গ্রিসের রাজধানী এথেন্স।
হাজার বছর আগের কথা।
চমৎকার আবহাওয়া। সুন্দর বাতাস বইছে। চারিদিকে বেশ মিষ্টি রোদ। বাজারে লোকজন ভরা। এথেন্সের রাস্তায় দুই কবির দেখা হল।
একজন জানতে চাইল, কি হে, কেমন আছ? নতুন কিছু লিখলে নাকি?
শুনে অপরজন গর্বের সাথে জবাব দিল, আমি মাত্রই আমার জীবনের সেরা কবিতাটা লিখেছি। এটাই সম্ভবত গ্রীক ভাষার সেরা কবিতা। আমি এই কবিতাটা লিখেছি জিউসকে নিয়ে।
এরপর পকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বের করে বলল, কবিতাটা আমার সাথেই আছে। তোমাকে পড়ে শোনাই।
এরপর কবি তার সুদীর্ঘ কবিতা পড়তে শুরু করলেন।
শুনে দ্বিতীয় কবি বললেন, অসাধারন লিখেছ। যুগের পর যুগ তোমার এই কবিতা টিকে থাকবে। আর তার সাথে টিকে থাকবে তোমার নাম।
শুনে প্রথম কবি খুশি হলেন। জানতে চাইলেন, তুমি ইদানীং কি লিখছ?
দ্বিতীয় কবি জবাব দিলেন, আমি সম্প্রতি বলতে গেলে কিছুই লিখিনি। খালি সেদিন একটা বাচ্চাকে বাগানে খেলতে দেখে আটটা লাইন লিখেছি। এই বলে দ্বিতীয় কবি তার লেখা আটটা লাইন আবৃত্তি করলেন।
শুনে প্রথম কবি বললেন, খারাপ না। চালিয়ে যাও।
এরপর দুজন দুই পথে চলে গেলেন।
আজ দুই হাজার বছর পর, সেই আটটা লাইন প্রতিটি শিশুর মুখে মুখে। এই লাইন গুলো গেয়ে তারা হাসে, খেলে, আনন্দ করে।
প্রথম কবির কবিতাটাও আজও বেচে আছে। কিন্তু সেটা শুধুই লাইব্রেরীতে, বইয়ের পাতায়। না কেউ কবিতাটা ভালবাসে, না কাউকে সেটা পড়তে দেখা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১