ছবিঃ ফেসবুক।
ভালোবাসা অন্যায় না। পাপ না।
কিন্তু ভালোবাসার একটা সময় আছে। সময়ের আগে ভালোবাসা করা অন্যায়। সবার আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু পোলাপান স্কুল কলেজে থাকা অবস্থাতেই প্রেম ভালোবাসা শুরু করে। তখন লেখাপড়ার ক্ষতি হয়। জীবনের সুন্দর পথ অসংখ্য ভুল দিয়ে ভরে যায়। এজন্য আগে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে তারপর প্রেম ভালোবাসা করতে হবে। যারা প্রেম ভালোবাসাকে বেশী গুরুত্ব দেয় তাদের কপালে দুঃখ থাকে। একজীবনে তাদের অসংখ্যবার কাঁদতে হয়।
বাবা মা সন্তানের ভালো চায়।
তাই প্রতিটা বাবা মা চায়- তার ছেলেমেয়ে আগে লেখাপড়া শেষ করুক। মানুষের মতো মানুষ হোক। নিজের পায়ের নিচের মাটিটা শক্ত করুক। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক। তারপর প্রেম ভালোবাসা। একজন ছেলে বা একজন মেয়ে যদি লেখাপড়া সুন্দরভাবে শেষ করে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রেম ভালোবাসা করে, তখন বাবা মা অবশ্যই মেনে নেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই যারা প্রেম ভালোয়াবসা করে, তাঁরা নির্বোধ। সবচেয়ে বড় কথা তাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দাগ পড়ে যায়। এই দাগ আমৃত্যু বহন করে চলতে হয়। দাগ উঠে না। ভুলে থাকাও যায় না। যন্ত্রনাবিদ্ধ হতে হয় অনেকবার।
ছাত্রবস্থায় প্রেম ভালোবাসা করতে গেলে- লেখাপড়ায় ক্ষতি হয়।
মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। তখন পোলাপান লেখাপড়া বাদ দিয়ে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ভাবে। ফালতু সব স্বপ্ন দেখে। অবশ্য তখন মন থাকে নরম, জ্ঞান থাকে কম- তাই ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সন্তানের কষ্ট মানে বাবা মায়ের কষ্ট। সন্তান ভালো থাকলে বাবা মা ভালো থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা এযুগের ছেলেমেয়েরা প্রেম ভালোবাসা বুঝেই না। তাঁরা মনে করে প্রেম ভালোবাসা মানেই রাত জেগে মোবাইলে কথা বলা। ফুচকা খাওয়া। পার্কে নিরিবিলিতে বসে থাকা। সুযোগ পেলে হাতাহাতি করা। এগুলো প্রেম নয়, নোংরামী।
মেয়েরা সাধারণত সহজ সরল হয়।
প্রেম ভালোবাসার ফাঁদে পড়লে তাদের সর্বনাশ। লেখাপড়ার বারোটা বেজে যায়। লেখাপড়া না করলে জীবন প্রায় অচল। এজন্য বাবা মা প্রেম ভালোবাসার বিরুদ্ধে। আমার নিজের কথা বলি- একবার পহেলা বৈশাখে আমি বাসায়। আব্বা বলল, আজ ঢাকা শহরের সমস্ত মানুষ বাইরে বের হয়েছে। ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তুই বাসায় ক্যান? তোর মেয়ে বন্ধু নাই? যা তার সাথে ঘুরে আয়। আব্বা আমাকে দুই হাজার টাকাও দিলো। আমি মিলি নামের একটা মেয়েকে ফোন দিলাম। বললাম, চলো আমরা একসাথে কিছু সময় কাটাই। সে বলল সে বন্ধুদের সাথে ভীষন ব্যস্ত। আরেকটা মেয়েকে ফোন দিলাম সেও ব্যস্ত। শেষে পাশের বাসার সুমনা ভাবীর সাথে বাইরে গেলাম।
আগে সুন্দর করে লেখাপড়া শেষ করতে হবে।
তারপর প্রেম ভালোবাসা। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রেম ভালোবাসা করলে কোনো বাবা মা মানা করবেন না। কিশোরী বয়সে মেয়েদের আবেগ থাকে বেশি। পোলা গুলো বদ হয়। আর এযুগের ছেলেদের প্রেম ভালোবাসার উদ্দেশ্য একটাই- বিছানায় নেওয়া। কেউ কেউ এতই আধুনিক যে তাদের প্রথম শারীরিক সম্পর্কটা ভিডিও করে রাখে। তারপরে সেই ছেলের সাথে ঝগড়া হয়। ছেলে ভয় দেখায়- এই ভিডিও আমি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো। মেয়ে কাঁদে। সারা জীবন ধরে কাঁদতে হয়। এই মেয়েটাই যদি লেখাপড়া শেষ করে। তারপর প্রেম ভালোবাসা করে, তখন মেয়েটা ভুল গুলো, সমস্যা গুলো বুঝতে পারে। সাবধান থাকতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২২