১। মানুষকে ভালো ভাবতে হবে নিজের ভালোর জন্যই। নিজের ভেতরের শ্রেষ্ঠ বৃত্তিগুলিকে সক্রিয় রাখবার এই একমাত্র উপায়। ভয় ও সন্দেহ জীবনের পক্ষে মারাত্মক, বিশ্বাস না থাকলে জীবন অসুন্দর হয়ে পড়ে। খোশ মেজাজ ও বহাল তবিয়ত নষ্ট হয়। আর তা নষ্ট হলে মানুষের ভালো কাজেরও মূল্য দেওয়া যায় না।
২। চোখের নীচে কালি আসলে মনে করতেই হবে যে- ভেতরে ক্লান্তি জমেছে। ভেতরের জমে ওঠা ক্লান্তি গুলোর ছায়াটাই চোখের নীচে এসে জমে।
৩। কোনো এক নাটকে নায়িকা বলেছিল- ''সেই তত সুখী- যারা অভিনয় করে মিথ্যা কথা বলতে পারে''।
৪। তেরী আখোকী কুছ কসুর নেহি, মুঝেই খারাব হোনা থা।
এটার সুন্দর বাংলা কি হবে?
-- তোর চোখের কোন দোষ নাই, আমিই বদের হাড্ডি।
৫। বড় কর্তার রিভলভিং চেয়ার, থানার দারগা, জর্জ-উকিল, বাড়ির গৃহিনী, ধারদাতা, মুদি দোকানদার, ইলেকট্রিক বিল, রাস্তার পাগলা কুকুর, বিয়ের দাওয়াত, আত্মীয়, ধার্মিক, বঙ্গোপসাগরের নিন্মচাপ, বাজারের দরদাম - কোনো কিছুকেই আমি আর ভয় পাই না। সব কিছুর ক্যামোফ্লেজ আমি ধরে ফেলেছি।
৬। আমরা শুধু সব কিছুকেই খুব করে উদযাপন করতে শিখেছি।
রঙ চোঙ মেখে। ৭৫% এর অধিক লোকেরা বাংলা শুদ্ধরুপে উচ্চারণ করতে পারে না। কবিতা বলছে ভুল উচ্চারণে, প্রবন্ধ পাঠ করছে ভুল উচ্চারণে আর লিখে যাচ্ছে ভুল বানান। বাংলা ভাষা শেখার পরিবেশ যেন বেগবান হয় সেদিকে দায়ীত্বশীলদের মাথা ঘামাতে হবে।
যতদিন সব বাঙালি পড়তে ও লিখতে পারবে না, ততদিন শহীদ মিনারে যাওয়া বন্ধ থাকুক। এমনটি হলে কেমন হয়?
যারা বাংলায় কবিতা লিখেন, বই লেখেন, বাংলার প্রফেসরেরা শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দেয়, মুল দেয়; যারা বাংলা পড়তে পারেন না, তাদের জন্য কিছুই করেন না, ওখানে গিয়ে ওদের ম্যাঁওপ্যাঁও বক্তৃতা শুনে কি হবে জাতির?
লোক দেখানো ফুল না দিয়ে দোয়া ও শহীদ পরিবারের জন্য অবদান রাখলে ভালো হতো। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার হচ্ছে, বস্তির ছেলে বস্তিতে থেকে যাচ্ছে; অথচ জাতির কাছে সম্পদ আছে, ক্যাশ টাকা আছে! কে যাবে শহীদ মিনারে তাদের বস্তাপঁচা বাণী শুনতে?
শতকরা কজন শহীদ মিনারে সেলফি তুলতে যায় আর কজন ভালোবেসে যায়, সেটাও প্রশ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৬