somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই সমাজ- ৬

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের গ্রামে একটা কথা আছে- ''ছোটলোকের পোলা যদি জমিদারি পায়, কানের আগায় কলম গুঁজে বাঈজি নাচায়।'' কথাটা কিন্তু সত্য। আশে পাশে তাকালেই এর সত্যতা পাওয়া যায়। তোমার মন ভরা কলুষতা থাকলে জীবনে তুমি কিছুই হতে পারবে না- এই সহজ সত্যটা অনেকেই বুঝতে চায় না। বিশেষ করে কবি সাহিত্যিক হওয়া তো একেবারে অসম্ভব। বাংলা সাহিত্য, বিশ্ব সাহিত্য সব গুলে খেয়ে ফেললেও তুমি সাহিত্যিক হতে পারবে না। আগে তোমাকে ভালো মানুষ হতে হবে। মন থেকে হিংসা বিদ্বেষ, কলুষতা, কুটিলতা, দালালি এবং চামচাগিরির মানষিকতা সব একেবারে মুছে ফেলতে হবে। মূখোশ পড়ে আর কতদিন বন্ধু!

আরেকজনের ভালো দেখলে তোমার কেন কলিজা জ্বলে?
কেন তুমি শুধু তোমার নিজের উন্নতি চাও? কেন তোমার শুধু নিজেকে যোগ্য মনে হয়? নিজে তো চামচামি আর দালালি করে ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা জমাচ্ছো। যে তুমি আলু ভর্তা আর ডিম বাজি দিয়ে ভাত খেয়ে বড় হলে- আর এখন তোমার ভালো ভালো খাবার ছাড়া চলেই না। ঠিক আছে, তুমি ভালো ভালো খাবার খাও, ভালো ভালো জামা পড়ো কিন্তু আরেকজন ভালো খাবার খেলে বা ভালো জামা পড়লে তোমার কেন কলিজা জ্বলে? তোমাকে যে কেউ পছন্দ করে না, বরং সবাই ঘৃণা করে তা কি বুঝ না? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করো। একজন এইডস রোগীকে আমি ঘৃণা করি না। তোমাকে ঘৃণা করি।

আমি কাউকে কোনোদিন লাথথি দেইনি তার মানে এই না যে আমি লাথথি দিতে জানি না। তুমি কেন তোমার অতীত ভুলে যাও? তোমার মা মানুষের বাসায় কাজ করে তোমাকে বড় করেছে সে কথা কেন তুমি ভুলে যাও! নিজের জন্মদাতা বাপকেও তুমি এত ভালোবাসো না- কিন্তু অন্য এক ব্যাটাকে বাপের চেয়ে বেশি ভালোবাসো। আসলেও তাকেও ভালোবাসো না, কিন্তু দেখাতে চাও তাকে অনেক ভালোবাসো। তোমার লজ্জা করে না। তোমার বাপ তো নারীঘেষা নয়, তুমি কেন নারী ঘেষা? কত নারীকে তুমি ভালোবাসো বলে সর্বনাশ করেছো। সত্য কথা হলো- কোনো নারীকেই তুমি ভালোবাসো না। তোমার ভালো লাগে তাদের বুক। সিনেমা হলে সিনেমা দেখার নাম করে- তুমি কত মেয়ের বুক পিষে দিয়েছো। সন্ধ্যার পর কত মেয়েকে তুমি রিকশা করে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে হাতের ব্যয়াম করেছো। একবার তো এক মেয়ের ঠোট কেটে রক্ত বের হয়ে গেল। মনে আছে? এত যৌন ক্ষুধা কেন তোমার? তাহলে বিয়ে করছো না কেন? প্রকৃ্তি কাউকে ক্ষমা করে না। এই জন্য তোমার বোনকে অন্যলোক.....

অজ পাড়া গা আর দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে- আজ তুমি লেখাপড়া শিখেছো। এটা খুব বড় ব্যাপার। অনেকেই পারে না। তুমি পেরেছো। আজ তুমি দামি ফ্লাটে থাকো। ভেরি গুড। কিন্তু তোমার মন মানসিকতা যে আজও নর্দমার কীটের মতো। এখানেই সমস্যা। চেষ্টা করে দেখো না মানসিকতা বদলাতে পারো কিনা। তাহলে তুমি একজন ভালো মানুষ হতে পারবে। প্রথমে আমি তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম। কিন্তু যেদিন তোমার মূখোশ দেখে ফেললাম। আমি তো অবাক! বিশ্বাস করো তোমার মনের কলুষতা গুলো তোমার মুখে ভেসে উঠে। মানুষ যেমন হাজার চেষ্টা করলেও তার ভালো দিক গুলো লুকিয়ে রাখতে পারে না তেমনি হাজার চেষ্টা করলেও তার খারাপ দিক গুলো লুকিয়ে রাখতে পারে না। সব প্রকাশ হয়ে যায় তার চোখ, মুখ আর চালচলনে।

বুক ভরা হিংসা দাদালি আর কলুষতা নিয়ে তুমি সাহিত্যের দিকে হাত বাড়িয়েও না। দশ হাজার টাকা দিয়ে রবীন্দ্র রচনাবলী কিনলেও লাভ নেই। ভালো মানুষ না হলে- তুমি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা সাহিত্যিক হলেও লাভ নেই। তুমি কি জানো- মনে মনে তোমাকে আমি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করি। ১০০ বার অদৃশ্য ভাবে তোমার মুখে থু থু দেই। তোমাকে আমি ঘৃণা করতে চাই না। তোমাকে আমি এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। একদিন দেখি একলোক তোমাকে মা-মাসি তুলে অকথ্য ভাষায় বকা দিচ্ছে। কি যে শান্তি পেলাম আমি !

তোমার বোনকে তো শ্বশুর বাড়ি থেকে কান ধরে বের করে দিয়েছে- হয়তো তোমার পাপের কারণে। এখন হাজার চেষ্টা করেও বিয়ে দিতে পারছো না। তোমার বাপ তার নিজের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে দেশ ছেড়েই চলে গেলেন মালোশিয়া। টাকার লোভে প্রতিদিন তুমি কত খারাপ কাজ করছো। কত মানুষকে পথে বসিয়েছো। তাদের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছো। হাজার মানুষের অভিশাপ তোমার উপর আছে। সেই সব সাঁজা তুমি পাবে। নানান ব্যাংকের ডেবিট আর ক্রেডিট থাকলেও তোমার লাভ নেই। সাঁজা তোমাকে ভোগ করতেই হবে। সেই সময় খুব দূরে নয়। তুমি অপেক্ষা করো।

এই তুমি আমার উপকারের ভাব দেখিয়ে অনেক ক্ষতি করেছো। ভালোবাসার ভাব দেখিয়ে অনেক অপমান করেছো। কুকুরের মতো আমাকে কামলা খাটিয়েছো। কিন্তু দেখো সব কিছু মিলিয়ে আমি কিন্তু ভালোই আছি। তুমি ভালো নেই। কোনোদিন থাকবেও না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×