
আমার সমস্যা হলো-
আমি মানুষের কুটিলতা আর জটিলতা গুলি খুব সহজেই ধরে ফেলি। তারপর সেই মানুষকে আমার ঘিন্না লাগে। এবং ঘিন্নাটা প্রকাশ করে ফেলি। চারিদিকে দেখি শুধু মুখোশ আর মুখোশ। এই সামুতেও কিছু অপব্লগার মুখোশ পরে আছে। কত রকমের যে মুখোশ আছে মানুষের তার ইয়ত্তা নাই। ভদ্রের মুখোশ, অসভ্যের মুখোশ। দুঃখী মুখোশ। অহংকারী মুখোশ! সাহসীর মুখোশ। চাটুকারিতার মুখোশ। দালালের মুখোশ। ধর্মনিরপেক্ষতা ওয়ালা মুখোশ। এত মুখোশ কেন রে ভাই? ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য? ভালো মানুষের ট্যাগ পেতে? সামাজিক সম্মান পেতে? তোদের মুখোশ দেখে দেখে আমি ক্লান্ত।
মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী।
সবকিছু কেই আয়ত্বে আনতে চেয়েছে, নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে। সেই ভাবেই সবকিছু কে আকার দিয়েছে। এবং সাফল্য পেয়েছে। আর আমি বুঝি- সেই প্রচলিত নিয়মে নিজেকে খাপ খাওয়াতে অনেক সময়ই হয়তো মুখোশ পড়তে হয়! বিশেষত ভালোর মুখোশ, ভদ্রতার মুখোশ। আমি আমার জ্ঞান, সততা এবং ভালোত্ব দিয়ে মুখোশ ওলাদের চিনে ফেলি। এটাই অনেকের সহ্য হয় না। গাত্র দাহ হয়। আর আমি হাসি। ডার্ক নাইট মুভিতে একটা ডায়লগ আছে। 'সবাই একটা ভালো মানুষের মুখোশ পরে আছে। তুমি ততটাই ভালো যতটা পৃথিবী তোমাকে হতে দেবে'।
তোমরা মুখোশ পড়ে অভিনয় করো।
তোমাদের অভিনয় কাচা। যদি অভিনয় ছেড়ে দিতে পারো, তাহলেই সহজ সরল হতে পারবে আমার মতোন। যদি তুমি বুঝে যাও তুমি কে এবং কি তাহলে বাকিদের মুখোশ তোমার সামনে কিছুই আড়াল করতে পারবে না। অনেকে আছে মুখোশ পরে অন্য সফল ব্যক্তির ক্ষতি করতে পিছপা হয় না। যে ব্যক্তি আপন পর সকলকে সমান চোখে দেখে, সম বিচার করে, তার মুখোশের দরকার হয় না। যেমন আমি। আসলে জটিল-কুটিল হওয়ার জন্য বিশেষ কোন জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এজন্য দেখবেন অশিক্ষিত মানুষ গুলোই সাধারণত জটিল কুটিল স্বভাবের হয়ে থাকে। অশিক্ষিত বলতে আমি- তাদেরকেই বুঝাতে চাচ্ছি যারা ভালো মানুষের মূল্য বোঝে না। আর এমন মানুষ ডক্টর, শিক্ষক, ব্যবসায়ী হলেও আমি বলব, মূর্খ।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে-
To err is human. ইংরেজিতে আরেকটা কথা আছে। Nobody is Perfect Quotes No one in this world is pure and perfect. কি মানুষকে অমানুষ করে তোলে? জানেন? অন্যের বিচার করার আগে তার জায়গায় নিজেকে রেখে না দেখাই মানুষকে অমানুষ করে তোলে। অমানুষ কেমন করে চিনবেন? আমি বলে দিচ্ছি- স্বার্থপরতা। আত্মকেন্দ্রিকতা। অন্ধ বিশ্বাস। এবং সুযোগ পেলেই কারো বিরুদ্ধে উলটা পালটা কথা বলা। দলবাজি করা। গ্রুপিং করা। চাটুকারিতা করা। এবং এই টাইপ অমানুষকে যারা আশকারা দেয় তাঁরা আরো বড় বদ। সামু ব্লগেই এরকম চার পাচজন আছে। অবশ্য আগাছা থাকবেই।
নিজেকে পন্ডিত ভাবা বন্ধ করুণ।
আমাদের প্রাণীসত্ত্বা ও মানবসত্ত্বার মাঝে যে সেতুটি আছে তা হলো 'বিবেক' ও 'মনুষত্ব'। যখন সেতুটি ভেঙে যায় তখনই আপনারা শেষ হয়ে যান। অর্থ্যাত আর মানুষ থাকেন না। পরিস্কার? অমানুষ কত প্রকার আছে তা আসলে বলে শেষ করা যাবে না। মানুষ যত প্রকার বিবেক, বুদ্ধিহীন, মনুষত্বহীন কাজ করে নিজেকে অমানুষ বানিয়ে ফেলে পৃথিবীতে তত প্রকার অমানুষ আছে। কথা ক্লিয়ার? তুমি সাধু সেজো না। সাধু হও। তুমি ভালো সেজো না, ভালো হও, তুমি জ্ঞানী সেজো না, জ্ঞানী হও। তুমি সত্যবাদী সেজো না, সত্যবাদী হও। আর তুমি ছাগল সাইক্রিয়াটিস্ট হতে চেও না। হোটেলের খাবার খেয়ে খেয়ে তোমার মাথা আউলায়ে গেছে। তুমি গ্রামে ফিরে যাও।
ঈর্ষা মানুষকে চরম অমানুষ করে তুলতে পারে।
মানুষ যে কত অপরাধ ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে করে, খুন জখম, লাগানি ভাঙানি, গীবত, কপটতা, লুচ্চামি, নোংরামী, চরিত্র হনন, কি নয়! মনুষ্যত্বের কথা বলছেন? মনুষ্যত্ব নির্ভর করে মানুষের উপর, রাষ্ট্রের উপর নয়। একই রাষ্ট্রে মানুষ ও অমানুষ পাশাপাশি থাকে। কারন অমানুষ গুলো দেখতে মানুষের মতোন। আমি আশাবাদী মানুষ। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই মনুষ্যত্ব বোধসম্পন্ন। এজন্য পৃথিবী আজও বসবাসের উপযুক্ত আছে। তবে আমি তোমাদের সময় দিচ্ছি, মানুষ হও। মানুষ হও। মানুষ হও। নইলে কপালে দুঃখ আছে। আমার সাথে লাগতে এসো না। পারবা না। আমি অন্য জিনিস।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




