হযরত কাতাদাহ রহঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের শুয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করে তার কাছে দু'জন ফেরেশতা মোতায়েন করা হয়, যারা তাকে ভোর পর্যন্ত হিফাযত করে।
রাসুল সাঃ বলেন, সূরা বাকারা এমন একটি আয়ত আছে যেটি সমস্ত আয়াতের সর্দার। যে ঘরে শয়তান ও জ্বিন থাকে, সে ঘরে এই আয়াত পাঠ করলে শয়তান ও জ্বিন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়, আয়াতটি হল আয়াতুল কুরসী।
হযরত ইবনু মাসউদ রাঃ হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সূরা বাকারা দশ আয়াত রাতের বেলায় পাঠ করবে, সেই রাতে শয়তান বা জ্বিন সেই ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না।
উক্ত আয়াত গুলি হচ্ছে, সূরা বাকারা শুরুতে প্রথম চার আয়াত, এক আয়াত আয়াতুল কুরসী, ও আয়াতুল কুরসীর পরের দুই আয়াত এবং বাকি তিন আয়াত হচ্ছে সুরা বাকারা শেষ তিন আয়াত।
অন্য আরেক হাদিসে এসেছে,
এরকম, যে ব্যক্তি সুরা বাকারা প্রথম চার আয়াত, আয়াতুল কুরসী, আয়াতুল কুরসী পরের দুই আয়াত এবং বাকারা শেষ তিন আয়াত পড়বে সেই দিন তার কাছে জ্বিন বা শয়তান আসবে না, তার বাড়ির লোকজনের কাছেও আসবে না, এবং পরিবারের কোন অনিষ্ট হবেনা এবং তার ধন সম্পদের কোন ক্ষতি হবেনা।
পাশাপাশি ঘর বন্ধের জন্য যে কাজটি করা যেতে পারেঃ
পাত্র পানি নিবেন এবং সেই পানিতে, আয়াতুল কুরসী, সূরা সফফাত প্রথম দশ আয়াত, সূরা জ্বিনের প্রথম পাচ আয়াত, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে পানিতে ফু দিবেন এবং সকালে একবার বিকালে একবার ঘরে পানি ছিটিয়ে দিবেন। পরপর তিনদিন এরকম করতে হবে। প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন তৈরি করে ছিটাবেন। একদিনেরটা অন্য দিন ছিটালে কাজ হবে না।
প্রিয় বন্ধুগন মনে রাখবেন- ঘর বা বাড়ি বন্ধের জন্য কোনো তাবিজ নেই। সুতরাং তাবিজকে না বলুন। নিয়মিত আমল করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯