somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ইথিক্স (Ethics)

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে নিজেকে শুধু একটা কথাই বারবার বলেছি- জীবনে অসৎ হওয়া যাবে না। নো নেভার। এবং অবাক ব্যাপার হচ্ছে- অসৎ হইনি। যদিও অসৎ হওয়ার উপকরন চারপাশে ছড়ানো ছিলো। এজন্য আমি নিজের উপর নিজে খুশি। নিজেকে নিজেই বাহবা দেই। আত্মতৃপ্তি পাই। বলতে লজ্জা নাই, আমার জীবনে আমি কোনো খারাপ কাজ করি নাই। পারলে ভালো কাজ করেছি। না পারলে চুপচাপ বসে থেকেছি। তবু মন্দ কাজ করিনি। আমি আপনাকে আমার জীবনে করা অসংখ্য ভালো কাজের মধ্যে তিনটা কাজের কথা বলতে চাই। বলা দরকার। ভালো কথা বলেও শান্তি আছে। আনন্দ আছে।

১। আমাদের এলাকায় একলোক ভাড়া থাকতো। উনি মেসে ভাড়া থাকতেন। এলাকার চায়ের দোকানে আমার সাথে তার আলাপ হয়। এবং খুব খাতির হয়ে যায়। একদিন লোকটা বলল, আমি ড্রাইভার। গাড়ি চালিয়ে শহরের কত কত জায়গায় যাই। রাস্তার দেওয়ালে কত কত সিনেমার পোস্টার দেখি। অথচ সিনেমার নাম পড়তে পারি না। আমি মূর্খ। কোনোদিন স্কুলে যাইনি। আমি বললাম, পড়তে মন চায়? লোকটা বলল, খুব পড়তে মন চায়। আমি লোকটাকে লেখাপড়া শেখাই। খুব অল্প সময়ে লোকটা বাংলা পড়তে শিখলো। পড়তে শিখে লোকটা দারুন আনন্দ পেয়েছিলো। লোকটার আনন্দিত চোখ মুখ এখনও আমার মনে আছে।

২। শীতের দুপুর। কোনো রোদ নেই। চারিদিকে কুয়াশা। সেবার খুব শীত পড়েছিলো। আমি এক ব্যস্ত রাস্তা পার হচ্ছিলাম। তখন দেখি ফুটপাতে এক বুড়ি। বসে বসে কাঁপছে। ঠিকভাবে নিলশ্বাস নিতে পারছে না। বুড়িকে দেখে খুব মায়া হলো। একদম নানী দাদী বয়সী। বললাম, কি খবর? তোমার অবস্থা তো সুবিধার মনে হচ্ছে না। বুড়ি বলল, আমার ইনহেলার শেষ। তাই ঠিক করে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এদিকে আজ প্রচণ্ড শীত। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। আমি বুড়িকে একটা ইনহিলার কিনে দেই। বুড়ি ফোকলা দাঁতে খুব সুন্দর একটা হাসি দিয়েছিলো। সেই হাসি আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই। আসলে ভালো কাজ করলে ভালো লাগে। খুশি লাগে। নেশা লেগে যায়। আরো ভালো ভালো কাজ করতে মন চায়।

৩। এটা আমাদের বাসার সামনে ঘটনা। একলোক তার স্ত্রীকে মারছে। খুব মারছে। ঘরের ভিতর মারছিলো। স্ত্রী স্বামীর মাইর খাওয়া থেকে বাঁচতে রাস্তায় চলে এসেছে। কিন্তু স্বামী রাস্তাতে ফেলে স্ত্রীকে মারছে। খুব কঠিন মাইর। কিল, গুসি, চড়, লাথথি। চুল ধরে টান দিচ্ছে। রাস্তায় ভিড় জমে গেছে। স্ত্রী নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। কান্না করছে। মাগো, বাবাগো বলে। কিন্তু কেউ স্ত্রী লোকটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে না।
কান্নার আওয়াজ শুনে- আমি দৌড় দিয়ে বাসা থেকে নীচ নেমে এলাম। লোকটাকে বললাম, মারছেন কেন? স্বামী রেগে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমার স্ত্রী আমি মারবো তাতে কার বাপের কি? আমি বললাম, ধরেই নিলাম আপনার স্ত্রী অন্যায় করেছে। কিন্তু তার পরেও আপনি তাকে মারতে পারেন না। এটা অন্যায়। স্বামী আমার কথা শুনছে না। মানছে না। স্ত্রীকে সমানে মেরেই চলেছে। তখন আমি দুই চারটা দিলাম স্বামীকে। স্বামী বেচারা আমার মার খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো। তারপর স্বামী ছাগলকে বুঝালাম কেন স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×