আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
'জাযাকাল্লাহু খাইরান' অর্থ: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। প্রিয় নবীজি (স.) বলেছেন, ‘কেউ যখন তার ভাইকে বলে, ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ তবে সে তার ভূয়সী প্রশংসা করল।’ তোমাদের কারো যদি জানা থাকত যে, তার অপর ভাইকে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলার মধ্যে তার জন্য কি রয়েছে! তাহলে তোমরা একে অপরের জন্য তা বেশি বেশি করে বলতে।’ ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ দ্বারা এ কথাও বুঝায় যে, ‘আল্লাহ তাআলা আপনাকে জান্নাত এবং জান্নাতে তাঁর দিদার লাভের সৌভাগ্য দান করুন।
কখনোই শুধুমাত্র ‘জাযাকাল্লাহু’ না বলে পরিপূর্ণ ছোট্ট এ দোয়াটি ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা উত্তম। 'খাইর' দ্বারা অসংখ্য বা অগণিত কল্যাণকে বুঝানো হয়। যা গণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। পুরুষদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা 'জাযাকা-আল্লাহু খাইরন' এবং মহিলাদের জন্য বলা 'জাযাকি-আল্লাহু খাইরন'। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’
উপকারকারীর জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় দোয়া করাই বেশি ফজিলতপূর্ণ। এর বরকতে মহান আল্লাহ যদি নিজ হাতে তাকে পুরস্কৃত করেন, তবে এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কী হতে পারে? তাই আমরা কারো দ্বারা উপকৃত হলে, বিপদ ও সংকটের সময় কাউকে কাছে পেলে তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তার জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় ‘জাজাকাল্লাহ’ বলে দোয়া করা উচিত। আপনি চাইলে শেষে 'কাথেরান' শব্দটি যুক্ত করে বলতে পারেন, যেমনঃ জাযাকাল্লাহু খাইরান কাথেরান। কাথেরান শব্দটির অর্থঃ 'ক্রমাগত, অনেক, প্রাচুর্যতা'।
আসুন Thank’s, Thank You ইত্যাদির পরিবর্তে আমরা পরস্পরে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান'-এর বিনিময় করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩