somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

কলমটি বইয়ের উপর, বইটি টেবিলের উপর, অতএব কলমটি টেবিলের উপর

০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

মানুষের মনটা বড় অদ্ভূত এবং রহস্যময়।
এই রহস্যের শেষ কোথায় কে জানে। মানুষ অন্যকে তার অভিজ্ঞতা থেকে তুলনা করে। মানব সভ্যতার ইতিহাস হল- দ্বন্দ্বের ইতিহাস। এ দ্বন্দ্ব যেমন চলে সমাজের মধ্যে, তেমনই ব্যক্তি মানুষের নিজের ভিতরেও। সে স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নভঙ্গ হয়, তবু আবার স্বপ্ন দেখে। এভাবেই এগোতে থাকে সমাজ, রাষ্ট্র এবং পৃথিবী। অগ্রগতি সরলরেখায় হয় না, থাকে নানান বাঁক, উত্থান, পতন, বিপ্লব, প্রতিবিপ্লব। মানুষের মনটা বড় অদ্ভূত এবং রহস্যময়। এই রহস্যের শেষ কোথায় কে জানে। মনোবিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবেন। যে জিনিস (ঈশ্বর) নাই সেটা নিয়ে কেন সময় নষ্ট করবো?

মানুষ তার ভাগ্য নির্মাতা।
এখানে ঈশ্বরের কোনো ভূমিকা নেই। অসহায় ও দুর্বল মানুষ মনে করে সব কিছু ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে। এই দুনিয়াতে বহু মন্দ কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন আপনিই বলুন ঈশ্বর কি কোনো মন্দ কাজ করতে পারেন? অপরাধীরা অপরাধ করবে, সেই দায় ভার কি ঈশ্বরের? ঈশ্বর তো মহান ধর্মীয় গ্রন্থ দিয়েই দিয়েছেন। সে গুলো না মানলে কি হবে সেটাও বলে দিয়েছেন। আপনি এখন আধুনিক যুগে বাস করছেন। বিজ্ঞানের যুগে বাস করছেন। এযুগে কেউ পানিপড়া, তাবিজকবচ বা ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে না। প্রচুর পড়াশোনা করুণ তাহলে আপনারা সব ভুল ধারনা এবং মনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কুসংস্কার গুলো দূর হয়ে যাবে। অযথা পরকালের ভয়ে পৃথিবীতে নিজের আনন্দ মাটি করবেন না।

সব কিছু মানুষের হাতে।
যেমন ধরুন একটা লাঠি দিয়ে অন্ধ লোক পথ চলে, আবার সেই লাঠি দিয়ে একজনকে পিটিয়ে মেরেও ফেলা যায়। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে মানুষের হাতে। ঈশ্বরের হাতে কিছু নেই। আসলে ঈশ্বর'ই নেই। একসময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তখন তাঁরা ঝড়, বৃষ্টি দেখলেও ভয় পেয়ে যেত। সেই সময় মানুষ তার অল্প জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বর কে তৈরি করেছেন। এবং সে সময়কার চালাক লোক গুলো নিজেদের সুবিধার জন্য ঈশ্বরকে ব্যবহার করে গেছেন। অজ্ঞতাই জন্ম দিয়েছে- ঈশ্বর, জ্বীন ভূত আর শয়তানের। ঈশ্বর এবং ধর্ম সৃষ্টি না হলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হতো। দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী হানাহানি হয়েছে ধর্ম নিয়ে। ফলাফল অসংখ্য মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করা হয়েছে।

ধরে নিলাম ঈশ্বর আছেন, তাতে আমার কি?
তাতে আমার কিছু যায় আসে না। দুনিয়াতে আমাকে পরিশ্রম করেই বেঁচে থাকতে হবে। ঈশ্বর তো আর আমার দুনিয়া সাজিয়ে গুছিয়ে দিবেন না। আমি দুনিয়াতে ঈশ্বরকে খুশি করতে আসিনি। আমি নামাজ নাম দিয়ে সারাদিনে পাঁচবার উঠবস করতে পারবো না। আমি উঠবস করলে ঈশ্বরের কি লাভ? এরচেয়ে ভালো আমার ছোট কন্যাকে নিয়ে হাঁটতে বের হবো। সে খুব খুশি হবে। আমার কন্যা খুশি থাকলে আমার আনন্দ হয়। ঈশ্বরের খুশি নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আজ পর্যন্ত আমি কোনো প্রমান পাইনি একজন ঈশ্বর আছেন। প্রমান পেলে আমার জন্য ভালো হতো। অনেকের জন্য ভালো হতো। তাহলে দুনিয়াটা হতো আস্তিকময়। মানুষ হত্যাও বন্ধ হতো।

আরবদের ঈশ্বর সৃষ্টি করেছে কিছু চতুর লোক।
সেটা আমি এই যুগে এসে কেন মানবো? পুরোনো ধ্যানধারনা কেন আমি লালন করবো। কেন পুষবো? ১৪৪৫ শ' বছর আগের কিতাব নিয়ে আমি কেন জীবনযাপন করবো? বহুলোক ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন পড়ার পর নাস্তিক হয়ে গেছে। তাদের স্পষ্ট কথা- এটা কোনো ঈশ্বরের লেখা হতে পারে না। তবে বাইবেলে যীশু বেশ কিছু ভালো ভালো কথা বলেছেন। পড়লে ভালো লাগে। রামায়ন, মহাভার ১০০% রুপকথা। রুপকথার দিন শেষ। এখন বিজ্ঞানের কথায় লোকজন উঠবস করে। বিজ্ঞান ধার্মিকদের কোনঠাসা করে দিয়েছে। ধর্মীয়গ্রন্থ গুলো জন্মের পর পৃথিবীর মানুষ আজ পর্যন্ত কোনো ঈশ্বরের অলৌকিক কিছু দেখতে পায়নি। কাজেই ঈশ্বরের কাছে আমার চাওয়ার কিছু নেই।

(লেখাটি আমার বন্ধু শাহেদ জামাল লিখেছেন। আমি তার অনুমতি নিয়ে লেখাটি সামুতে শেয়ার করলাম।)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: রহস্যময় চৌধুরী ভিলা

লিখেছেন গ্রু, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৩



পরদিন সকালে আকাশ পরিষ্কার। গতরাতের বৃষ্টির কোনো চিহ্ন নেই, শুধু রাস্তার ধারের গাছগুলো থেকে টুপটাপ জল পড়ছে। অনিরুদ্ধ তার জীর্ণ নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে তৈরি হয়ে নিল। সে সাধারণত রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

I have a plan

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২২

আসেন নেতা পা বাড়ান সামনে এগিয়ে চলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

সামনে আজাদ পেছনে দিল্লি কোন দিকে যাই বলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

যে দিকেই যাই ৩৬ যাবে? সেইটা ক্লিয়ার করেন
প্ল্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×