
১। টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখায়।
স্বামী বাজার থেকে অনেক গুলো রুই মাছ কিনে নিয়ে আসে। দুই হাত ভর্তি বড় বড় রুই মাছ। বড় এত মাছ দেখে অবাক! বউ অবাক হয়ে স্বামীর দিকে তাকায়! স্বামী বলে মশলা ফ্রি। ২০ গ্রাম মশলা ফ্রি। একশ' গ্রাম মশলা কিনলে ২০ গ্রাম ফ্রি। এজন্য গাধা স্বামী অনেক গুলো রুই মাছ নিয়ে আসছে। আর ফ্রি ২০ গ্রাম হলুদ ফ্রি পেয়ে স্ত্রীও খুশি। এটা কোনো বিজ্ঞাপন হলো? বিরক্তিকর। রুই মাছ রান্না করতে কি শুধু হলুদ বা মরিচ এঁর গুড়া লাগে? আর কিছু লাগে না? যারা এরকম এড বানায় তাঁরা কি ছাগল? আর ২০ গ্রাম হলুদ বা মরিচের গুড়া দিয়ে কয়দিন রান্না করা যাবে? ছাগলামির একটা সীমা আছে। ফাজলামোর একটা সীমা আছে। আমার ইচ্ছা করে ওদের কঠিন সব গালি দেই।
২। আমাদের ড্রাইভারের নাম হাশেদুল।
হাশেদুল একটা ছাগল। এই ছাগল আজ থেকে দেড় বছর আগে বলেছে, স্যার আর্জেন্ট গাড়ির চাকা কিনতে হবে। চারটা চাকার করুণ অবস্থা। যে কোনো সময় রাস্তায় টুস। এরপর দেড় বছর চলে গেলো। চাকা বদলাই নি। কোথাও কোনো সমস্যা হয় নাই। তাহলে হাশেদুল ছাগল চাকা বদলানোর জন্য অস্থির হলো ক্যান? যাই হোক, এবার ঈদের আগে চাকা বদলাবো। দেড় বছর তো সুন্দর চললাম। দেশের মানুষ গুলো যেন কেমন হয়ে গেছে! সব ছাগল গুলোকে ধরে চাবকানো উচিৎ। এরা মুখের কথায় ঠিক হবে না। এদের সকাল বিকাল কয়েক ঘা করে চাবুক মারতে হবে।
৩। ঈদ এলে লোকজন আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলে।
এলাকায় মুচি এসে বলে, ঈদের বকশিস। যে ছেলেটা বাসা থেকে ময়লা নিয়ে যায় সে আসে, ঈদ বকশিশ। পাশের বাসার দাড়োয়ান আসে- ঈদ বকশিস। গলির মুখে সেলুন আছে। সেলুনে কাজ করে লোকমান। সে আসে- ঈদ বকশিশ। যে রাস্তা ঝাড়ু দেয়, সে আসে- ঈদ বকশিস। ভিক্ষুক আসছে- জাকাত, ফেতরা। দরিদ্র মানুষ আসছে। অসহায় মানুষ আসছে। মাদ্রাসা থেকে হুজুররা আসছে। পরিচিত অপরিচিত নানান ধরনের লোক প্রতিদিন আসছে- ঈদ বকশিস। পাগল বানিয়ে ফেলছে আমাকে। যেন তাঁরা আমার কাছে টাকা পায়। পাওনাদার। কলিংবেল টিপতেই থাকে। আরেহ ভাই এসব কি! কয়জনকে দেওয়া যায়? সবাইকে এক হাজার করে টাকা দিলেও, ৫০ লাখ টাকা দিয়েও ওদের আনাগোনা শেষ হবে না। আমি যাবো কই?
৪। টিভিতে আরেকটা বিজ্ঞাপন দেখি-
ইফতারের আগে স্বামী বাসায় এসেছে। বউ তো অবাক। বউ বলে, ফাইভ স্টারের ইফতারী রেখে বাসায় কেন? স্বামী বলে, তোমার জন্য। তুমি বাসায় একা। একা ইফতারী করবে। তাই চলে এলাম। তখন বউ বলে, আমার জন্য না রাধুনীর হালীমের জন্য? স্ত্রীর বানানো রাধুনীর হালীম দেখে স্বামী মুগ্ধ। বলা হয়, রাধুনীর হালিম অসাধারণ। অনেক মজা। আমি এই রাধুনীর হামিল কিনতে রেস্টুরেন্টে গেলাম। অথচ কোথাও পেলাম না। শাহী হালিম পেলাম। মামা হালীম পেলাম। কিন্তু রাধুনি হালিম নাই। ঘটনাটা বুঝলাম না। পরে ঘটনা বুঝলাম। রাধুনী আসলে একটা হালিমের মশলা। এই মশলা দিয়ে হালিম রান্না করলে হালিম খেতে দারুন হয়। মানে কি? হালিম রান্না করতে শুধু মশলা লাগে আর কিচ্ছু লাগে না? যারা এই এড বানায় তাঁরা কি মানুষদের ছাগল ভাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




