণ করছে ক্রমাগত ভাবে। সে মেয়েদের কাছে নিজেকে বিশ্বপ্রেমিক ক্যাসানোভা দাবী করে। সে মেয়েদেরকে বন্দী করে রাখে তার গোপন আস্থানাই সেখানেই তাদের উপর চলে বিভিন্ন অত্যাচার ও বিভিন্ন খামখেয়ালী পরীক্ষা নিরীক্ষা। অপরজন লস-এঞ্জেলসে বর্ণনাতীত নৃশংস খুন করে সৃষ্টি করছে আতংক। দুই জনই খুবই প্রতিভাবান এবং কৌশলী খুনি তাদের পতিটি খুন হল পারফেক্ট ক্রাইম।

৯। 'থ্রী মাস্কেটিয়ার্স' লেখক- আলেকজেন্ডার দ্যুমা। ইতিহাস আশ্রিত অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখক হিসেবে তিনি খ্যাতি কুড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত লেখা ১ লাখ পাতার। তার লেখা উপন্যাসগুলো প্রায় ১০০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। যা তাকে ফরাসি লেখকদের মধ্যে বহির্বিশ্বে সবচাইতে বেশি পরিচিত লেখক করে তুলেছে। তার লেখা উপন্যাস অবলম্বনে প্রায় ২০০-এর কাছাকাছি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। উপন্যাসটির নায়ক দ্য আরতাঁনা, অ্যাথোস,পার্থোস এবং আরামিস। এই উপন্যাসটির ধারাবাহিকতায় আরো দুইটি গ্রন্থ রচনা করেছেন আলেক্সান্ডার দ্যুমা। এর মধ্যে একটি "ম্যান ইন দ্যা আয়রন মাস্ক" চরিত্রের কারণে বিখ্যাত দ্য ভিকম্‌তে ডি ব্রাগেলোঁ, বাংলায় যার অর্থ "দশ বছর পর"।

১০। 'শী' লেখক- হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড। সাদামাটা জীবনের মারপ্যাঁচে পড়ে যারা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চান, দুর্গম শহর, রাজপথ বা মিসরের পিরামিডের ভেতরের অপার রহস্যে সামিল হতে চান, তাদের জন্য হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড হচ্ছেন আশ্চর্য এক জাদুকাঠির নাম। ইচ্ছা হলে, এই লেখকের এই বই গুলো পড়ে দেখতে পারেন- ক্লিওপেট্রা, কিং সলোমন মাইনস, আল্যান কোয়াটারমেইন এবং আল্যান এন্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×