প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার যে মেধা আছে তা দিয়ে উনারা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। অথচ উনারা দেশ চালাচ্ছেন! একজন বাপের কল্যানে, একজন স্বামীর কল্যানে। দেখুন আজও আমাদের দেশের মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়। কোটি কোটি বেকার। আজও সরকারী হাসপাতালে দালাল। অল্প বয়সী ছেলেগুলো জুতোর আঠা দিয়ে দিনেদুপুরে সকলের সামনে রাস্তার মধ্যে নেশা করছে। তাদের স্কুলে পাঠানোর দায়িত্ব সরকারের। ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায়, হকাররা নানান রকম দোকান বসিয়েছে। সেই সুযোগে পুলিশ তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে নিয়মিত। দেশে দূর্নীতির কথা বললাম না। বর্তমানে দেশে ভালো আছে অসৎ মানুষেরা।
বর্তমানে মেধার দাম নেই। দাম আছে ক্ষমতার।
মামা চাচার ক্ষমতার জোরে অদক্ষরা বড় বড় পদে বসে আছে। রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। বহু ক্ষমতাবান লোক দরিদ্র মানুষের জমি জোরে করে অল্প দামে কিনে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ সামান্য টাকা ঋণ দিয়ে সাদা কাগজে সাইন নিয়ে পুরো জমি আত্মসাৎ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা দূর্নীতি। অথচ দূর্নীতি বন্ধ করতে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। পদক্ষেপ নিবেন কিভাবে? দূর্নীতি তো আর আমি আপনি করি না। দূর্নীতি করছে তাদের কাছের লোকজন। শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। দুদক সারাদিন কি করে আমি জানি না। তাঁরা কি দেশের দুর্নীতিবাজদের খুঁজে পাচ্ছে না? একজন চোর বা ছিনতাইকারীর চেয়ে দূর্নীতিবাজ ধরা সহজ।
রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক, অথচ তাঁরা বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সে দেশে এত এত ভিক্ষুক থাকবে কেন? সে দেশের লোকজন রাস্তায় ঘুমাবে কেন? সে দেশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যাবে না কেন? যাকাতের শাড়ি লুঙ্গি নিতে গিয়ে মারামারি, কাড়াকাড়ি হবে কেন? চল্লিশার খানা খেতে গিয়ে মানুষ মরবে কেন? টিসিবি পণ্য কিনতে এত লম্বা লাইন হবে কেন? মূলত রাজনীতিবিদরা গলাবাজি করেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এরা বড় ভয়ঙ্কর। সরকারের পদ্মাসেতু বা মেট্রোরেল দিয়ে সব কিছু বিচার করা ঠিক হবে না। পদ্মাসেতু হওয়া দরকার ছিলো আরো পঞ্চাশ বছর আগে। মেট্রোরেল হওয়া দরকার ছিলো আরো ত্রিশ বছর আগে। হয়তো দেশ কচ্ছপের মতো এগিয়ে যাচ্ছে।
পিনাকী সাহসী মানুষ। সে সৎ মানুষ। এবং অবশ্যই বুদ্ধিমান।
ইউটিউবে তার কথা গুলো শুনলেই বুঝা যায়। সত্যিকার ভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য দরকার বুদ্ধিমান মানুষ। দক্ষ ও পরিশ্রমী মানুষ। মাইকের সামনে চ্যাটাং চ্যাটাং করে কথা মানুষ আদতে ভাঙ্গা কূলার ছাই টাইপ। এদের দিয়ে দেশ বা সমাজের কোনো উপকার সম্ভব নয়। দেশে এখন কোটি লোক বেকার। একটা পদ্মাসেতু বা মেট্রোরেলের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ন নয় নতুন নতুন চাকরী সৃষ্টি করা। বেকার সসমস্যার সমাধান করা। অথচ দেশের শেখ হাসিনা বা উনার দলের লোকেরা চাকরী কিভাবে সৃষ্টি করতে হয় তাঁরা জানেন না। অথচ একসময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরী দেওয়া হবে, কেউ বেকার থাকবে না, কেউ রাস্তায় ঘুমাবে না। কেউ না খেয়ে থাকবে না।
মুক্তিযুদ্ধের আগে পিনাকীর জন্ম বগুড়াতে।
বেশ জনপ্রিয় ব্লগার তিনি। এখন একজন জনপ্রিয় ইউটুবার। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করেছেন। প্রায় ২০ টি বই লিখেছেন। সাধারণত তিনি মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখেন। সরকারের ভয়ে হয়তো উনি দেশ ছেড়েছেন। হয়তো ধরা পড়লে সে গুম হয়ে যেতো। অথবা কোনো মামলার আসামী হয়ে কারাগাতে থাকতো। উনি ফ্রান্সে গিয়ে ভালোই করেছেন। যাইহোক, যদি ইউরোপ যাওয়া খুব সহজ হতো তাহলে এই পোড়া দেশে কেউ থাকতো না। আমি নিজেও থাকতাম না। আমরা দেশের সাধারন জনগন। আমরা চাই এই দেশে সুন্দরভাবে কাজ করে খেয়েপরে আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে। সরকার শুধু আমাদের জন্য এটুকুই নিশ্চিত করলে আমরা খুশি। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৬