১। এমন অনেক কথা, অনেক ভাষা, অনেক অব্যক্ত কথার আবেগ মনের ভেতরে যেভাবে তোলপাড় করে তার মুক্তির জন্য এই টুকু যেন না করলেই নয়। অথচ পরিকল্পনায় সময় অতিবাহিত হল সারাটা জীবন। এমন অনেক কিছু নিজের ভেতরে সৃষ্টি হয় আবার নিজের ভেতরেই দেখি তার নাশ। জীবনে এমন কত কিছুযে আছে যা নিজের মধ্যে অসমাপ্ত রয়ে যায় তার কোন হিসেব নেই।
২। আজকাল আমি আর কোনো প্রতিভাকে ঈর্ষা করি না।
রবীন্দ্রনাথ- আইনস্টাইন- এমন কি ছোটখাটো শামসুর রাহমাকেও ঈর্ষা করি না বরং করুণাই করি। ইদানিং দেশ গরু আর গাধায় ভরে গেছে। যশ খ্যাতি পদ প্রতিপত্তি তাদেরই পদতলে।
৩। তোমরা তাদের প্রতি অনুকম্পা কর।
মনে করো, আহা ওরা অতি দুর্বল, ওদের ব্রেনের ওজন কম, গায়ের জোর কম, তোমাদের কৃপা না পেলে ওরা বাঁচবে না। তাই ওরা তোমাদের দাসী হয়ে আছে আর তোমরা দয়া করে ওদের প্রভু হয়েছ। কিন্তু ইউ ফুলস্, তোমরা এটা বোঝ না যে প্রতি সংসারে ওরাই আসল কর্ত্রী। মা রুপে, কন্যা রুপে, বধু রুপে, প্রণয়িনী রুপে, নানা রুপে ওরা তোমাদের মতো হাঁদাদের নাকে দড়ি পরিয়ে নাচাচ্ছে।
ইচ্ছে করলে ওরা সতী- সাবিত্রীও হতে পারে, আবার ক্লিওপেট্রা ক্যাথারিনও হতে পারে। ঘর বাঁধতেও জানে, ঘর ভাঙ্গতেও জানে। প্রকৃ্তির নিয়ম অমান্য করেই তারা শক্তিশালী হয়েছে। সেই নারী-শক্তির উৎস কোথায় সন্ধান করতে হবে, তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
৪। আমি আর তোমাদের কাছে ফিরব না। চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম, তথাকথিত ভদ্রসমাজে কোথাও আমার ঠাঁই নেই। কোথাও নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি না। হতচ্ছাড়াদের গালাগালি দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আবার হঠাৎ আবিস্কার করলাম, এই দেশকে এবং দেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসি-শত দোষ সত্ত্বেও। তবে যে ক'টা দিন বাঁচি ভদ্রসমাজের আওতা থেকে দূরে থাকব। গুনীদের নয়, ধনীদের পূজা করাই ভদ্রসমাজের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমাজ থেকে আমি দূরে চলে গেলাম।
৫। ইজতেমাতে আসা এক লোক বললেন, হজ্বের সামর্থ্য আমার নাই। হজ্বের কিছু ছওয়াব পাওয়ার জন্য টঙ্গিতে আসা।
আমাদের দেশে কেউ কি নাই, এই ধরনের ভুল ভাঙ্গিয়ে দেয়ার? নাকি ইচ্ছা করে জ্ঞানহীন মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করা হচ্ছে।
৬। মেয়ে তার মাকে বলছে, তোমাদের যুগ চলে গেছে। আমার জীবন নিয়ে আমি কী করবো তা আমাকেই ভাবতে দাও।
এই রকম মেয়ে গুলোকেই পরে সারা জীবন কাঁদতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৪