somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (নয়)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৮১। 'দি আদার সাইড অভ মিডনাইট' লেখক- সিডনি শেলডন। এটাকে কী বলবেন? থ্রিলার নাকি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া গ্ল্যামারাসের আড়ালে চাপা পড়া অন্ধকার এক জগতের বাস্তব প্রতিচিত্র? যেহেতু বইয়ের নাম "দ্যা আদার সাইড অফ মিডনাইট "এবং লেখক সিডনি শেলডন, সে হিসেবে সবাই থ্রিলারই বলবে। কিন্তু আমি এটাকে একচেটিয়া থ্রিলার বলতে রাজি নই। সামাজিক উপন্যাস? বলা যায়। রোমান্টিক উপন্যাস? সন্দেহ নেই! থ্রিলার? তা তো বটেই!

৮২। 'দ্য রানএওয়ে জুরি' লেখক- জুন গ্রিশাম। ওরা জুরির সদস্য বারোজন নারীপুরুষ। একটা বহু বিলিয়ন ডলার তামাক ক্ষতিপূরণ মামলার রায় বিবেচনার দায়িত্বে আছে ওরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দুই পক্ষের উকিল, জুরি, কনসালট্যান্ট, জুরির প্রতিটি সদস্যের উপর নজর রাখছে, চেষ্টা করছে নাক গলানোর। অনুকুল রায়ের জন্য যে কোন কিছু করতে পারে ওরা। কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক জানে আসল কথা, এই জুরিতে একজন লোক নেপথ্যে থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে, রায়টা আখেরে সেই ঠিক করবে।
দু’নম্বর জুরর হিসেবেই সে পরিচিত, যদিও তার একটা অন্য অতীত পরিচয় আছে এবং বাইরের একটা সুন্দরী মেয়ে তাকে সাহায্য করছে। এবং যখন একটা কর্পোরেট সাম্রাজ্য টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে, যখন একটি পরিবারের দুঃখকে পুঁজি করে উকিলেরা আখের গোছাতে ব্যস্ত তখন দু’নম্বর জুরর এর গোপন অতীত উঠে আসছে... লোভ আর দুর্নীতির চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে।

৮৩। 'কামিং অফ এজ ইন সামোয়া' লেখক- মার্গারেট মিড। এই বইয়ের লেখক ছিলেন একজন আমেরিকান সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ। তিনি 'সামোয়া'-তে গিয়েছিলেন ১৯২০-এ আমেরিকানদের যৌনতার উপর রিপোর্ট করতে। কিছু মেয়ে মার্গারেটকে তাদের বন্য যৌনতার অভিজ্ঞতার কথা বলে। মার্গারেট সেগুলো সত্যি ধরে নেয় যদিও সেগুলো ছিল বানানো কথা। একটি মেয়ে স্বীকার করে নেয় যে, তারা আসলে তার সাথে মজা করে এগুলো বলেছিলো। এর ফলে আমেরিকার নৃ-বিজ্ঞানিদের উপর ব্যাপারটা অনেক প্রভাব ফেলে।

৮৪। 'অ্যান্ড টু থিংক দ্যাট আই স ইট অন মালবেরি স্ট্রিট' লেখক- সস। ২৩ তম প্রকাশকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর হতাশ মনে বইটির পান্ডুলিপি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সস। এ সময়ই মেডিসিন এভিনউতে পুরোনো কলেজের এক দোস্তের সাথে দেখা। তার এই বন্ধুই আবার ভেনগার্ড প্রেসের ছোটদের বইয়ের সম্পাদক। পান্ডুলিপিটা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠলেন তিনি। ২০ মিনিট বাদে বই প্রকাশের চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন সস। এখন পর্য্ন্ত বইটির বিশটির বেশি সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছে।

৮৫। 'কনটিকি' লেখক- রেনাড ম্যাকনেলি। ১৯৫০ সালের কথা। লেখক মেকনেলি বইটি প্রকাশ করতে সম্মত হওয়ার আগে ২০ জন প্রকাশকের দুয়ারে ধরনা দিয়েছিলেন হেয়ারডেল। কিন্তু কেউই ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার দুর্দান্ত এই কাহিনী ছাপার যোগ্য বলে মনে করেন নি। প্রকাশের পরপর দুই বছর শীর্ষ দশ মননশীল বইয়ের তালিকায় ঠাই পায় এই বইটি। এ পর্য্ন্ত বিভিন্ন ভাষায় এর মুদ্রণ সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

৮৬। 'ভার্টিকাল রান' লেখক- জোসেফ আর গারবার। একবার ভাবুনতো হঠাৎ যদি পরিচিত পৃথিবীটা পাল্টে যায় আপনার, খুব কাছের মানুষগুলো যদি খুন করতে চায় আপনাকে, কেমন লাগবে আপনার? এমনই ঘটেছে বইটির কাহিনীতে। মাত্র একটি দিনের কাহিনী নিয়ে এমন উপন্যাস আর আছে কিনা মনে করতে পারছি না। অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ডেভ এলিয়ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পজিশনে কাজ করে একটি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে। সকাল হওয়ার সাথে সাথে নিঃতেজ নিউইয়র্ক সিটি জেগে উঠছে ধীরে ধীরে। প্রতিদিনের মত আজও ডেভ এলিয়ট সকাল সকাল তার অফিসে পৌছে গেলো। পঞ্চাশ তলা অফিসের ৪৫ তলায় সে বসে।

৮৭। 'দ্য টোয়াইলাইট' লেখক- স্টেফিন মেয়ার। ভিন্ন ধর্মী দুই চরিত্র -বেলা সোয়ান এবং এ্যাডওয়ার্ড কুলিন। বেলা আকর্ষণীয়া, সুন্দরী তম্বী তরুণী,কিন্তু এ্যাডওয়ার্ড সুদর্শন তরুণ ভ্যাম্পায়ার। এই অসম চরিত্রের দুই তরুণ-তরুণী, একে অপরের ভালোবাসার আবর্তে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। ফরকস্ নামক ছোট্র শহরে দু’জনের ভালোবাসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা এবং এক রহস্য।

৮৮। 'অন দ্যা রোড' লেখক-জন কেরুয়াক। লেখক জন কেরুয়াকের এই বইটি কৈশর এবং রক্ষণশীল ব্যক্তিদের জন্য নয়। অথবা কে জানে বইটি পড়ার পর হয়তো আপনিও এক জায়গায় আর থিতু হয়ে থাকতে চাইবেন না! অথবা দূর পাল্লার রাস্তায় ইশারা করে লিফট চাওয়ার ব্যাপারটাও পেয়ে বসতে পারে! বইটির বৈশিষ্ট্য মূলত কেরুয়াক এবং তার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী লেখক বন্ধুদের নিয়ে আমেরিকায় ছোট ছোট কিছু ভ্রমণ। আত্মজীবনী নির্ভর এই বইটিতে দুইজন বিবরণ দাতার পরিচয় পাওয়া যায়। সমস্ত পথে গান, কবিতা এবং ড্রাগের উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়াও ডিন মরিয়ার্টির জীবন এবং নারীদের প্রতি লালসা গল্পে একটি অসাধারণ গতি তৈরি করে।

৮৯। 'ম্যাডাম বোভারি' লেখক- গুস্তাভ ফ্লবার্ট। একজন চিকিৎসক নারীর জীবনের নানা বর্ণিল দিকগুলোর অসাধারণ উপস্থাপন উপন্যাসটিকে হৃদয়ছোঁয়া করেছে পাঠকদের কাছে। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজে নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গল্প উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে পাঠকদের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে যাওয়ার পেছনের আসল শক্তি।

৯০। 'জোনাথন লিভিংস্টোন সিগাল' লেখক- রিচার্ড বাখ। দ্রুতগতিতে উড়ে চলা একটি গাঙচিলকে নিয়ে লেখা বাখের ১০ হাজার শব্দের এই কাহিনী প্রকাশকের কাছে এতটাই অলাভজনক মনে হয়েছে যে ১৮ জন প্রকাশক এটি ছাপার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারপরেই ম্যাকমিলান বইটি ছাপতে রাজি হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকা বিক্রি ১৯৭২ সালে মাসের সবচেয়ে বিক্রীত বইয়ের সম্মান এনে দেয় তাকে। এভন বইটির পেপারব্যাক সয়স্করণ বিক্রি করে ১০ লাখ। ১৯৭৫ সাল পর্য্ন্ত এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয় ৭০ লাখ কপির বেশি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×