১। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো খুবই শখের একটা কাজ ছিল ছোটবেলায়। এ কাজে এত সিরিয়াস ছিলাম যে মাঝে মাঝে মাস শেষের দুই এক দিন আগেই কাজটি সেরে ফেলতাম। এখনও একাজটি অনেক আনন্দ নিয়ে করি। কোথাও যদি দেখি- মাস শেষ কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা উলটানো হয়নি, তখন খুব রাগ হয়। দায়িত্ব মনে করে নিজেই পাতা উল্টিয়ে দেই।
২। কোনো কিছুই সবটা পাওয়া যায় না । একটা ফলের খোসা আর আঁটি বাদ যায়, ফুলের সুগন্ধ কতখানিই তো ব্যয় হয়ে যায় বাগানের বাতাসেই । প্রত্যকেই তার জীবন থেকে কত কিছুই শেখে !
৩। রফিক সাহেব কিছু খরগোশ নিয়ে বাগানে বেড়াতে গেছেন। তার এক বন্ধু তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সে জিজ্ঞাসা করল, আপনার কয়টি খরগোশ? রফিক সাহেব একটি ধাঁধার মাধ্যমে উত্তর দিলেন, তিনি বলেন, “দুইটি খরগোশের ডানে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের বামে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের সামনে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের পিছনে দুটি খরগোশ।"
তখন তার বন্ধু সাথে সাথে উত্তরটি সঠিক ভাবে বলে দিলেন। বলুন তো রফিক সাহেব এর কয়টি খরগোশ? আর তার বন্ধুই বা এত দ্রুত উত্তর কিভাবে দিলেন?
৪। আহমদ ছফা অসংখ্যবার, অসংখ্য লেখায় বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তাকেও বলতে হয়েছিলো---"আজ থেকে অনেকদিন পরে হয়তো কোনো পিতা তাঁর শিশুপুত্রকে বলবেন জানো, খোকা, আমাদের দেশে একজন মানুষ জন্ম নিয়েছিলেন যাঁর দৃঢ়তা ছিল, তেজ ছিল আর ছিল অসংখ্য দুর্বলতা। কিন্তু মানুষটির হৃদয় ছিল, ভালবাসতে জানতেন। দিবসের উজ্জ্বল সূর্যালোকে যে বস্তু চিকচিক করে জ্বলে তা হলো মানুষটির সাহস। আর জ্যোৎস্নারাতে রূপালী কিরণধারায় মায়ের স্নেহের মত যে বস্তু আমাদের অন্তরে শান্তি ও নিশ্চয়তার বোধ জাগিয়ে তোলে তা হলো তাঁর ভালবাসা। জানো খোকা তাঁর নাম? শেখ মুজিবুর রহমান।"
আজ বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
৫। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে উত্তর-দক্ষিন, পূর্ব-পশ্চিম চারদিকে ৫টা মসজিদ। এক মসজিদ থেকে আরেক মসজিদে হেঁটে যেতে সময় লাগে ৩/৪ মিনিট। আশে পাশে আরও কম করে হলেও ৩৫টা মসজিদ আছে। প্রতিটা মসজিদ ৪/৫ তালা, বিশাল অবস্থা। শুক্রবার আর ঈদের দিন ছাড়া মসজিদের নিচ তালাই ঠিকভাবে ভরে না। আমার কাছে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, আশে পাশের দশটা মহল্লাতেও একটাও লাইব্রেরী নেই। কিছুদিন আগে পত্রিকাতে দেখলাম, ৫০০ মসজিদ নতুন করে নির্মাণ করা হবে। কই, কেউ তো বলল না- প্রতিটা এলাকায় একটা করে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখন বাংলাদেশের যেখানেই যাই মাইক বাজিয়ে মসজিদ নির্মান করার জন্য টাকা তোলে। এমন কি বাসে পর্যন্ত মসজিদ নির্মান করার জন্য টাকা তোলে। আর কত মসজিদ দরকার আমাদের?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬