
আত্মসচেতনতা খুবই ভালো জিনিস।
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই সতঃ, রজঃ এবং তম তিনটি গুণ থাকে। ভালো গুন গুলোকে দুষ্টলোকেরা মন্দে পরিনত করে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের ত্বক থেকে একটা আলো বেরোয় সেই আলোটাকে বলা হয় aura বা অরা। এই ওরা রং দেখে বোঝা যায় যে কোন বিশেষ মানুষ, কোন বিশেষ সময় কিরকম মনোভাবে আছে। আপনি জানেন হিটলার না থাকলে কী হতো? হিটলার না থাকলে আজও আমাদের ব্রিটিশদের দাসত্বগিরী করতে হতো। বাংলা এবং ভারতবর্ষ আজও ব্রিটিশ সম্রাজ্যের উপনিবেশ হিসেবে থাকতো। খারাপ আছে বলেই ভালোর মূল্য রয়েছে। খারাপ মানুষ খারাপ কাজ করে বলেই তা দেখে ভালোরা শেখে যে খারাপ কাজ করা যাবে না তাহলে আমিও খারাপ হয়ে যাবো। খারাপ মানুষদের আমি কোনো দোষ দেই না। আসলে ওরা ভালো হওয়ার সুযোগ পায়নি। ওদের বাবা মা ওদের শুধু জন্ম'ই দিয়েছে। মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি।
সংবিধানে বলা হয়েছে-
দণ্ডবিধি আইনের ২৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি, অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টি করিয়া, কোন প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কার্য করে অথবা কোন প্রকাশ্য স্থানে বা সন্নিকটে কোন অশ্লীল গান, গাঁথা সঙ্গীত বা পদাবলী গায়, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে; সেই ব্যক্তি ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
যে মূর্খ সে তো ব্যাটা মূর্খ'ই। মূর্খামি করে করেই তার জীবন পার হচ্ছে। নিজেকে নিয়ে মূর্খামি করতেই সে ব্যস্ত। এরা মেধাহীন। এদের প্রধান কাজ'ই হচ্ছে অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করা। এরা ভালো মানুষদের সহ্য করতে পারে না। ওদের ভাল মন্দের জ্ঞান নেই বলেই তো ওদেরকে 'মন্দ' আখ্যা দেওয়া হয়। কিছু শিক্ষিত লোকের মূর্খ মানসিকতার জন্য আমাদের সমাজকে, দেশকে অনেক খোরপোশ দিতে হয়েছে এবং হচ্ছেও। এরা হলো শিক্ষিত মূর্খ যাদের কথা সমাজ আর ব্লগের কিছু মানুষ বেদবাক্য জ্ঞানে বিশ্বাস করে। এই শ্রেনী চিলের পেছনে ছুটতে পছন্দ করে।
দুষ্ট লোকদের জন্য আমার মায়া হয়।
কিছু ধরণের শিক্ষিত মানুষের মূর্খতার জন্য আমাদের দেশ আজ ক্ষতিগ্রস্ত। ধর্ম একটা পুরোনো ঘা হয়ে বসে আছে। চারদিকে ধর্ম নিয়ে হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, মারামারি-হানাহানি। এসব দুষ্টলোকদের অতিরিক্ত বুদ্ধির জন্য। যে কাজে সমাজের নিষেধ আছে সেই কাজই মানুষ গোপনে করতে মজা পায়। একই সঙ্গে কিছু দুষ্ট মানুষের এই রকম দ্বৈত আচরণ কেন, সেটি মনোবিজ্ঞান এর গবেষণার বিষয়। তবে আমি চাই- পৃথিবীটা আরো কিছু দিন বেঁচে থাকুক। মন্দ লোকদের ভালো হওয়ার জন্য সময় ও সুযোগ দেওয়া উচিত। ভালো মানুষ গুলোর পায়ের স্পর্শ আছে বলেই, পৃথিবীটা অবিরাম ঘুরছে। দুষ্ট লোকদের উচিৎ না বাপের নাম মুখে নেওয়া। বাপের নাম লেখা। মন্দ লোকদের যারা সাপোর্ট করছে তাঁরা আরো বেশি বদ। মানি লোকের সম্মান ঘেউ ঘেউ করে নষ্ট করা যায় না। অন্যকে অপমান করতে চাইলে, নিজেকেই অপমানিত হতে হয়। তা জানিস? তুই যে নোংরামী করিস তা কি তোর পিতা মাতা জানে?
মানুষ যা কামনা করে বা ইচ্ছা করে বা যা চায়-
এবং সেই স্বপ্নটা বা সেই চাওয়াটা পূর্ণ না হয়- মানুষ তখন খারাপ হতে বাধ্য হয়। এজন্যই কি তোরা খাররাপ? মানুষ যখন কোনো নারীর প্রেমে পড়ে, এবং সে যখন ছলনা বা অবহেলার স্বীকার হয়- তখন সম্ভবত মানুষ খারাপ হয়। এবং না চাইতেই যখন মানুষ অনেক বেশি যখন পায়, তখন খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আমি একজন হৃদয়বান মানুষ। তাই মন্দ মানুষদের জন্যও আমার মায়া হয়। এক মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছিলো- আপনি কেন ভালো মানুষ? কারণ, আমি খারাপ মানুষ না। ভালো মানুষ হওয়ার কোন কারণ থাকে না। কারন লাগে না। মন্দ মানুষ হতে কারন লাগে। আমি নিজেকে ধন্যবাদ দেই যে- আমি এই যুগে জন্মেছি। নবিজির আমলে জন্ম হলে, ইন্টারনেট পেতাম না। মোবাইল পেতাম না। ল্যাপটপ পেতাম না।
দুষ্ট লোকেরা যেহেতু ধর্ম মানে, তাই তাদের ধর্ম দিয়েই বুঝাতে চাই- কোরআনে সূরা কাহাফের ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন- ''কর্ম ও আচরণে কে উত্তম, তা পরীক্ষার জন্যেই আমি জমিনের ওপর বিরাজমান সকল (আকর্ষণ ও) সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেছি। শেষ পর্যন্ত সবকিছুকে আমি বিরান কঙ্করভূমিতে রূপান্তরিত করব।
জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে দুষ্টলোকদের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার ফলে-
দুষ্টলোকেরা ভালো কাজের চেয়ে মন্দ কাজে বেশী আকৃষ্ট হয়। ও মন্দ কাজে লিপ্ত হয়। রাগের বশে হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে তারা অনেক সময়ই অন্যের সাথে খারাপ আচরণ করে, যা একেবারেই অনুচিত। রাগত মানুষ পশু সমতুল্য। রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ জানি, নবিজির দেশ মক্কা মদীনায়ও অনেক খারাপ মানুষ আছেন। খারাপ মানুষ দুনিয়ার সব জায়াগায় আছে। এরা সারা জীবন থাকবে। পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে, খারাপ মানুষও থাকবে। আমি বিশ্বাস করতে চাই- প্রত্যেক মানুষের ভিতরে একটা সুন্দর মন আছে। মানুষ সেই মনোজগতে অবাধ বিচরণ করে। সেই মনে কতো স্বপ্ন বুনে রাখে। বাস্তব জীবনের কঠিন করাঘাত মানুষকে হয়তো খারাপ কাজে নামতে হয়। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত সহনশীল আচরন করা। কাউকে অপবাদ না দেয়া। নিজে কখনো ভুল করলে সেটা স্বীকার করে সংশোধিত হওয়া। বিনয়, নম্রতা, ধৈর্য্যশীলতা ইত্যাদি মানুষকে মহান বানায়। পৃথিবী, সমাজ, দেশ এবং ব্লগকে সুন্দর রাখতে হলে উগ্রতা পরিহার করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




