
ছবিঃ আমার তোলা।
১। বাংলা সাহিত্যে কেবল মেয়েদেরই রুপের বর্ণনা থাকে। তবে কবিতার ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। অনেক নবীনা মহিলা কবির কলমে পুরুষ এক বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। আফটার অল, প্রজাতি হিসেবে পুরুষও তো একেবারে ফেলনা নয়। তাছাড়া নারীর পূ্র্ণতার জন্য তো পুরুষকে দরকারও আছে। তবে কোনো বিশেষ পুরুষের সান্নিধ্য ছাড়াই হয়তো মেয়েরা ভবিষ্যতে পূ্র্ণতা পাবে। আধুনিক পৃথিবীতে আধুনিক নারীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে থাকবে।
২। কোনো মানুষই ভালো নেই, সুখে নেই। মানুষের দিকে তাকালেই আমি তা টের পাই। আমি কান পেতে শুনি তাদের বুকে কত দুঃখ, কত ঝড়, কত না পাওয়ার হাহাকার। আমি জানি, তাদের কত বিপদ-আপদ, নানান রকম যাতনা পোহাতে হয়, কারো অর্থ কষ্ট, কারো পুত্র কন্যাকে নিয়ে, কারোবা ভুল মানুষ অনুপ্রবেশ করায় সংসার ভেঙ্গে গেছে, চাকরির লাঞ্ছনা, জীবিকার গ্লানি, কাছের মানূষের কপটতা।
তাই, মানূষকে কখনো আমি দোষ দেই না। তার উপর মন খারাপ করি না। এই মানুষকে আমি কতবার আড়ালে দুহাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখেছি। কেউ যখন আমার দিকে চোখ তুলে তাকায়, আমি দেখি তার চোখে কত বর্ষা জমা হয়ে আছে।
৩। বাঙালি ভাবপ্রবণ ও কল্পনাপ্রিয়। তাই বাঙালি যখন কাঁদে, তখন কেঁদে ভাসায়। আর যখন হাসে তখন সে দাঁত বের করেই হাসে। যখন উত্তেজিত হয়, তখন আগুন জ্বালায়। তার সব কিছুই মাত্রাতিরিক্ত। কিন্তু কোনটাই দীর্ঘস্থায়ী নয়। কালো পিঁপড়ের মতো বাঙালি অতি চালাক। আমাদের দেশে চিরকাল নতুন চিন্তা জন্ম নিয়েছে। কিন্তু লালন পেয়েছে সামান্য। আমরা মহৎ পুরুষেদের মহা অবদানের ফলভোগে ধন্য হতে পারিনি। তবু যখন আমরা স্মরণ করি- রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র, তীতুমীর, দুদু মিয়া, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্গবন্ধু এদেশেরই সন্তান, তখন নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই।
৪। এ যুগের ছেলে-মেয়েরা চিঠি লিখে না। তাদের আছে মোবাইল। আমার কাছে একটা চিঠি আছে। প্রেমের চিঠি। কার, সেটা বলব না। চিঠিতে লেখা-
'আমার প্রানাধিকাসু,
তোমার অদর্শনে আমি অসহায় হয়ে পড়ে আছি। তুমি অশোকবনে বন্দীনি সীতা। কিন্তু রামের একজন দূত ছিল- তার নাম হনুমান। আমার তো কেই নেই।....
৫। ধর্মের সমালোচনা মানুষকে মোহমুক্ত করে। ফলে সে চিন্তা ও কর্মে ব্যাবপৃ হতে পারে। মোহমুক্ত মানুষ তার সত্তাকে সুন্দর করে গড়ে নিতে পারে। সে তখন তার সম্বিত ফিরে পায়, বুঝতে পারে সে নিজেই সূর্য এবং নিজের অক্ষপথে আবর্তিত হয়। ধর্ম কেবল কাল্পনিক সূর্য বা মায়া-সূর্য। মানুষ যতক্ষন না চারিদিকে পরিক্রম করে ততক্ষন সে মায়া-সূর্য মানুষের চারিদিকে আবর্তিত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




