
মানুষের মনটা বড় অদ্ভূত এবং রহস্যময়।
এই রহস্যের শেষ কোথায় কে জানে। মানুষ অন্যকে তার অভিজ্ঞতা থেকে তুলনা করে। মানব সভ্যতার ইতিহাস হল- দ্বন্দ্বের ইতিহাস। এ দ্বন্দ্ব যেমন চলে সমাজের মধ্যে, তেমনই ব্যক্তি মানুষের নিজের ভিতরেও। সে স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নভঙ্গ হয়, তবু আবার স্বপ্ন দেখে। এভাবেই এগোতে থাকে সমাজ, রাষ্ট্র এবং পৃথিবী। অগ্রগতি সরলরেখায় হয় না, থাকে নানান বাঁক, উত্থান, পতন, বিপ্লব, প্রতিবিপ্লব। মানুষের মনটা বড় অদ্ভূত এবং রহস্যময়। এই রহস্যের শেষ কোথায় কে জানে। মনোবিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবেন। যে জিনিস (ঈশ্বর) নাই সেটা নিয়ে কেন সময় নষ্ট করবো?
মানুষ তার ভাগ্য নির্মাতা।
এখানে ঈশ্বরের কোনো ভূমিকা নেই। অসহায় ও দুর্বল মানুষ মনে করে সব কিছু ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে। এই দুনিয়াতে বহু মন্দ কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন আপনিই বলুন ঈশ্বর কি কোনো মন্দ কাজ করতে পারেন? অপরাধীরা অপরাধ করবে, সেই দায় ভার কি ঈশ্বরের? ঈশ্বর তো মহান ধর্মীয় গ্রন্থ দিয়েই দিয়েছেন। সে গুলো না মানলে কি হবে সেটাও বলে দিয়েছেন। আপনি এখন আধুনিক যুগে বাস করছেন। বিজ্ঞানের যুগে বাস করছেন। এযুগে কেউ পানিপড়া, তাবিজকবচ বা ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে না। প্রচুর পড়াশোনা করুণ তাহলে আপনারা সব ভুল ধারনা এবং মনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কুসংস্কার গুলো দূর হয়ে যাবে। অযথা পরকালের ভয়ে পৃথিবীতে নিজের আনন্দ মাটি করবেন না।
সব কিছু মানুষের হাতে।
যেমন ধরুন একটা লাঠি দিয়ে অন্ধ লোক পথ চলে, আবার সেই লাঠি দিয়ে একজনকে পিটিয়ে মেরেও ফেলা যায়। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে মানুষের হাতে। ঈশ্বরের হাতে কিছু নেই। আসলে ঈশ্বর'ই নেই। একসময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তখন তাঁরা ঝড়, বৃষ্টি দেখলেও ভয় পেয়ে যেত। সেই সময় মানুষ তার অল্প জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বর কে তৈরি করেছেন। এবং সে সময়কার চালাক লোক গুলো নিজেদের সুবিধার জন্য ঈশ্বরকে ব্যবহার করে গেছেন। অজ্ঞতাই জন্ম দিয়েছে- ঈশ্বর, জ্বীন ভূত আর শয়তানের। ঈশ্বর এবং ধর্ম সৃষ্টি না হলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হতো। দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী হানাহানি হয়েছে ধর্ম নিয়ে। ফলাফল অসংখ্য মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করা হয়েছে।
ধরে নিলাম ঈশ্বর আছেন, তাতে আমার কি?
তাতে আমার কিছু যায় আসে না। দুনিয়াতে আমাকে পরিশ্রম করেই বেঁচে থাকতে হবে। ঈশ্বর তো আর আমার দুনিয়া সাজিয়ে গুছিয়ে দিবেন না। আমি দুনিয়াতে ঈশ্বরকে খুশি করতে আসিনি। আমি নামাজ নাম দিয়ে সারাদিনে পাঁচবার উঠবস করতে পারবো না। আমি উঠবস করলে ঈশ্বরের কি লাভ? এরচেয়ে ভালো আমার ছোট কন্যাকে নিয়ে হাঁটতে বের হবো। সে খুব খুশি হবে। আমার কন্যা খুশি থাকলে আমার আনন্দ হয়। ঈশ্বরের খুশি নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আজ পর্যন্ত আমি কোনো প্রমান পাইনি একজন ঈশ্বর আছেন। প্রমান পেলে আমার জন্য ভালো হতো। অনেকের জন্য ভালো হতো। তাহলে দুনিয়াটা হতো আস্তিকময়। মানুষ হত্যাও বন্ধ হতো।
আরবদের ঈশ্বর সৃষ্টি করেছে কিছু চতুর লোক।
সেটা আমি এই যুগে এসে কেন মানবো? পুরোনো ধ্যানধারনা কেন আমি লালন করবো। কেন পুষবো? ১৪৪৫ শ' বছর আগের কিতাব নিয়ে আমি কেন জীবনযাপন করবো? বহুলোক ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন পড়ার পর নাস্তিক হয়ে গেছে। তাদের স্পষ্ট কথা- এটা কোনো ঈশ্বরের লেখা হতে পারে না। তবে বাইবেলে যীশু বেশ কিছু ভালো ভালো কথা বলেছেন। পড়লে ভালো লাগে। রামায়ন, মহাভার ১০০% রুপকথা। রুপকথার দিন শেষ। এখন বিজ্ঞানের কথায় লোকজন উঠবস করে। বিজ্ঞান ধার্মিকদের কোনঠাসা করে দিয়েছে। ধর্মীয়গ্রন্থ গুলো জন্মের পর পৃথিবীর মানুষ আজ পর্যন্ত কোনো ঈশ্বরের অলৌকিক কিছু দেখতে পায়নি। কাজেই ঈশ্বরের কাছে আমার চাওয়ার কিছু নেই।
(লেখাটি আমার বন্ধু শাহেদ জামাল লিখেছেন। আমি তার অনুমতি নিয়ে লেখাটি সামুতে শেয়ার করলাম।)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


