যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করা মানুষ, যিনি শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তিনিই কিনা আজ নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন। সুচি সামরিক শাসকের পুতুল।এমন নিকৃষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধীর কঠোর বিচার প্রত্যক্ষ করুক বিশ্ববাসী। অভিনন্দন গাম্বিয়া কে। ঢাকা টু বানজুল বাই এয়ার ডিসটেন্স ১১,০৬৪ কি: মি: এতো দুরে থেকে গাম্বিয়া আমাদের মর্মপীড়া, মর্মব্যথা বুঝতে পেরেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গাম্বিয়ার প্রতি আমরা চিরো ঋণী।
চরম জাতিগত বিদ্বেষ পুর্ন বক্তব্য। রেসিস্ট এই মহিলা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে গেছে। এই সু-চির মুক্তির জন্য বাঙ্গালীরাও প্রেসক্লাবে জমায়েত হয়েছিল!!- এই মহিলা- ইতিহাসের পাতায় কুখ্যাত হিসেবে স্থান পাবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রতিটা পাপীদের শাস্তি এই দুনিয়াতেই হয়েছে এবং হবে। যখন অং সান সুচি বাঙ্গালী শব্দটি ব্যবহার করেছে সাথে সাথে তার নামে আন্তর্জাতিক কোর্টে পিটিশন ফাইল করা উচিত। ব্যাক্তি অং সান সুচি’র নামে মামলা করে দিলে বার্মার সামরিক জান্তা খুশিই হবেন। রোহিঙ্গা একটি ভিন্ন জাতি এরা বাঙ্গালী নয়।
একটা দরিদ্র একটা দেশ গাম্বিয়া এগিয়ে আসলো। কিন্তু ইসলামের ঝান্ডাধারি তুরষ্ক ও সৌদিআরব কোথায়? সুচি যখন গৃহবন্দী ছিল, তখন তার প্রতি আমার একটা সমবেদনা ছিল। এখন তাকে ঘৃণা করি এবং তার অনৈতিক অমানবিক কাজের প্রতিবাদ করছি। সুচী বুঝতে পেরেছে যে, রোহিংগাদের বিপক্ষে অবস্থান নিলে, আগামী নির্বাচনে তার দল আরো ভালো করবে। তবে, এটা অসুস্থ ভাবনা। সময়ে মানুষের চরিত্র বদলায়, এটাই জীবন্ত প্রমান আমাদের সামনে। একসময় উনি গনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে নোবেল পেয়েছেন।
বাপের খুনীদের সঙ্গেও আপোষ করতে বাধেঁনি সুচির। তার বাবাকে যারা হত্যা করেছিল সেই সোনাবাহিনির হয়ে সাফাই গাইলেন।
এখন, আমাদের উচিত সুচি বিরোধী দেশ গুলোকে সাথে নিয়ে, সব রোহিংগাদের নিরাপদে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো, রোহিংগাদের অবস্থান শক্ত করা এবং মায়ানমারের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০