
মানুষের স্বপ্নের শুরুটা কোথায়?
বুকের গভীরে ইচ্ছা শক্তি কোথা থেকে আসে? শুনুন, স্বপ্ন আর ইচ্ছাশক্তির জন্ম আমাদের জন্মের সময়'ই আমরা নিয়ে আসি। সব মানুষ জীবনে সফল হতে চায়। আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোকই গরীব। বেশির ভাগই আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আমাদের কাছে বিরাট একটা অর্জন। আসলেও তাই। আপনি যে কাজ'ই করেন কাজকে ভালোবাসতে হবে। নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও যত্নবান হতে হবে। কাজের মধ্যেই জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন। জীবন একটা কঠিন ও লম্বা দৌড়। রাস্তা মোটেও সুন্দর বা মসৃন নয়। এই দৌড় আমরা নার্সারি ক্লাশ থেকেই শুরু করি। জীবনে সিরিয়াস না হয়ে সিনসিয়ার হওয়া বেশি দরকার। জীবনটাকে খুব কঠিনভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আমরা তো মানুষ। মেশিন নই। তবে একজন সফল মানুষ আরেকজন সফল মানুষকে হিংসা করবে না।
কবি বলেছেন- দেরী হোক, যায়নি সময়।
পরিশ্রমের তুলনায় ফল না পেলে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। মানব জীবনটা আসলে প্রতিযোগিতায় ভরা। কাজেই টিকে থাকতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। এবং ভুলেও হতাশ হওয়া যাবে না। নো নেভার। তবে এটা সত্য আমাদের দেশটা বৈষম্যে ছেয়ে গেছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। জীবনেও স্বপ্নপূরণ করতে চাইলে নানান বাধাবিপত্তি আসবেই। সেগুলো মোকাবেলা করার মানসিক ক্ষমতা নিজের মধ্যে ধারন করতে হবে। নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জাগাতে না পারলে ব্যর্থতা অতিক্রম করা কঠিন হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার ইচ্ছা ছিল আমার। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। সত্য কথা বলতে কি, আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আমার কিছুই ছিল না। আমি ভেবেছিলাম- একটু উদ্যোগ আর সাহস নিয়ে চেষ্টা করলে আমেরিকাতে পড়তে আসা কোনো ব্যাপারই হবার কথা না।
তুমি কী হতে চাও?
সরকারি চাকরিজীবী? ব্যবসায়ী? প্রকৌশলী? চিকিৎসক? নাকি সেনা কর্মকর্তা হতে? লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামা যাবে না। সীমাহীন পরিশ্রম করতে হবে। নিজের জীবন নিজেকেই অর্থবহ করে গড়ে তুলতে হয়। জীবনে সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে হলে তিনটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে- সময়, স্বাস্থ্য ও অর্থ। শক্তিশালী তারাই, যারা নিজে ভালো কাজ করে। আর যার কাজ সুন্দর তার সব সুন্দর। মানুষ মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্যতায় পায় তাদের কাজের মাধ্যমে। তুমি নিজেকে যতোটা অযোগ্য ভাবো আসলে তুমি ততোটা অযোগ্য না। শুধু মাত্র নির্বোধেরাই অন্যের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজের সময় নষ্ট করে। প্রশংসা গুলোর কথা মনে রাখো আর সমস্ত অপমান অবহেলার কথা ভুলে যাও। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য দরকার অদম্য প্রাণশক্তি, জীবনের প্রতি দরকার সীমাহীন ভালোবাসা। অসফল মানুষ স্বভাবতই কিছুটা হীনমন্যতাবোধে ভোগে, এবং সুযোগ পেলেই তার দুঃখ-কষ্টের কারণ অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়।
অন্যরা তোমাকে নিয়ে কী ভাববে বা বলবে এটা নিয়ে ভাবা বাদ দিতে হবে।
সৌন্দর্য্য ম্যাগাজিন পড়ার দরকার নাই। ওগুলো পড়লে নিজের চেহারাকে কুৎসিত মনে হবে, যেটা কখনোই সত্যি নয়। জীবনে অনেক বন্ধু হবে এবং হারিয়েও যাবে, কিন্তু কয়েকজন খুব কাছের বন্ধুর সাথে আপমার সবসময় একটা ভালো সম্পর্ক রাখা উচিৎ। কিছু সত্যকে চিরন্তন বলে মেনে নিতে হবে। দ্রব্যমূল্য সবসময় বাড়বে। রাজনীতিবিদরা সবসময় মিথ্যা বলবেই। বেশির ভাগ মানুষই কথা দিয়ে কথা রাখবে না। হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না। আপনিও একদিন বুড়ো হবেন। এবং যখন আপনি বুড়ো হবেন তখন আপনি অতীতের কথা ভেবে নস্টালজিক হবেন। কার উপদেশ গ্রহণ করছেন সেটা নিয়ে সজাগ থাকবেন। কিন্তু যারা উপদেশ দিতে আসেন তাদের ব্যাপারে ধৈর্যশীল থাকতে হবে। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে এটা ভেবে যে এই স্বপ্নের বেশিরভাগই পূরণ হবে। এবং সে অনুযায়ী প্রচুর প্রাণশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সে স্বপ্ন পূরণের জন্য।
জীবনটাকে উপভোগ করা শিখতে হবে।
আমাদের কাছে জীবনকে উপভোগ করা একটা ভালো চাকুরী এবং সন্তান লালন করার জন্য যথেষ্ট টাকা উপার্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের সব দুঃখ কষ্ট শুরু হয়েছে যেদিন বৃটিশরা আমাদের দেশ দখল করেছিলো। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশের মতো আর কোথাও নেই। আমাদের দেশের লোকদের দেশপ্রেম খুব কম। এদের সীমাহীন দুর্নীতি আর অসততা আমাদেরকে দিন দিন অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৭১ এ পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাদের গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো, আমরা আমাদের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে সে হায়েনাকে পরাজিত করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় প্রায় প্রতি বছর, সেই ধ্বংস্তুপ থেকে আমরা আবার উঠে দাঁড়াই।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



