১। হেলিকপ্টার শফী বলছে করোনা থেকে বাঁচতে হলে মানুষের উচিত- পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদের জামাতে ও জুমায় শরিক হওয়া এবং আল্লাহর নিকট এ আজাব হতে মুক্তির জন্য দোয়া করা। অথচ ছয় মাস আগে ইন্ডিয়া গিয়ে নিজে চিকিৎসা নিয়ে আসছে। শফী নিজেও বিশ্বাস করে ইসলামে সংক্রামক ব্যাধি বলে কিছু নাই। অথচ গালি খায় শুধু রাজ্জাক হুজুর!
ওরে বাটপার!
২। আজকে আমি যে মানুষটি রোজ আমার বাসার এবং এলাকার ময়লা পরিষ্কার করতে আসে, সেই পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিষ্কারক মানুষটিকে মাস্ক,এক বোতল স্যাভলন,হ্যান্ড ওয়াশ,এক প্যাকেট গুঁড়া সাবান,বল সাবান এবং গায়ে মাখার ডেটল সাবান দিয়েছি।
আমার কাছে গ্লাভস ছিল না। তাই দেয়া হয়নি।
আগামী কাল আপনিও আপনার এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীটিকে কিছু দিবেন কি? প্লীজ!
৩। ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সারা দেশের সকল মার্কেট, দোকানপাট ও শপিং মল সহ বিপণী বিতান।
৪। বাসায় দৈনিক পত্রিকা রাখা বন্ধ করে দিলাম। কারন, "করোনাভাইরাস"।
৫। আমরা না পৃথিবীর সবচে বড় পোষাক উতপাদনকারী দেশ? সেই দেশে মাস্ক এর অভাব হয় ডাক্তারদের! নাহয় সেটা মেডিকেটেট মাস্কই হোক।
৬। প্রতি ১০০ বছর অন্তর এই বিপর্যয়।
১৭২০ সাল -- প্লেগ ( এক লক্ষ মৃত্যু )
১৮২০ সাল -- কলেরা ( এক লক্ষ মৃত্যু )
১৯২০ সাল - স্প্যানিশ ফ্লু (১০কোটি মৃত্যু)
২০২০ সাল -- করোনা ভাইরাস ???
প্রতি একশো বছর অন্তর এই চিত্র দেখতে পাচ্ছি সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে । কিন্তু কেন এমন মারণ রোগ হচ্ছে প্রতি একশো বছর অন্তর, জানা নেই ? ইতিহাস বলছে ভারত সহ সারা পৃথিবীর অর্থনীতি প্রতি বারই ভেঙে পড়েছিল প্রতি ২০ সালে । এ এক অজানা সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব জানা নেই ।
৭। মওলানা ভাসানীকে কেউ যদি বলতেন; মওলানা সাব আমার জন্যে একটু দোয়া করবেন.. জবাবে তিনি বলতেন.. শুধু দোয়া না, দোয়ার সাথে দাওয়াও লাগবে সেইটা মনে রাইখো.. বর্তমান সঙ্কটের সবচেয়ে বড় দাওয়া আলাদা থাকা.. একঘন্টা পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া.. মওলানা সাহেবদের কাছে আর্জি, দোয়ার সাথে এই সচেতনতার দাওয়াটাও দিন...
৮। ২৫ তারিখ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে লকডাউনের ঘোষণা চাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
৯। সরকার মনে হয় চীন কে ফলো না করে ইতালিকে ফোলো করার চিন্তায় আছে। ভাবছেন সতেরো কোটি মানুষের দেশ থেকে দুই এক লাখ ঝরে গেলেই বা কী! নইলে দেশকে লকডাউন করার চিন্তা তাদের মগজে ঢুকছে না কেনো!!
১০। লকডাউন করলে অর্থনীতি ধ্বংস হবে আর লকডাউন না করলে জাতি ধ্বংস হবে। জাতি ধ্বংস হলে অর্থনীতি দিয়ে কি হবে?
১১। সকাল থেকেই খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে, কোথায় আছেন এবং কেমন আছেন দেশের ধনীরা? প্রিন্স মূসা বিন শমসের? প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। সালমান এফ রহমানঃ তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। আহমেদ আকবর সোবহানঃ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মালিক। তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। এম এ হাশেমঃ পারটেক্স গ্রুপ ও ইউসিবিএল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। আজম জে চৌধুরীঃ ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের মালিক, প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টের সোল এজেন্ট। তিনি প্রায় ৪১০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনঃ রিয়েল স্টেট, হোটেল ও মিডিয়া ব্যবসায়ী। রাগিব আলীঃ তিনি চা উৎপাদন ব্যাবসায় সফল একজন ব্যাবসায়ী। তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। শামসুদ্দিন খানঃ একে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। ঈকবাল আহমেদঃ সিলেটের একজন ব্যাবসায়ী। সামুদ্রিক খাবার ব্যবসায় তিনি সফল। তিনি সীমার্ক গ্রুপ লিবকো ব্রাদার লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনি প্রায় ২৫০-২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। সাইফুল ইসলাম কামালঃ নাভানা লিঃ ও নাভানা সিএনজি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে, দেশের এই ক্রান্তিকালে আপনারা কি করতেছেন? আপনারা সরকারকে হেল্প করছেন তো? দেশের এই বিপদের দিনে আলীবাবাকে কেন আগাইতে হয়? শুনতেছি, দেশে ডাক্তারদের পিপিই এর সংকট,মাস্কের সংকট, কীটের সংকট আপনারা কি করতেছেন?
এস আলম গ্রুপ, ড্যাটকো গ্রুপ, স্কয়ার, আকিজ গ্রুপ, যমুনা গ্রুপরা কই? ওয়ালটন যে দেশের আবেগ নিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করেছে, তারা কই? যান তো একটু! হাসপাতাল ভিজিট করে আসেন। সাহসে কুলায় আপনাদের? আর আপনারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে
বাসায় হাত গুটিয়ে বসে আছেন! ছি!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৮