১। আজ সকাল থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম-
আমি একটা অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি আর চারজন লোক এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। তারা সবাই কালো পোশাক পরা। চোখ মুখ ঢাকা। তাঁদের আমি চিনি না।
চারজন আমার সামনে এসে বললেন, সময় হয়ে গেছে, তুমি কলিংবেল বাজিয়ে দিয়েছ। তাই আমরা এসে গেছি।
আমি জিজ্ঞেস করলাম - আপনারা কে? তারা জবাব দিল না। তাঁরা আমাকে জোর করে হাত পা বাধতে লাগলেন, কালো কাপড় দিয়ে চোখ মুখ ডেকে দিল। তারপর একটা খাটে করে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে।
২। আমি যখন জীবনানন্দের কবিতা পাঠ করি তখন প্রতিটি লাইন পড়ে আমাকে থামতে হয়, বার বার থামতে হয়।
৩। কীর্তনখোলা নদী।
আমি আর সুরভি নৌকায় করে যাচ্ছি। নদী শান্ত। ঠান্ডা বাতাস। বাতাসে সুরভি'র শাড়ির আঁচল উড়ছে। মাঝি আপন মনে নৌকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর বিকেল।
আমাদের নৌকাটা যাচ্ছে নাম না জানা একটা গ্রামের পাশ দিয়ে। ছোট ছেলে-মেয়েরা নদীতে লাফা-লাফি করছে। একলোক তার মহিষকে গোছল করাচ্ছে।
হঠাত মুহূর্তের মধ্যে আকাশ ভরা মেঘ দেখা দিল। চারপাশ গাঢ় অন্ধকার হয়ে গেল। মাঝির মুখে আতঙ্ক। বলল, তুফান আইতাছে। প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।
আমরা দু'জন জানি না সাঁতার। আমি সুরভি'র হাত ধরলাম। আর কি আশ্চর্য, বিশাল এক ঢেউ এসে আমাদের নৌকাটা উলটে দিল। আমরা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
ঠিক তখন আমার ঘুম ভাঙল। দেখি, ঘুমের মধ্যে সুরভি আমার হাত ধরে রেখেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভোর সাড়ে চারটা। সুরভি'কে ঘরে রেখে আমি ছাদে গেলাম। অনেকদিন ভোরের আকাশ দেখি না।
৪। তিনি জেনিকে বিয়ে করেন। লেখার কারনে জার্মানি থেকে বিতাড়িত হবার পর প্যারিসে যান। সেখান থেকে লেখার কারনে বিতাড়িত হবার পর লন্ডন আসেন। এই লন্ডনে তিনি ছিলেন ৩০ বছর। তখন তাঁর সন্তান ছিল ৬ সন্তান। কাজের মেয়ের গর্ভেও জন্ম নিয়েছিল তাঁর এক সন্তান। খুব মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন তিনি। অতি দারিদ্রতায়, অপুষ্টিতে তাঁর ৪ সন্তান এবং স্ত্রী মারা যায়। এরপর তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আপনারা জানেন যে, আমি আমার জীবন বিপ্লবী কাজে উৎসর্গ করেছি। আমাকে যদি আমার জীবনটা আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়, তবে আমি যা করেছি তাই করতাম, তবে বিয়ে করতাম না!
বলুন, আমি কার কথা বলছি? আমি একটু সহজ করে দিচ্ছি- ১৮৮৩ সালের ১৪ই মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯