
প্রশ্নঃ নবীজি কোন নুরের তৈরি?
উত্তরঃ আপনার জন্ম যেভাবে হয়েছে, অন্য দশজনের জন্ম যেভাবে হয়েছে- নবীজির জন্মও সেভাবে হয়েছে। নূর মানে হচ্ছে আলো। এই আলো সূর্যের আলো নয়, চাঁদের আলো নয়, ফ্লোরোসেন্ট বাতির আলো নয়। ধর্ম মতে, এ এক অলৌকিক আলো। আপাতত নূর টুরের কথা ভুলে যান। নবীজি একজন মানুষ। তিনি তার জ্ঞান দিয়ে, ভালোত্ব দিয়ে, মহত্ব দিয়ে অন্য সবার থেকে আলাদা হয়েছেন। এই জন্য মুসলিমরা মোহাম্মদকে মহামানব বলে মনে করেন।
নবী আকাশ থেকে টুপ করে পরেন নি। শূন্য থেকে পৃথিবীতে চলে আসেন নি। বা অলৌকিক ভাবেও তার জন্ম হয়নি। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ যেভাবে দুনিয়াতে এসেছে, নবীজিও সেভাবে এসেছেন। তিনি সারা আরব জাতিকে বদলে দিতে চেষ্টা করেছেন। তার কারনে মুসলিমরা কোরআন পেয়েছে। নবীজির দুঃখ-কষ্ট ছিলো। ভালো লাগা, মন্দ লাগা ছিলো। সাধারন মানুষদের মতো নবীজিও অনেকবার অসুস্থ হয়েছে। আবার তিনি সুস্থ হয়েছেন। দুঃখজনক কথা হলো- নবীজির দেখানো পথে কেউ চলে না। এজন্যই আজ দেশে দেশে এত এত অরাজকতা।
প্রশ্নঃ মাদ্রাসার ছাত্রীকে বিয়ে চাচ্ছি। সে আমাকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কতটা সুখে রাখবে?
উত্তরঃ আপনি উলটো কথা বলছেন। আপনি এমন ভাবে ভাবছেন না কেন, তাকে আপনি দুনিয়া ও আখিরাতে সুখে রাখবেন। মাদ্রাসা বা কলেজ ছাত্রী কোনো কথা না, আপনি একজন মানুষকে বিয়ে করছেন। এমন কেন ভাবছেন মাদ্রাসার ছাত্রী বলে সে অন্য রকম হবে? আরেহ ভাই সে তো একজন মানুষ। রক্ত মাংসের মানুষ। তারও ভালো লাগা আছে, মন্দ লাগা আছে। আপাতত আখিরাতের চিন্তা বাদ দিন। বর্তমান নিয়ে ভাবুন। মানুষের বর্তমানটাই আসল। বর্তমান ভালো হলেই ভবিষ্যৎ ভালো হবে।
সংসার জীবনে সুখে থাকতে হলে দুজনকেই 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি পিঠ নিচু না করলে কেউ আপনার পিঠে চড়তে পারবে না। তাই সংসারে সুখ বা আনন্দ আপনাদের দুজনের উপর'ই নির্ভর করছে। একটা মেয়েকে বাবা মা অনেক কষ্ট করে বড় করেন। লালনপালন করেন। লেখাপড়া শেখান। তাকে আপনি বিয়ে করে নিয়ে আসবেন। তার যেন কোনো অযত্ন না হয়, অনাদর না হয়, অবহেলা না হয়- সেদিকে আপনার সম্পূর্ন খেয়াল রাখতে হবে। তাকে ভালো রাখলে আপনি শান্তি পাবেন। আনন্দ পাবেন।
সুখ কেউ কাউকে দিতে পারে না। সুখ আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হতে হবে। একজন মানবিক মানুষ হতে হবে। সর্ব্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে হবে। আপনি যখন একজন মানুষকে ভালোবাসা দেখাবেন, আন্তরিকতা দেখাবেন, তখন সে-ও আপনাকে ভালোবাসা, আন্তরিকতা দেখাবে। বিয়ের পর আপনারা দুজনই চেষ্টা চালিয়ে যান সুখে থাকার, ভালো থাকার।
প্রশ্নঃ বাথরুমে কি শয়তান আছর করে?
''আছর'' করা আবার কি? এটা একটা ফালতু কথা। একসময় যখন মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তখন এরকম ফালতু বিষয় গুলো বিশ্বাস করতো। শয়তান বলতে আসলে কিছু নেই। এগুলো অশিক্ষিত ও নির্বোধদের বানোয়াট চরিত্র। কাজেই জ্বীন, ভূত বা শয়তান 'আছর' করে এগুলো ফালতু কথা। এক ধরনের রোগ আছে, যাকে হিস্টেরিয়া বলে। এই অসুখ যখন কারো হয়, তখন অশিক্ষিত এবং কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষেরা মনে করে জ্বীনে জ্বীনে আছর করেছে, শয়তানে আছর করেছে।
প্রচুর পড়াশোনা করুণ। সব জানতে পারবেন। বুঝতে পারবেন। আচ্ছা, ধরে নিলাম শয়তান আছে। সেই শয়তান কি শুধু মুসলিমদের উপর আছর করবে? না হিন্দু, খিস্টান, বোদ্ধ সবাইকে? বাথরুমে তো পৃথিবীর সব মানুষকেই যেতে হয়। মনে করুণ, শয়তান কাউকে বাথরুমে আছর করলো। তার ফলাফলটা কি? আসলে আপনারা পারেনও। জ্ঞান অর্জন করুণ। মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। এই জ্ঞানই আপনাকে সকল রকম কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



