রোহিঙ্গারা আমাদের গলার কাঁটা হয়েই থাকবে?
রোহিংগাদের বর্তমান অবস্থা দেখে ভয় হচ্ছে। মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে এরা সমস্যা সৃষ্টি করবে। বড় ধরণের সমস্যা। এনজিও গুলোর মুল কাজই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা। আমেরিকা ও ইউরোপের আশ্রয়প্রার্থিদের মত রোহিঙ্গাদেরও পুরুষ-মহিলা ও শিশুদের আলাদা আলাদা ক্যাম্পে রাখতে হবে। প্রতিটা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে স্মার্ট ফোন এবং দেশিও অস্ত্রসস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। মায়ানমারের ভাব-ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, মায়ানমার এদের আর কোনদিনই ফেরত নেবেনা। তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারত ও চীনের ভুমিকা সম্পূর্ণ নেতিবাচক। তারা চায় রোহিঙ্গারা এ দেশের মূল জনস্রোতের সাথে মিশে গিয়ে এ দেশে থেকে যাক। অবশ্য ২০১৭ সালে, শিশু ও মহিলারা যেভাবে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো, বাধা দেয়া অসম্ভব ছিলো। এবং সীমান্ত থেকে ওদের পেছনে যাবার পথ ছিলো না।
আগামী দুই তিন বছরে তাদের সংখ্যা ১৬/১৭ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এইভাবে চলতে থাকলে কোটিতে গড়াতে বেশী সময় লাগবে না। আসলে আপনি বা আমি যতই আলোচনা করিনা কেন কিছুই হবেনা, কারণ যাদের এসব নিয়ে কিছু করার ক্ষমতা আছে তারাই তো অদক্ষ, অযোগ্য এবং অপরিণামদর্শী। বিনা দেইধায় বলা যায়- বিভিন্ন রকমের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়তই তৈরি হতে থাকবে এদেরকে ঘিরে। চীন নিজের স্বার্থ ছাড়া কখনো কারো বন্ধু রাষ্ট্র হয় না। চীনারা যেদেশে বিনিয়োগ করে সেই দেশ আর চীনা বলয় থেকে বের হতে পারে না। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ময়দানে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো যেকোনো সমস্যাতেই বাংলাদেশের একটি পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র আছে কি?
মায়ানমার আমাদের চেয়ে আয়তনে সাড়ে তিন গুণ বড়, লোক সংখ্যা ৩ গুণ কম। ওদের প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের থেকে বহু গুন বেশী, মাথাপিছু আয় অর্ধেকের কম। চীন সুযোগ মত তেল, গ্যাস, ও ভুমি নিয়ে ব্যবসা করছে। আমরা কি কাউকে এই সুযোগ দিয়ে নিজের পক্ষে আনতে পারবো? আমাদের পররাষ্ট্রনীতি বরাবরই নতজানু টাইপের। নিজের ঘর নিজেরা ঠিকমতো সামলাতে না পারলে তো পাড়া প্রতিবেশী টাউট মাস্তান এসে নাক গলাবেই, প্রভাব খাটাবেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান এজন্যই জরুরী। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজদের ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি, বিদেশী বিনিয়োগ এবং নিজেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঠিক থাকা প্রয়োজন যেটা আমাদের নেই। কেউ আজ এই বিপদের দিনে আমাদের পাশে নেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের কূটনীতি কতটা অসহায় সেটা আবারো প্রকটভাবে ফুটে উঠছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কুলের সংখ্যা দুইটি মাদ্রাসা মক্তব এর সংখ্যা উনচল্লিশটি। রোহিঙ্গারা জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ ও কনডম ব্যবহার করতে চায় না। এদেরকে এগুলি দেওয়া হলে তারা সেগুলি ফেলে দেয়। আমাদের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক হলো- রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তরিক ভাবে এখন পর্যন্ত কোন রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৮