somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমাদের শাহেদ জামাল- (পয়তাল্লিশ)

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনেকদিন পর আজ শাহেদ জামাল বাজারে গিয়েছে।
প্রতিটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষের ট্যাংরা মাছ শাহেদ আগে কিনতো ৫ শ' টাকা কেজি। এখন ৭ শ' টাকা কেজি। ভাবা যায়! আগে আড়াই কেজি একটা রুই মাছ পাওয়া যেতো ৭০০ টাকা দিয়ে। এখন একটা আড়াই কেজি রুই মাছের দাম নিচ্ছে ৯৫০ টাকা। নয় শ' গ্রাম একটা ইলিশের দাম এক হাজার টাকা। চাষের চিংড়ি মাছ ছোট সাইজ দাম নিচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি। বাজারে নানান রকম আপেল পাওয়া যায়। সবচেয়ে কম দামের আপেলের কেজি হচ্ছে ২৪০ টাকা। শাহেদ জানে জিনিস পত্রের দাম সব সময়ই বাড়ে। কিন্তু এবার অনেক বেশী বেড়েছে। এতটা বেশি বাড়ার কারন কি? দাম অতি বৃদ্ধির কারনে কি দেশের কোনো মানুষের সমস্যা হচ্ছে না? আজিব লাগে- বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

ঢাকা শহরের মানুষের হাতে অবশ্যই প্রচুর টাকা আছে।
প্রায়'ই দেখা যায় কেউ কেউ একাই বড় বড় ৩০/৪০ পিছ ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই শহরের এক শ্রেণীর মানুষের কাছে দাম কোনো ব্যাপার না। সে যদি চারটা ইলিশ কিনতে যায়, তখন বিক্রেতা যদি বলে স্যার পদ্মর ইলিশ। খুব ভালো, আরো চারটা নিয়ে যান। ক'দিন পর আর ইলিশ পাওয়া যাবে না। পাওয়া গেলেও সেগুলোর স্বাদ হবে না। তখন ক্রেতা বলে তাহলে ১২টা দিয়ে দাও। শাহেদ জামাল এ বছর অনেক ইলিশ মাছ খেয়েছে। ইলিশ মাছের চেয়ে তার বেশী পছন্দ ইলিশ মাছের ডিম। অবশ্য নীলা পছন্দ করে ইলিশ পোলাউ। এবং সে এই খাবারটা ভালো রান্না করে। এ যুগের মেয়েরা রান্নায় এক্সপার্ট না। তাদের কিছু খেতে ইচ্ছা করলে ফোন দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনে খায়। তাই বর্তমানে খাবারের ব্যবসায় লাভ বেশি।

অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে নীলা খুব পছন্দ করে।
সেদিন নীলা অনলাইন থেকে নিমকি, চানাচুর, তেলেভাজা ইত্যাদি খাবার অর্ডার করলো। দাম দ্বিগুন নিয়েছে। শাহেদ বললো, ডবল দাম দিয়ে এইসব খাবার অনলাইন থেকে কেনার মানে কি? নীলা বলল, এইসব খাবারের যত্নসহকারে বানানো হয়েছে। এবং এইসব খাবারের বানাতে যা যা উপাদান লেগেছে সবই উন্নত মানের। এগুলো খেলে গ্যাস্টিকের কোনো সমস্যা হবে না। শাহেদ বলল, এসব খাবার যখন বানানো হয়েছে, তুমি সামনে ছিলে? নীলা বলল, আমি সামনে না থাকলেও আমি জানি। যে মহিলা এসব খাবার বানিয়েছে তার টাকার অভাব নাই। তিনি শখের কারনে এসব বানায়। মহিলার স্বামী পুলিশের বড় অফিসার। নীলা ইদানিং সব কিছুই অনলাইন থেকে কিনছে। জামা, জুতো, ঘি, সরিষার তেল, মধু, খেজুর, মাছ, বাদাম ইত্যাদি।

শাহেদ রাতে মুভি দেখার সময়-
অনলাইন থেকে কেনা- নিমকি, চানাচুর আর তেলেভাজা খেলো। যেহেতু নীলা বলেছে- গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে না। তাই শাহেদ পরিমানে বেশিই খেলো। রাত তিনটায় শাহেদ জামালের গ্যাস্টিকের সমস্যা শুরু হলো। বুক মুচড়ে ব্যাথা করতে শুরু করলো। শাহেদ জামাল তাড়াতাড়ি গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে ব্যথা দূর করলো। অথচ নীলা বলেছিলো- এই খাবার এত ভালো যে গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে না। নীলা কত ভুলের মধ্যে আছে। বহু মেয়ে এরকম ভুলের মধ্যে আছে। তাদের মাথায় অনলাইন থেকে কেনার ভূত চেপেছে। অনলাইন থেকে কেনাকাটা করলে, ৯০% নিশ্চিত থাকুন- খারাপ পন্য পাওয়ার। অনলাইন ব্যবসায়ীদের একটাই গল্প ইনবক্স প্লীজ। আর ইনববক্স মানেই ঘাপলা। এই সাধারন ব্যাপারটা মেয়েরা বুঝে না কেন?

শাহেদ জামাল মোটা ভাত খেতে পারে না।
একসময় শাহেদ মিনিকেট চাল খেতো। এখন বাজারে মিনিকেট চাল ৭৫ টাকা কেজি। গতমাসে শাহেদ 'কাটারী ভোগ' চাল কিনেছে। ৮০ টাকা কেজি। এই চালটা ভালো। চিকন ভাত। এবং ঝরঝরা হয়। খেতে ভালো। শাহেদ ভাবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ গরীব। তাঁরা কিভাবে খেয়েপরে বেঁচে আছে? এমন খবর পত্রিকাতে এখনও আসেনি কেউ না খেয়ে মরে গেছে। অর্থাৎ দাম বাড়লেও মানুষ খাচ্ছে। মানুষের হাতে টাকা আছে। মানুষ যদি খেতে না পারতো তাহলে নিশ্চয়ই আন্দোলন করতো। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে জিনিসপত্রের দাম অনেক কম। যাইহোক, দেশের সবাই খেয়েপরে বেঁচে থাকুক দিন শেষে এটাই চাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×