১। আমার জন্ম যদি ১৯৩৫ সালে হতো- তাহলে ৪৭ এ দেশ ভাগ পেতাম, ৫২ তে ভাষা আন্দোলন, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ পেতাম। সব গুলোতে'ই অংশ গ্রহন করতাম। বেঁচে থাকলে বৃদ্ধ বয়সে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতাম।
নাতী-পুতি কে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে গল্প শোনাতাম।
২। নারীর শরীরের সৌন্দর্য আমাকে কখনও আকর্ষন করে না, আমি মনে করি, একটি মেয়ের আসল সৌন্দর্য তার ব্যক্তিত্বে।
৩। মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগের পদ্ধতি আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আবিস্কার করে ফেলব।
৪। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- “আমার লেখা যারা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, বাউল পদাবলীর প্রতি আমার অনুরাগ আমি অনেক লেখায় প্রকাশ করেছি। শিলাইদহে যখন ছিলাম, বাউল দলের সঙ্গে আমার সর্বদাই দেখা সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনা হত। আমার অনেক গানেই আমি বাউলের সুর গ্রহণ করেছি। এবং অনেক গানে অন্য রাগরাগিণীর সঙ্গে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বাউল সুরের মিল ঘটেছে। এর থেকে বোঝা যাবে, বাউলের সুর ও বাণী কোন্ এক সময়ে আমার মনের মধ্যে সহজ হয়ে মিশে গেছে।”
৫। ফ্রয়েড এক থিউরিতে বলেছিলেন, পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে দশজন মানুষ বেছে নিয়ে তাদেরকে না খাইয়ে রাখো। একসময় এই দশজনের মাঝে থেকে চিন্তা চেতনা দর্শন বিশ্বাসের সব পার্থক্য যাবে ঘুচে, সবাই নেমে যাবে চেতনার সেই আদিম পশুত্বের স্তরে।
ফ্রাঙ্কল বইয়ের শেষে ফ্রয়েডের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ফ্রয়েডের ভাগ্যবশত কখনো অভিজ্ঞতা হয়নি নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তিন বছর কাটানোর। ফ্রয়েড দেখেন নি মানবতার সর্বনিম্ন স্তরে থেকেও মানুষ কিভাবে উঠে যেতে পারে দেবত্বের স্তরে। কিভাবে একই পরিবেশ মানুষকে একই সাথে হায়েনা আর পশুত্বের স্তরে নামিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
৬। কোরান এসেছিল জীবিতদের সুন্দর জীবন পরিচালনার পথ দেখাতে, আমাদের দেশে কোরান পড়া হয় লাশের সামনে যার কোরানের দরকার শেষ হয়ে গেছে, পথ যার ফুরিয়ে গেছে! তাই এদেশে জীবিতদের চেয়ে মৃতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অধীক আগ্রহ দেখা যায়।
এই সকল মহামানবদের স্বপ্নের যন্ত্রনায় সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখার বদলে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করেছে!
৭। জয় হোক আওয়ামীলীগের। হাসিনার সরকার খুব ভালো। এখন দেশে শান্তি আর শান্তি। বিদ্যুৎ যায় না, দ্রব্যমূল্য আমাদের অনুকূলে, খুন-গুম- ছিনতাই সব বন্ধ, দুর্নীতি তো বলতে গেলে একেবারেই নাই, মানুষের মুখে হাসি আর হাসি, দেশে কোনো বেকার ছেলে-মেয়ে নেই, হাসপাতাল- অফিস আদালত কোথাও কোনো সমস্যা নেই। ঢাকা শহরে এখন কত ব্রীজ, কত শপিংমল, এটাই তো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।
৮। মনের অবস্থা খুবই খারাপ।
দিপীকা, ঐশ্বরিয়া, ক্যাথরিনা, সালমা হায়েক, পামেলা এমনকি সানি লিওন এসে একসাথে চা খেলেও মন ঠিক হবে না।
কী যে করি!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৮