somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বাঁশি

২৯ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ সুরের ভুবন।

বাংলাদেশে বাঁশি নিয়ে নাটক সিনেমা আর গল্প উপন্যাস অনেক আছে।
সেসব গল্প আমি আপনাকে বলব না। আমি বলব বাঁশি নিয়ে আমার নিজের জীবনের একটা গল্প। টিএসসি'তে বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দেই। তখন প্রায়ই দেখতাম- একলোক রাস্তা দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে যাচ্ছেন। লোকটা দারুন বাঁশি বাজাতো। যে কোন সুর বাঁশি দিয়ে সুন্দর তুলতে পারতো। আমি মুগ্ধ হয়ে বাঁশি শুনতাম। কখনও কখনও লোকটার পিছু পিছু যেতাম। বাশির সুর আজও আমাকে মুগ্ধ করে! পাগল করে!

একদিন গভীর রাতে ছাদে উঠেছি।
সিগারেট খাবো। কারন বাসা ভরতি মেহমান। ছাদে সিগারেট ধরিয়েছি আর তখন শুনি কে যেন বাঁশি বাঝাচ্ছে। দূর্দান্ত সেই বাশির সুর। আমি আবেগে ভেসে গেলাম! হারিয়ে গেলাম! পরের দিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম আমি বাঁশি বাজানো শিখব। আব্বাকে বললাম। আব্বা বলল, তোমার কোনো চিন্তা পরিকল্পনা তো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমি বললাম, এবার হবে। আব্বা একটা হাসি দিলো। সেই হাসির অর্থ কি আমি জানি না।

ধানমন্ডি একটা স্কুলে ভরতি হলাম।
তাঁরা বাঁশি শিখায়, গিটার শিখায়, গান শিখায়। নাচ শিখায়, অভিনয় শিখায়। আমি চোখ বন্ধ করে বাঁশি শেখার জন্য ভরতি হয়ে গেলাম। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাশ। খুব মন দিয়ে শিখতে শুরু করলাম। কিন্তু আমার বাঁশি শিক্ষক আমার হাতে বাঁশি দেয় না। বোর্ডে কি সব লিখে বুঝাতে থাকে। দিনের পর দিন। আমার বিরক্ত লাগে। আমি কিচ্ছু বুঝি না। তবু মাথা ঝাকাই। হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি। কারন ক্লাশে বেশ কয়েকটা মেয়ে আছে। মেয়েদের সামনে কি করে বলি- আমি বুঝি নাই।

দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি সিদ্ধান্ত বদলে নিলাম।
আমি বাঁশি শিখব না। আমি শিখব গিটার। কারন শর্মী নামে একটা মেয়ে গিটার শিখতে আসে। মেয়েটা দারুন সুন্দরী। মেয়েটাকে দেখে আমি মুগ্ধ! আব্বাকে বললাম, আব্বা বাঁশি ক্যান্সেল। আমি গিটার শিখব। আব্বা বলল, কোনো সমস্যা নাই, যা মন চায় শিখো। আমি মরে গেলে বুঝবা- হাউ মেনি পেডি হাউ মেনি রাইস। 'কত ধানে কত চাল'! নতুন করে আবার ভরতি হলাম গিটারের ক্লাশে। শর্মীর পাশে আমি বসি। নিজেকে কোরিয়ান মুভির নায়ক মনে হয়! মেয়েটার পাশে বসতেও আমার ভালো লাগে। শর্মীর সাথে খাতির হয়ে গেলো। ক্লাশ শেষে আমি আর শর্মী অনেকখানি পথ একসাথে হাঁটি।

একদিন শর্মী বলল, গিটার আমার ভালো লাগে না।
অনেক কঠিন। আমি 'বায়োলিন' শিখবো। আমি বললাম, শর্মী তুমি অতি উত্তম কথা বলেছো। বাসায় এসে আব্বাকে বললাম, আব্বা বায়োলিন কি? আব্বা বলল, বেহালা। আমি বললাম, আব্বা আমি- - - । আব্বা বলল, হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। তুমি বেহালয়া শিখবে। আব্বা বলল, জানো টাকা ইনকাম করতে আমাকে কত কষ্ট করতে হয়? আমি বললাম, লিখে রাখো। সব পরিশোধ করে দিবো। তাছাড়া বাবা মায়ের দায়িত্ব ছেলেমেয়ের সখ পূরন করা। কারন তোমরাই আমাকে দুনিয়াতে এনেছো। আমি নিজের ইচ্ছায় আসি নাই। যাইহোক, আমি আর শর্মী ভরতি হলাম বেহালা ক্লাশে।

সত্য কথা বলি- বেহালা ক্লাশ আমার ভালো লাগে না।
আমার ভালো লাগে শর্মীকে। ক্লাশ শেষ হয়। আমি আর শর্মী হাঁটতে হাঁটতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পর্যন্ত যাই। কি যে ভালো লাগে! একদিন শর্মী আমাকে ফোন দিলো। বলল, বাসায় আসো। আমি বেহালায় নতুন সুর তুলেছি। গেলাম শর্মীর বাসায়। শর্মীরা বিরাট ধনী। সবার আলাদা আলাদা ঘর। এমন কি শর্মীর বাবা মা এক রুমে থাকেন না। তাদেরও আলাদা আলাদা ঘর। প্রথম দিনই শর্মী আমাকে তার রুমে নিয়ে গেলো। কোনো জড়তা নেই। শর্মী সিগারেট খেতো। কসম খেয়ে বলতে পারি- এত সুন্দর করে সিগারেট খেতে আমি কোনো মেয়েকে দেখি নাই। একদিন সিগারেট খেতে আমাদের দেখে ফেললো শর্মির বাবা।

(বাকিটুকু পরে কখনও লিখব। এখন ভালো লাগছে না। )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেল আর জল কখনো এক হয় না......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



জুলাই ছিলো সাধারণ মানুষের আন্দোলন, কোন লিডার আমারে ডাইকা ২৪'এর আন্দোলনে নেয় নাই। কোন নেতার ডাকে আমি রাস্তায় যাই নাই। অথচ আন্দোলনের পর শুনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নাকি মাহফুজ। জুলাই বিপ্লবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্ল্যাং রেভলিউশন: ১৮+ সতর্কবার্তা ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০


সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকে একটা ভাইরাল ভিডিও চোখে পড়লো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্য সালাউদ্দিন আম্মার গণজাগরণ মঞ্চ ৩.০ তে উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন: দেখতে পাইলে বাকশাল, শা*উয়া মা*উয়া ছিড়া ফেল/... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×