১। কতটুকু পেলে জীবনটাকে নরম্যালি হাসিখুশি ভাবেই যাপন করা যায়?
আমার হিসেবে বেশি কিছু না। মাথা গোঁজার একটা ঠাই, ঘুমানোর সময় মাথা রাখার জন্যে একটা বই, তিন বেলা খাবার, দুই সেট পোশাক, সাবান, একটা প্লেট, একটা গ্লাস, একটা স্টোভ, একটা শীতকালীন চাদর। ব্যাস! জীবনে এইটুকু থাকলেই লাইফ নিয়ে চুড়ান্ত সুখী না হয়ে উল্টো দুঃখ করাটা একটা ভয়াবহ হাস্যকর ব্যাপার হয়ে যায়।
২। কবি ঢোল বাজানোর কাজ পায় এক মেয়ের দলে। সেই মেয়ে দিনে গান গেয়ে নেচে জীবন চালাতো আর রাতে দেহ বেঁচে। দলে বেহালা, হারমোনিয়া, বাঁশি বাজানোর লোকও ছিল। ওলাওঠাতে সেই মেয়ের মৃত্যু হয়। কাওকে না পেয়ে কবি একাই লাশ দাহ করে। কিন্তু এমন পাপিকে আগুন ছোঁয়ানো ছিল মস্ত পাপ। সবাই কবিকে বলে, তুমি এটা কি করলে? ভগবান যখন প্রশ্ন করবে তখন কি জবাব দেবে? কবি বলেছিল- কোন জবাব দিব না, মাথাটা নীচু করে চুপচাপ দাড়ায়া থাকবো। কবির কাছে আমিও শিখলাম নিরব বিদ্রোহ। যা আজো আমার পথ চলার পাথেও।
৩। অন্যের কথা মতো নিজের জীবনকে না গড়ে, অন্যের ইচ্ছা মতো নিজেকে পরিচালিত বা ব্যবহৃত না হয়ে নিজের মধ্যের গুপ্ত সম্পদের আহোরণই আপনাকে প্রকৃত মানুষ হতে সহায়তা করবে।বিখ্যাত হওয়ার চেয়ে ভাল মানুষ হওয়া বেশি কঠিন।
৪। শার্লক হোমস একজন গোয়েন্দা, আর প্রফেসর শঙ্কু একজন পাগলাটে টাইপের বিজ্ঞানী। মিসির আলি সম্পূর্ণ অন্য রকম। গোয়েন্দাও নয়, আর পাগলাটে টাইপের বিজ্ঞানীও নয়। মিসির আলি অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথার একজন যুক্তিবাদী মানুষ, যার জীবনের পথচলার সম্বল হলো লজিক। প্রফেসর শঙ্কুর জীবনের চালিকাশক্তি হলো বিজ্ঞান। মিসির আলির চালিকাশক্তি লজিক। তিনি লজিক দিয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করতে চান। কিন্তু কোনো কোনো সময় থমকেও যান, যখন দেখেন এমন বিষয় বা পরিস্থিতির তিনি মুখোমুখি হচ্ছেন, যা তিনি লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারছেন না।
৫। কৈশোরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "ভানুসিংহ ঠাকুর" ছদ্মনামে কয়েকটি কবিতা রচনা করেছিলেন। আধুনিক লেখক মণিশংকর মুখোপাধ্যায় তাঁর শংকর ছদ্মনামেই সর্বাধিক পরিচিত। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের বিখ্যাত চরিত্র লালমোহন গাঙ্গুলি "জটায়ু" ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন।
ছদ্মনাম ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য কোনো ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২