বাংলাদেশ হলো একটা গরীব দেশ।
এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ'ই গরীব। গরীবরা যা পায় তাই খায়। খাবার নিয়ে বিলাসিতা করার সময় গরীবদের নেই। বাংলাদেশে ছয়টা ঋতু। একেক ঋতুতে একেক রকম খাবার খেতে মজা। শীত কালের খাবার শীত কালেই মজা। ঈদে মানুষ এক রকম খাবার খায়। পহেলা বৈশাখে আরেক রকম খাবার খায়। ঈদে যেমন প্রতিটা ঘরে ঘরে সেমাই মাস্ট। কিন্তু পহেলা বৈশাখে কেউ সেমাই রান্না করে না। আসলে উৎসব বুঝে মানুষ খাবার খেতে পছন্দ করে। যেমন হঠাত করে বৃষ্টি এলে- খিচুড়ি, গরুর মাংস আর ইলিশ মাছ ভাঁজা হয়। আসলে আবহাওয়া, পরিবেশ, পরিস্থিতি মানুষের খাওয়ার রুচি তৈরি করে।
বাংলাদেশে ৬৪ টা জেলা।
একেক জেলার মানুষের একেক রকম খাবার পছন্দ। আবার ঢাকা শহরের মানুষের খাবারের পছন্দ অন্য রকম। একসময় বাংলাদেশের মানুষের জনপ্রিয় খাবার ছিলো- পান্তা ভাত, কাঁচা মরিচ, আলু ভরতা। এখনও অনেক গ্রামের মানুষ সকালবেলা পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করে। শহরের মানুষ পছন্দ করে রুটি-পরোটা। সাথে ভাজি, ডাল বা ডিম ভাজি ইত্যাদি। আমি আমাদের গ্রামে দেখেছি- আমার দাদা বাড়িতে সকালে সবাইকে লাল চা আর মুড়ি দেওয়া হতো। তার দেড়- দুই ঘন্টা পর দেওয়া হতো খিচুড়ি। সাথে নানান রকম ভরতা। সাধারণত আমি সকালের নাস্তা হোটেলে করি। বাসায় সকালের নাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু আমার হোটেলের নাস্তাই বেশি ভালো লাগে।
আমাদের দেশে জনপ্রিয় খাবারের অভাব নাই।
কেউ পছন্দ করে কাচ্চি। কেউ বিরানী। কেউ পোলাউ, সাথে গরুর মাংস। আসলে যে যেটা খেয়ে আরাম পায়, সেটাই তার প্রিয় খাবার। এই প্রজন্ম পছন্দ করে বার্গার, পিজা আর কোক। কেউ কেউ চিকেন ফ্রাই। আমি সকালে নাস্তা করি হোটেলের খাবার দিয়ে। ফুডপান্ডা কে ফোন দিলেই ওরা খাবার বাসায় এসে দিয়ে যায়। ফুডপান্ডার সার্ভিস ভালো। অবশ্য আমি বাসায় নাস্তা করি না বলে, বাসার মানুষজন আমার উপর রাগ। আমি অন্যের পছন্দে খেতে পারি না। আমাদের এলাকায় একটা রেস্টুরেন্ট আছে নেহারিটা দারুন বানায়। তন্দুর রুটি দিয়ে খেতে সেই লাগে।
ক্ষুধা পেলে মানুষ সামনে যা পায় তা-ই খায়।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার নিয়ে আমি কখনও মাথা ঘামাই না। আমি অতি সামান্য খাই। কিন্তু আমি যে খাবারটা খাই সেটা অবশ্যই স্বাদ হতে হবে। মজা না হলে আমি সেই খাবার ছুঁয়েও দেখি না। যাই হোক, বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার কি কি সেটা সঠিক করে বলা যাবে না। বাংলাদেশেরর প্রতিটা অঞ্চলে কিছু বিখ্যাত খাবার রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা হলো এক অঞ্চলের মানুষ আরেক অঞ্চলের খাবার খেয়ে নাক কুঁচকায়। বিক্রমপুর অঞ্চলের মানুষের রান্না ভালো। অনেক ভালো। সুরভির বাড়ি বিক্রমপুর না, কিন্তু সে ভালো রান্না করে। তার রান্নার সুনাম আছে।
ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য।
ধবধবে সাদা ভাত। এরচেয়ে সুন্দর আর কি আছে দুনিয়াতে! আমি ভাত খুব পছন্দ করি। ঝরঝরে ভাত। আজ আমাদের বাসায় একটা অনুষ্ঠান ছিলো। কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এসেছেন। পোলাউ রান্না হয়েছে। খিচুড়ি রান্না হয়েছে। গরুর মাংস। মূরগীর মাংস। আরো কি কি যেন ছিলো। শুকনা মরিচের ভরতা করে ছিলো। সাথে হয়তো রসুন আর পেঁয়াজ দিয়েছে। ভরতাটা খেতে দারুন হয়েছে। আমি ভরতা দিয়েই এক প্লেট খুচুড়ি খেয়ে ফেলেছি। ভালো লেগেছে। ভাবী বলল, শুকনা মরিচের ভর্তা গরম ভাতের সাথে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রিয় খাবার কি? আপনার অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৪