ছবিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রেইন লিলি ফুটে আছে।
অতি তুচ্ছ ঘটনা কিন্তু মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। সাথে সাথে সুরভিকে ফোন দিলাম। সুরভি গেছে তার বাবার বাড়ি। সুরভি রেইন লিলি দেখে অবাক! এই গাছটার কোনো যত্ন নেওয়া হয় না। দীর্ঘদিন ধরে চিপায় পড়ে আছে।
১। দুষ্টলোক কি কখনও ভালো হয়?
আমার ধারনা দুষ্টলোক কখনও ভালো হয় না। একজন দুষ্টলোক মৃত্যুর দশ মিনিট আগেও সময় সুযোগ পেলে একটু বদমাইশি করে নিবে। কথায় বলে অনেক জালিম 'আলেম' হয়ে যায়। আলেম হয়ে যাওয়া মানেই ফেরেশতা হয়ে যাওয়া নয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং জমা দেইনি। ঠিক তেমনি জালিম লোক আলেম হলেও বদমাইশি বাদ দিতে পারে না। কিছু কিছু বদলোকের রক্তের মধ্যে বদমাইশি ঢুকে যায়। বাংলাদেশের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে বদলোক দিয়ে ভরা। আপনি কয়জনের পদত্যাগ চাইবেন? ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে, এমন কি ব্লগেও কিছু ক্রিমিনাল দিয়ে ভরে গেছে। এরা সুযোগ পেলেই ক্রাইম করছে। ইচ্ছা করে চাবুক দিয়ে এদের পিটাই। একজন দুষ্টলোক আবার আরেকজনকে সাপোর্ট করছে।
সেদিন দেখলাম একজন মন্তব্য করেছেন-
এই যে কিছু লোক ক্রাইম করছে। একজন সম্মানিত লোককে অপমান অপদস্ত করছে- তুমি কি দেখো না? তাদের বিরুদ্ধে আমি কিছু লিখলে তো দৌড়ে চলে আসো। লেখা সরিয়ে ফেলো। মুছে দাও। ব্যান করে দাও। এখন কি তুমি অন্ধ হয়ে গেছো? আসলে তুমি ভালো মানুষ না। তুমি ভালো হও। সৎ হও। তাতে তোমারই মঙ্গল। যাইহোক, যে যা খুশি লিখুক। বলুক। আমার কিছু যায় আসে না। কারন দুষ্টলোকজন শুধু ঘেউ ঘেউ করবে। করেই যাবে। দুষ্টলোক মুক্ত সমাজ, দেশ- পৃথিবী কখনও হবে না। মক্কা মদীনায়ও দুষ্টলোক দিয়ে ভরা। এমন কি মুসলিমরা হজ্ব করতে গেলেও ভিড়ের মধ্যে কুনি দিয়ে গুতাগুতি করে।
২। সত্যজিৎ, রবীন্দ্রনাথ, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, কোরআন, রাজনীতি এক প্রসঙ্গ থেকে আরেক প্রসঙ্গে চলে যায় আড্ডা। এক অধ্যাপক তো শালা, শুয়োরের বাচ্চা অতি সহজেই বলে ফেলেন আড্ডাতে। কারন জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। অথচ এই অধ্যাপক পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। অধ্যাপকের স্বভাবের মধ্যে একটা ভদ্র, অকৃপন দিলদরিয়া ভাব আছে যা কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে থাকে না। মধ্যবিত্তদের সব সময় অর্থ চিন্তা করতে হয়। এই চিন্তা করতে গিয়ে মায়া-দয়া, সৌজন্যতা সব বিসর্জন দিতে হয়। এই দৈন্যতা ও আত্মগ্লানি মনে নিতে কষ্ট হয়। ফলাফল দূরত্ব, সম্পর্ক নষ্ট।
৩। আমার বন্ধু রফিক একদিন জীবনানন্দের কবিতার বই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিলো। বলল, এসব কবিতা মনকে বিগড়ে দেয়। আর পড়বো না। আমাদের দেশটা গরীব। গরীব দেশে কবিতা নিয়ে বিলাসিতা করা অন্যায়। যে মানুষ শেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ, ওমর খৈয়াম, রুমী, জিবরান, এলিয়ট, জীবনানন্দ পড়ে আনন্দ পায়, সে শুধু হিন্দু-মুসলমান বা শুধু মানুষ নয়। সে পৃথিবীর নাগরিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৭