somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বর্তমান প্রজন্ম

২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বর্তমান প্রজন্ম নির্বোধ। এদের জ্ঞান বুদ্ধি কম।
সবচেয়ে বেশি কম এদের লজ্জা শরম। এরা টিকটক নিয়ে মহা ব্যস্ত। এরা মনে করে টিকটক মানেই জীবন-মরন। আমি বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে খুব হতাশ। এরা প্রতিবন্ধী না হয়েও এরা প্রতিবন্ধী। এদের প্যান্ট কোমরে থাকে না। অনেক নীচে নেমে যায়। এদের মানসিকতাও অনেক আগেই নীচে নেমে গেছে। এই প্রজন্মের পিতামাতারা জানি কেমন! সন্তান কি করছে, কোথায় যাচ্ছে? এই খবর তাঁরা রাখেন না। তাঁরা জন্ম দিয়েই খালাস। ইহা ভুল। ইহা অন্যায়। সন্তান শুধু জন্ম দিলেই হয় না। জন্ম তো কুকুর বিড়ালও দেয়। বাবা মার কারনে এই প্রজন্ম দিন দিন অধপতনের শেষ সীমানায় যাচ্ছে।

এই প্রজন্ম একটা ইঞ্জিনওলা নৌকা ভাড়া করে।
সেই নৌকায় দুজন ভাড়া করা পতিতা নেয়। নৌকা চলে। সাথে বিকট গান বাজনা। পতিতা দুইজন নাচে, সাথে সাথে প্রজন্মও নাচে। এটা কি রকম কুৎসিত আনন্দ? বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে দেখা যায়- একটা পিকআপ ভ্যান ভাড়া নিয়ে, তাতে সাউন্ড সিস্টেম উঠিয়ে চ্যাংড়া পোলাপান নাচতে থাকে। অতি কুৎসিত নাচ। রাস্তায় লেগে যায় জ্যাম। সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই। এই প্রজন্ম প্রেম ভালোবাসা করে সেক্স করার জন্য। এবং গোপনে তা ভিডিও করে রাখে। চায়ের দোকানে বসে বন্ধুকে দেখায়। যেন সে বিরাট এক ভালো কাজ করেছে।

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এক একজন লাইলী মজনু।
প্রত্যেকে তিন-চারটা করে প্রেম ট্রেম করে। তাদের কাছে প্রেম ভালোবাসা এতই সস্তা যে সকালে রিলেশন বিকেলে ব্রেকাপ। দুঃখজনক কথা হলো- এই প্রজন্ম প্রেম ভালোবাসা বুঝেই না। তাদের কাছে প্রেম ভালোবাসা মানে হলো- চিপায় চিপায় গিয়ে চুমোচুমি করা, হাতাহাতি করা। রাত জেগে মোবাইলে কথা বলা। এমন কি চলতি রিকশার মধ্যেও তাঁরা নোংরামী করে। এটাই তাদের আধুনিকতা। এটাই তাদের কাছে আর্ট। এই প্রজন্ম কে সঠিক পথে আনতে হলে সকাল বিকাল দুইবেলা নিয়ম করে জুতো দিয়ে মারতে হবে। মাথায় হাত বুলিয়ে, আদর করে এদের লাইনে আনা যাবে না।

এক আঙ্গুল সমান বয়স- অথচ সিগারেট খেয়ে ধোয়া দিয়ে ভরে ফেলে।
ময়মুরুব্বি কিছুই মানে না। এটাও তাদের কাছে ফ্যাশনের একটা অংশ। এই প্রজন্মের মুখের ভাষা প্রচন্ড খারাপ। তাঁরা প্রচন্ড নোংরা গালি দেয়। গালি ছাড়া তাঁরা কথাই বলতে পারে না। বন্ধুর বাসায় নাইট পার্টি করে। মদ খেয়ে নাচ-গান করে। রাস্তায় মেয়ে দেখলে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে। খারাপ কথা বলে। চিপা চিপা শার্ট প্যান্ট পরে। অবশ্য ওরা বলে 'ন্যারো'। 'ন্যারো' আসলে ওদের মানসিকতা। এখনও নাক টিপলে দুধ বের হয়, লেখাপড়ার বালাই নাই অথচ তাঁরা গর্ব করে বলে তাঁরা রাজনীতি করে। অমুক বড় ভাই। তমুক বড় ভাইয়ের তাঁরা ক্লোজ ছোট ভাই।

বর্তমান প্রজন্ম সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা দেখে- মুখে দাঁড়ি রাখে।
মারামারি শিখে। ভন্ডামি শিখে। প্রতারনা শিখে। ঢাকা শহরের প্রতিটা এলাকায় একটা করে গ্যাং আছে। এই সম স্ত গ্যাং এর কাজ'ই হচ্ছে মারামারি করা। অল্প বয়সী পোলাপান কিছু হলেই রাম দা নিয়ে বেড়িয়ে যায়। যারা ভীতু তাঁরা হেলমেট পরে নেয়। যারা সাহসী তাঁরা হেলমেটের ধারধারে না। বর্তমান প্রজন্ম পঙ্গু প্রজন্ম। স্মার্ট ফোন তাদের পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। ঘরে ভাত নাই কিন্তু সবার হাতে দামী মোবাইল। একহাতে সিগারেট, একহাতে মোবাইল। এরকম প্রজন্ম জাতিকে ধ্বংস করে দিবে। এই প্রজন্ম নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। সরকার তো দূরের কথা এই প্রজন্মকে যারা জন্ম দিয়েছেন তাদেরও কোনো চিন্তা ভাবনা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:০৩
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×