somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মানুষ যত শিক্ষিত তার মানসিকতা তত সমৃদ্ধ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে একটু কৌশলী হন তাহলে চারপাশের পরিবেশ সহজে অবজার্ভ করতে পারবেন। যদি আপনার ঘুম পরিপূর্ণ না হয়ে থাকে তবে, মস্তিষ্ককে বলুন, 'আমি অনেক ভালো ঘুমিয়েছি'। দেখবেন অনেকটা প্রশান্তি লাগবে। এটা চমৎকার কাজ করে! পরীক্ষিত। কাউকে হারিয়ে দিতে চান, যে আপনাকে অপমান করেছে? কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। কিছু না বলে শুধু সবার সামনে তাকে এড়িয়ে চলে যান। এটা তার অহংকারকে আঘাত করবে। পিছনের তিক্ত কথা বলা ব্যক্তিদেরকে প্রতিহত করবেন কিভাবে? প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। সামনা-সামনি চোখ পাকাবেন না। মানুষের সাইকোলজি হচ্ছে সে কারো সম্পর্কে পুরোপুরি মনে রাখে না। মানব মস্তিষ্ক সাধারণত প্রথম ও শেষ স্মৃতি মনে রাখে। এজন্য কারো স্মৃতিতে থাকার ইচ্ছে হলে প্রথম ও শেষ ইমপ্রেশনস ভালো রাখুন। একদম সহজ হিসাব।

মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তার মানসিকতাও তত সমৃদ্ধ।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখা বাদ দিন। এটা কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় তথ্য ডিলিট করে দেয়ার মতো। একজন মুসলিম হিসেবে আমি যেকোনো কুসংস্কারকে অস্বীকার করি। ইসলাম আমাকে কুসংস্কার বিরোধী হিসেবে গড়ে তুলেছে। রসূলুল্লাহ (স) বলেন ‘কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক’। মহানবীকে একজন ইহুদি বিষ দিয়েছিল। এর প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কিছুদিন পর মারা যান। মহানবী (স) এর মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীরা বিশালভাবে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। সেজন্য তিন দিন তাঁর লাশ দাফন করা হয়নি। মহানবী লোকেদের রোগমুক্তির জন্য 'উট-মূত্র' খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভারতে যেভাবে গোমূত্র খাওয়া হয়, সেভাবেই আরব বিশ্বে উটের মূত্র খাওয়া হয়। সেখানকার সুপার শপ গুলোতে অতি সহজেই প্যাকেট জাত উট মূত্র পাওয়া যায়।

সব সময় শিখতে থাকেন। যাকে বলে কন্টিনিউয়াস লার্নিং।
ইনফরমেশন দরকার কারণ অনিশ্চয়তাময় বাস্তবতা আমাদের। আপনাদের একটা দামী কথা বলি- বন্ধুর প্রশংসা পেয়ে আনন্দিত হবেন না অথবা শত্রুর সমালোচনা দেখে বিচলিত হবেন না, দুটোই মূল্যহীন। গাজর খেলে আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হবে- এটি এমন একটি মিথ যা নাৎসিদের পরাজিত করার জন্য তৈরি হয়েছিল। পৃথিবিতে মাটির নিচে যে জলের লেয়ার রয়েছে তা আর কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হতে চলেছে। আর পানি মাটির নিচ থেকে পাম্পের মাধ্যমে তোলা সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমি শুধুমাত্র এটুকু বললাম, আপনি চোখটা বন্ধ করে ভাবুন দু'মিনিটের জন্য। আজ আমি আপনাকে স্মরণ করে দিচ্ছি কিন্তু কয়েক যুগ পরে এরকমই হতে চলেছে। যে সময় পানি পাওয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। আমাদের পরিবেশ ,আমাদের দেশ, আমাদের জীবন এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে পানির অপচয় বন্ধ করুন।

কেউ অসুস্থ শুনে, নিজের মন থেকেই কোনো নির্দিষ্ট ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিটি মানুষ বিশেষ ভাবে আলাদা। নিজের ভেতরের যোগ্যতা গুলোকে বেশির ভাগ মানুষ চিনতে পারে না। আপনার মাঝেও ভালো কিছু আছে যা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। আপনি সুপারম্যানের চেয়েও সুপার। কারন, আপনি যা কিছু করেন তা সবটাই সত্যি। এখানে ক্যামেরা বন্ধ করলে সবকিছু থেমে যায় না। আপনি থেমে জান না। ইরানি সাংবাদিক আলি দাস্তির 'নবুওয়তের তেইশ বছর' বইটি পড়বেন। এই বইটি পড়লে সন্দেহহীন পুরোপুরি নাস্তিক না হয়ে আস্তিক হতে পারবেন। জুল ভার্ণের নাম মনে পড়ছে। তিনি ট্রাভেল নভেল লিখেছেন, অথচ তিনি নিজ দেশের বাহিরে যান নি! আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে হলে সঠিক আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে আত্মবল বৃদ্ধি করাই হল মূলমন্ত্র।

মজার কিছু তথ্য দেই, যে নারী এডলফ হিটলারের বাংকার তৈরি করেছিলেন তাঁর নাতি সাদ্দাম হোসেনের বাংকার তৈরি করে দিয়েছিলেন। আসল টাইটানিক জাহাজ নির্মাণে ৭ মিলিয়ন ডলার লেগেছিল আর এর উপর ভিত্তি করে টাইটানিক চলচ্চিত্র নির্মাণে জেমস ক্যামেরনের ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচা হয়েছিল। কোনো মেয়েই তার স্তনের আকার নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। হয় তার কিছুটা বড় দরকার নয়তো কিছুটা ছোট। একটি সিগারেট যে পরিমাণ নিকোটিন ধারণ করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের দেহে ঢুকালে মানুষ মারা যেতে পারে। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত মানুষ বেঁচে ছিলেন তাদের অর্ধেকই ম্যালেরিয়ায় মারা গেছেন। স্টালিন এবং লেলিনের বাবুর্চি ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনের দাদা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৭
১৪টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×