somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বাংলাদেশ উন্নয়নে বিস্ময়

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি প্রায়ই চিন্তা করি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। দেশের ভবিষ্যতটা অনিশ্চিতের হাতে ফেলে দেওয়া যায় না। দেশের মানুষকেই দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হয়। এই ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়, সকলের স্বপ্ন এক হয় না, তাই নিয়েই যত বিপত্তি। প্রতি বছর দেশে নদী ভাঙ্গন চলছেই। হাজার হাজার ঘর বাড়ি পানিতে ঢুবে যায়। মানুষ থাকে খোলা আকাশের নিচে। প্রতি বছর একই ঘটনা। স্থায়ীভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। কেন? রাস্তায় জ্যাম। সমস্ত রাস্তায় জ্যাম। বাংলা মটর থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জ্যাম থাকে। এর কোনো সমাধান নেই। যুগ যুগ ধরে একই অবস্থা। আজও মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়। ফ্লাইওভার এর নিচে ছাপড়া ঘর তুলে থাকে। প্রতিটা রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভিক্ষুক। দেশের বেশির ভাগ মানুষই দরিদ্র। অল্প কিছু লোক ধনী।

দেশে বেকারের অভাব নেই। কোথাও চাকরীর সুযোগ থাকলে হাজার হাজার সিভি জমা পড়ে। দেশের সমস্ত বেকার যুবকেরা খুব কষ্টে আছে। যাদের ক্ষমতাবান মামা-চাচা আছে তারাই চাকরী পায়। বাকি সবাই ফক্কা। যদিও দেশে ধান কাটা লোকের বড্ড অভাব। মানুষের চাকরী নেই, হাতে টাকা নেই। তাই দিন দিন চুরী, ছিনতাই আর ডাকাতী আজও অব্যাহত আছে। অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে । ফুটপাত হকারদের দখলে। চাঁদাবাজি আজও চলছে। যুগ যুগ ধরেই চলছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেলেও ঘুষ, দূর্নীতি আজও বন্ধ হয়নি। কত মানুষ না খেয়ে থাকে। চিকিৎসা পায় না। অথচ এই দেশের নেতাদের মুখে সব সময় বড় বড় কথা। আসলে খালি কলস বাজে বেশি।

আজ মানুষ প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে একজন তরতাজা যুবকে মেরে ফেলে। হাতুড়ি দিয়ে হাড্ডি ভেঙ্গে দেয়। দেশে কিছু মানুষের সীমাহীন টাকা। এই টাকার উৎস কি? ফুটপাতে বাইক চালায়। উলটোপথে গাড়ি চালায়। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে রাখে। কেউ কোনো নিয়ম কানুন মানে না। আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। পুলিশকে এক শ' টাকা দিলেই হলো। পুলিশের ঘুষ অব্যহাত আছে যুগ যুগ ধরে। গত দশ বা বিশ বছর আগেও যেরকম অবস্থা আজও একই রকম অবস্থা। দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা পায় না। সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার মান খারাপ। দালাল আছেই, হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস এমন কি বেশির ভাগ সরকারী অফিসেও দালাল আছেই। আগেও ছিল। ট্রেড লাইসেন্স করাতে গেলে বাড়তি টাকা দিতে হয়।

সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়। যুগ যুগ ধরে একই অবস্থা। অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে নেশাদ্রব্য পাওয়া যায় না। নকল পন্য দিয়ে বাজার ভরা। দেশে যদি ভালো উন্নত মানের হাসপাতাল থাকতো তাহলে ধনী লোকেরা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেত? দেশে শিক্ষার মানও উন্নত নয়। বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুল গুলোতে। আজ থেকে বিশ বা কুড়ি বছর আগেও এরকম অবস্থা ছিল। আজও একই অবস্থা। তাহলে দেশ কিভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে ? কিভাবে উন্নয়নে বিস্ময় ? তবে যারা রাজনবীতি করে এবং যারা রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকে তাদের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এ কথা বিনা দ্বিধায় বলা যায়। সময় এখন তাদের।

ধনী লোকজন অনেক বড় বড় অপরাধ করে। কিন্তু তাদের জেলে যেতে হয় না। টাকার জোরে তারা বহু অপরাধ করছে। যদি দেশে সত্যিকারের অপরাধীদের ধরা হতো- তাহলে কারাগারে থাকতো শুধু ধনী লোকেরা। এখন কারাগারে আছে দরিদ্র মানুষেরা। দরিদ্র মানূষের টাকা নেই, তাই তাদের জেল খাটতে হয়। দেশের সমস্ত ক্ষমতাবান লোক হচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। এজন্য আজকাল সবাই রাজনীতির খাতায় নাম লেখাতে চায়। দেশকে ভালোবেসে কেউ রাজনীতি করে না। কিভাবে এরা রাজনীতিবিদ হয় আমার বুঝে আসে না! এদের তো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হবার যোগ্যতা নেই। এই সমাজের নিয়ম হলো বড় গলায় টাস করে একটা বড় মিথ্যা বলে দেওয়া। একটা মিথ্যা বার বার বললে, একসময় মিথ্যাটাকেও সত্য বলে মনে হয়।

দেশে যে সমস্ত পরিবর্তন গুলো খুব চোখে পড়ছে- পদ্মাসেতু হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, বেশ কিছু ফ্লাইওভার হয়েছে, হচ্ছে। অনেক বড় বড় শপিংমল হয়েছে। অসংখ্য লোক তাদের একতলা বাড়ি ভেঙ্গে দশ পনের তলা করেছে। বিশাল বিশাল এপার্টমেন্ট হয়েছে, হচ্ছে। অসংখ্য লোক গাড়ি কিনেছে, বাইক কিনেছে। তাদের বিদেশ ভ্রমন খুব বেড়েছে। কিছু লোক গ্রামে পর্যন্ত তিন তলা, পাঁচ তলা বাড়ি করেছে। কেউ কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, আবার কেউ কেউ পেট ভরে খেতে পায় না। কারো আলমারি ভর্তি জামা কাপড়, গহনা আবার কারো মাত্র একটাই জামা। মূলত ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো আয়, তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব বা এক জমিতে দুই ফসল দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান ইসরাইলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ আর আমাদের সুন্নী-শিয়া মুমিন, অ-মুমিন কড়চা।

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

(ছবি: © আল জাযীরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক)

শ্রদ্ধেয় ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু'র স্বাগতম ইরান পোষ্টটিতে কয়েকটি কমেন্ট দেখে এই পোষ্ট টি লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি গরীব মানুষ, লেখতে পারিনা। তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×