
বাংলা সিনেমার নায়ক শাকিব কে মূল্যায়ন করার কিছু নেই। দেশের শিক্ষিত সমাজ তার সিনেমা দেখে না। দেশ ও সমাজের জন্য শাকিব কোনোদিন কিছু করেন নি। দেশ ও সমাজের জন্য যে কিছু করতে হয় সেই জ্ঞান বা মেধা তার নেই। সে শুধু একটা কাজই ভালো পারে- বিয়ে না করে মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা। আর মেয়েদের গর্ভবতী করা। শাকিব এর আসল নাম মাসুদ। সিনেমা করতে গিয়ে সে শাকিব খান নাম নিয়েছেন। উনি মানুষ হিসেবে উন্নত নন। তার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই। মানবিকতা নেই। দেশের মূর্খ শ্রেনী তাকে নিয়ে মাথা ঘামায়। একজন জ্ঞানী বা রুচিশীল ব্যাক্তি শাকিবকে নিয়ে ভাববে না। তাকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই। তার একমাত্র যোগ্যতা নিম্ম মানের বাংলা সিনেমা করা।
শাকিবের অভিনয় অতি নিম্ম মানের। অভিনয় একটা শিল্প। কিন্তু এই শিল্প তার অভিনয়ে দেখা যায় না। আজ পর্যন্ত শাকিব এমন একটা মুভি করতে পারে নি, যে সিনেমা তাকে মানুষের হৃদয়ে ধাক্কা দিয়েছে। শাকিবের উচ্চারন ভালো না। সে ইংরেজি কথা বলতে পারে না। (ইংরেজীতে কথা না বলতে পারাটা অন্যায় নয়)। কিন্তু সে এমন ভাব দেখায়- সে ইংরেজিতে অতি পন্ডিত। স্টেজে উঠে একটা ইংরেজী শব্দ বলে ঘাবড়ে যায়। এরপর ভুল উচ্চারনে বাংলা বলতে শুরু করে। মিডিয়ার উচিৎ দেশের সমস্যা গুলোতে ফোকাস করা। শাকিবের মতো তৃতীয় শ্রেনীর নায়ককে নিয়ে লাফালাফি বন্ধ করা। শাকিবের কাজ শুধু মেয়েদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে সেক্স করা। একজন নীতিবান মানুষ, একজন আদর্শবান একজন সৃষ্টিশীল মানুষ অনৈতিক কাজ করতে পারে না। একজন ধর্ষনকারীর চেয়ে শাকিব বেশি খারাপ।
আমি আজ পর্যন্ত সাকিবের কোনো সিনেরমা দেখি নাই। কোনোদিন দেখবও না। তবে ইউটিউব থেকে শাকিবের সিনেমার কিছু অংশ দেখে নিয়েছি। অতি অখাদ্য। ভাত রান্না করতে গেলে সব ভাত টিপে দেখতে হয় না। বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবের দেশ। এই দেশে সব সম্ভব। তাই শাকিব এখনও টিকে আছে। এই দেশের বেশিইর ভাগ মানুষ মূর্খ এবং নির্বোধ। তাদের ভালো সিনেমা সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই। যে মানুষ 'দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন', 'লাইফ ইজ বিউটিফুল', 'চিলড্রেন অব হেভেন' অথবা 'প্যারাসাইট' এর মতো মুভি গুলো দেখেছে, তাঁরা কোনো দিনও বস্তাপচা শাকিবের মুভি দেখবে না। আমার মনে হয় শাকিব নিজেও এরকম মুভি কোনদিন দেখেনি। দেখে থাকলে সে নিজের মুভি গুলো দেখেই লজ্জা পেতো।
বাংলাদেশ অতি ছোট দেশ। এই দেশে টিভভি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুব বেশি হয়ে গেছে। (খোজ নিলে জানা যাবে, মিডিয়া হাউজ গুলোর বেশির ভাগ মালিকই দূর্নীতিবাজ)। বিনোদন রিপোর্টারদের খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই। তাই তাঁরা সস্তা বিষয় নিয়ে মাতামাতি বেশি করে। একজন খেটে খাওয়া মানুষের শাকিব কে নিয়ে ভাবার সময় নাই। এই সমাজে একজন সিকিউরিটি গার্ডের যে মূল্য, শাকিবের তাও নেই। কিন্তু বাংলাদেশ বলেই শাকিবকে নিয়ে নিউজ হয়, মাতামাতি হয়। সাধারণত বাংলাদেশের মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখে না। এখন টিভি ছাড়লেই অসংখ্য চ্যানেল। দারুন দারুন সব সিনেমা, নাটক, দেখা যাচ্ছে। কাজেই শাকিবকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই। বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে এই শালা লুচ্চা।
মূলত শাকিব একজন লুচ্চা। আমার ধারনা অসংখ্য মেয়ের সাথে সে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এটাই তার নেশা। শাকিব একজন সাইকো। তার পেশা সিনেমা করা আর নেশা মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা। মিডিয়ার কারনে আমাদের সামনে অপু বিশ্বাস আর বুবলীর নাম এসেছে। কিন্তু আমার ধারনা কমপক্ষে সে ১০০ মেয়ের সর্বনাশ করেছে। শাকিব একজন নির্লজ মানুষ। সরকারের উচিৎ শাকিব সম্পর্ক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা। খোজ নিলে জানা যাবে সে অসংখ্য মেয়ের সাথে লটর-পটর করেছে। শাকিবের চেয়ে অনেক বেশি নির্লজ আমাদেরর মিডিয়া হাউজ গুলো। তাদের উচিৎ শাকিব নামের নর্দমার কীটের নিউজ করা থেকে বিরত থাকা। শাকিব কে বাদ দিয়ে আমাদের ভাবতে হবে দেশের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




