সংসার সুখের হবে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে।
সবার আগে সংসারে শান্তির জন্য 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এই 'ছাড়' স্বামী স্ত্রী দুজনকেই দিতে হবে। জীবনে যত 'ছাড়' দিবেন সংসার তত আনন্দময় হয়ে উঠবে। সাংসারিক জীবন যত পুরান হবে ঝগড়া লাগার সম্ভবা তত বেশি হবে। কাজেই সাবধান থাকতে হবে। এজন্য স্ত্রী কে সব সময় খুশি রাখতে হবে। স্ত্রী খুশি থাকলেই সংসার শান্তিময় হয়ে উঠবে। আপনি বাইরে যা খুশি তাই করুণ কিন্তু নিজের ঘর সব সময় ঠিক রাখতে হবে। নিজে ঘরসংসার শান্তি তো পুরো দুনিয়া শান্তি।
স্ত্রীকে খুশি রাখতে তাকে প্রতিমাসে দুইবার রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবেন।
যা খেতে চায় খাওয়াবেন। দুই মাস পর পর কম বেশি শপিং করে দিবেন। স্ত্রী জাতি শপিং করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। বছরে দুইবার দেশ এবং দেশে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবেন। স্ত্রীর বাবা মা ভাই বোনকে নিজের বাবার মায়ের চেয়ে বেশি ভালবাসবেন। অন্তত পক্ষে ভালোবাসার অভিনয় করবেন। দুই হাত ভরতি করে শ্বশুর বাড়িতে বাজার করে নিয়ে যাবেন। শ্বশুরের সাথে দাবা খেলবেন। এবং ইচ্ছা করে হেরে যাবেন। শালা, সমন্ধির যে কোণো কাজে মুগ্ধ হওয়ার ভাব দেখাবেন।
স্ত্রীকে সময় দিবেন। প্রচুর সময় দিবেন।
ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করবেন। স্ত্রী ভুল করলেও রাগবেন না। সুন্দর করে বুঝিয়ে বলবেন। স্ত্রী যা পছন্দ করে তাই করবেন। যা পছন্দ করে না তা কখনও করবেন না। যেমন ভেজা টাওয়াল বিছানায় রাখবেন না। যে জিনিস যে জায়গায় ছিলো সেখানেই রাখবেন। খবরের কাগজ টেবিলের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না। টিভি দেখতে বসলে টিভির রিমোট স্ত্রীর হাতে দিয়ে দিবেন। এবং স্ত্রী টিভিতে যা দেখবে, আমি তা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখবেন। মাঝে মাঝে আপনার মোবাইল স্ত্রীর হাতে দিয়ে দিবেন। তাতে তার অমূলক সন্দেহ গুলো দূর হবে।
সব সময় মাথায় রাখতে হবে-
মেয়েটা (আপনার স্ত্রী) আপনার হাত ধরে তার বাবা মা ভাইবোন ছেড়ে আপনার কাছে চলে এসেছে। তাকে দুঃখ দেওয়া যাবে না। কষ্ট দেওয়া যাবে না। অপমান অবহেলা করা যাবে না। আদর ভালোবাসার তাকে খুব যত্ন করে রাখতে হবে। আপনার স্ত্রী যখনই তার বাবার বাড়ি যেতে চাইবে সাথে সাথে রাজী হয়ে যাবেন। কোনোদিন বলবেন না। পরে যেও। স্ত্রীর সাথে এমন আচরন করবেন যেন পরের বার আবার দুনিয়াতে জন্ম নিয়ে এলে যেন আপনার স্ত্রী আপনাকেই স্বামী হিসেবে চায়।
আমার নিজের কথা বলি-
আমার সাথে সুরভির কখনও ঝগড়া হয় না। আমি বিয়ের আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম স্ত্রীর সাথে কখনও ঝগড়া করবো না। ঝগড়া আমার পছন্দ না। ছোটবেলায় দেখেছি আমার বাবা মা দুজনে খুব ঝগড়া করতো। সেই থেকে আমার ইচ্ছা হয়েছে আমি কোনোদিন আমার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করবো না। নো নেভার। আমি যখন'ই বাইরে যাই খালি হাতে বাসায় ফিরি না। দশ টাকার বাদাম হলেও স্ত্রীর জন্য নিয়ে আসি। একদিন কথায় কথায় সুরভি বলেছিলো- চিড়ার মোয়া খেতে ইচ্ছা করে। আমি সেদিনই খুঁজে খুঁজে চিড়ার মোয়া নিয়ে বাসায় ফিরেছি। মোয়া দেখে সুরভি খুব খুশি। ভীষন খুশি। মাত্র চল্লিশ টাকা এক পেকেট চিড়ার মোয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৬