
১। মিলির সামনে রয়েছে চমৎকার একটি মেয়ের ছবি। মিলি বলছে আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। আর ছবির মেয়েটির মা আমার বাবার মেয়ে। ঐ ছবিটি কার?
২। আমার বাবা আমাকে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলো। এক বছর হয়ে গেছে। আমি রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করি না। একদিন আব্বা ম্যাসেজ দিলো প্লীজ 'এড মি'। তবুও আমি একসেপ্ট করি নাই। কোনো কারন ছিলো না। এমনি একসেপ্ট করি নাই। সেই রিকোয়েস্ট এখনও ঝুলে আছে। অথচ আব্বা নাই। করোনাতে আব্বা মারা গেলো। মাঝে মাঝে ভীষন কষ্ট হয়।
৩। ধরুন, আপনি একটা উপন্যাস লিখলেন। এখন এটা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন। আপনি যে কোনো প্রকাশকের কাছে যান কেউ তা প্রকাশ করবে না। আপনার লেখা যতই ভালো হোক না কেন। যদি আপনি ২৫ হাজার টাকা দেন তাহলে সব প্রকাশনী আপনার বই বের করতে রাজী হবে। টাকার বিনিময়ে প্রকাশক আপনার ৩০০ টি বই ছাপাবে। ১০০ শ' বই আপনাকে দিয়ে দিবে। এই শ্রেনীর লেখকেরা নিজের বই বিক্রি করার জন্য শেষমেশ লোকজনের হাতে পায়ে ধরে।
৪। রাত তিনটা বিশ মিনিটে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গল। ঘামে আমার সারা শরীর ভিজে গেছে। স্বপ্নে দেখি- আমাকে একটা ছোট্র অন্ধকার ঘরে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। ঘর ভর্তি সাপ। সাপ গুলো আমার সারা শরীরে কিলবিল করছে। সাপ আমি অনেক ভয় পাই। আমার সারা শরীরে সাপ গুলো ঝাপটা দিয়ে প্যাচিয়ে আছে। এর মধ্যে একটা সাপ আদুরে ছোট বাচ্চাদের মতন আমার গলা প্যাচিয়ে ধরেছে এবং একটু পর পর কামড় দিচ্ছে। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে । তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে গেছে। চিৎকার করে কাউকে ডাকবে কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। বুঝতে পারছি, আমার সময় শেষ। কিন্তু মরার আগে শরীরের সব শক্তি দিয়ে একটা গা ঝাড়া দিলাম। তখন ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তিনটা বিশ বাজে।
৫। ঢাকা শহরটা বড় অদ্ভুত। ভর দুপুরবেলা আমি মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। হাতে কোনো কাজ নেই। কি করবো, কোথায় যাবো- কিছুই পূর্বনির্ধারিত নয়। গলা শুকিয়ে কাঠ। মাথার উপরে গনগনে সূর্য। চলছে আষাঢ় মাস। অথচ সূর্যের তাপ দেখে মনে হচ্ছে গ্রীষ্ম কাল। একলোক ফুটপাতের সামনে দাঁড়িয়ে গেন্ডারির রস বিক্রি করছে। খাবো কিনা বুঝতে পারছি না। ঠিক এই সময় দেখতে পেলাম এক মেয়ে রিকশায় করে আমার দিকেই আসছে। মেয়েটির চোখে মুখে দিশেহারা ভাব।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


