somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১৪

২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাজারে মাছের অনেক দাম।
একটা দেড় কেজি ওজনের চাষ করা রুই মাছ দাম পড়ছে ৬শ' টাকার উপরে। বাজারে সব চাষের মাছ, তবু খুব বেশী দাম। চাষ করা মাছ খেতেও মজা লাগে না। তুলনামূলকভাবে দেখা যাচ্ছে গরুর মাংসের চেয়ে চাষ করা মাছের দাম বেশী। চিংড়ী, টেংরা, শিং বা মিনি মাছ ৬ শ' টাকা কেজি। আর গরুর মাংস পাঁচ শ' টাকা কেজি। মানুষ খেয়েপরে বাঁচবে কিভাবে? ডিমের হালি ১১০ টাকা। বাজারে সব ফার্মের মুরগী। ওরা মূরগীকে হাবিজাবি খাওয়ায়। আজকাল তো দেশী মূরগী তো আজকাল পাওয়াই যায় না। আর পেলেও এক জোড়া দেশী মূরগীর দাম হবে কমপক্ষে ষোল শ' টাকা। বাজারে গেলে আমার তো দম বন্ধ হয়ে আসে।

দেশী মাছ খেতে মন চায়।
চাষ করা মাছ আর ভালো লাগে না। ফার্মের মূরগীও ভালো লাগে না। সরকারের এসব দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শুধু রাস্তা, ব্রিজ আর রেল বানালে হবে না। ইদানিং ইলিশ মাছ খেয়েও আরাম পাওয়া যায় না। ইলিশ মাছেও গন্ডোগোল। মেয়ে (পরী) আর আমি বিরাট সমস্যায় পড়েছি। আমরা কোনো খাবার খেয়েই স্বাদ পাই না। নিশ্চয় এরকম সমস্যা শুধু আমাদের নয়। ঘরে ঘরে এই সমস্যা। এটা একটা বিরাট সমস্যা। সমাধান যে কি ভেবে পাই না। সেদিন আমরা ভাবলাম, অনেকদিন চাইনিজ খাই না। সবাই মিলে গেলাম চাইনীজ খেতে। অনেক খাবারের অর্ডার দিলাম। ঠিক স্বাদ পেলাম না।

দেশের আবহাওয়া গেছে নষ্ট হয়ে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিকে কুয়াশা। অনেক কুয়াশা। সকাল ৯টা না বাজতে বাজতে কুয়াশা গায়েব। শুরু হয় কড়া রোদ। প্রচন্ড রোদ। শরীরের চামড়া যেন পুড়ে যায়, জ্বলে যায়। সারা শরীর ঘামতে থাকে। এর মধ্যে কোনো কথা নেই, বার্তা নেই হুট করে শুরু হলো ধুলো ঝড়। রাতে শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। হায় হায় এরকম আবহাওয়া তো জীবনে দেখি নাই। আবহাওয়ার মতোন আচরন শুরু করেছে মানুষ। তারা দিনে এক রকম, রাতে আরেক রকম। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা। আসলে কেয়ামত খুব কাছে এসে পরেছে। এগুলো কেয়ামতের আলামত।

ঢাকা শহরের রিকশাওয়ালারাও পাগল হয়ে গেছে।
ত্রিশ টাকার ভাড়া চায় আশি টাকা। আশি টাকার ভাড়া চায় তিন শ' টাকা। মালিবাগ থেকে আমার বাসা পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ১৫/২০ টাকা। হেঁটে আসলে আমার দশ মিনিট সময় লাগে। সেদিন মালিবাগ থেকে রিকশায় করে বাসায় ফিরলাম। ২০ টাকা ভাড়া হলেও আমি ত্রিশ টাকা দিলাম। ভাবলাম গরীব মানুষ। তাছাড়া রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট। রিকশাওয়ালা বলল, চোখ মুখ খিচিয়ে বলল- চল্লিশ টাকা দিতে হবে। আমি বললাম, চল্লিশ টাকা না তোমাকে এক শ' টাকা দিব। তুমি চোখ মুখ এরকম করে কথা বললে কেন? ভাড়া ২০ টাকা তোমাকে আগেই আমি দশ টাকা বেশী দিলাম, ত্রিশ টাকা দিলাম। তুমি নিজেও জানো ভাড়া ২০ টাকা। এখন তুমি ইচ্ছা করে বদমাইশী করছো। আমি শান্তভাবে বললাম, তুমি এভাবে বলো- স্যার ভাড়া ২০ টাকা কিন্তু আপনি আমাকে একটু বেশী টাকা দেন, আমি দরিদ্র মানুষ। আমি দিব। দিনে এক শ' টাকার উপরে সিগারেট খাই আমি। কিন্তু তুমি বাজে আচরন করেছো। এই জন্য তোমাকে ত্রিশ টাকাও দেওয়া উচিত না। তারপরেও অবশ্য আমি রিকশাওয়ালাকে ৫০ টাকাই দেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৮
১৫টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×