
প্রকৃতি চলে নিজের নিয়মে, তেমনি এই জীবন।
এ এক অদ্ভুত আলোক। অপরাহ্নের পর ঠিকই সন্ধ্যা নামে। কেউ কেউ এতদিন পর মনে করছে, এবার সন্তানদের মাদ্রাসা থেকে ছাড়িয়ে ইংরেজি স্কুলে আর ভরতি না করালেই নয়। চক্ষু ধাঁধিয়ে যাওয়া যুবক, পথভ্রষ্টা কিংবা নির্যাতিতা নারী এবং শত শত দরিদ্র মানুষ হাত তুলেছে প্রভুর কাছে। ফলাফল শুন্য। অন্যপাশে শেষ হচ্ছে ব্র্যান্ডির বোতল। এবার মস্তিষ্ক চাঙ্গা হবে। ধনী মেয়েরা নগ্ন হয়ে আয়নায় নিজেকে দেখছে।
মসজিদে মসজিদে নামাজ শেষে মুসুল্লিরা বাড়ি ফিরছে।
চারিদিকে শীতের আমেজ। নব্য ধনীরা কিনছে গাড়ি, ফ্লাট। এসব দূর থেকে দেখলে মনে যেন আঁকা ওয়াটার কালারের এক ছবি। অল্প কিছু মানুষ চিন্তা করে যাচ্ছে ধর্ম সংস্কারের, শিক্ষা বিস্তারের, নারী মুক্তির, সংস্কৃতির জাগরণের, সম্পর্কের উন্নতির, দারিদ্র্য নিবারনের। আশার কথা হচ্ছে কয়েকটি প্রদীপ জ্বলছে। এই মুহুর্তে লাট সাহেবেরা মদ্যপানে ব্যস্ত। ঝারবাতির আলোয় দেখা যায় নব্য ধনীদের দাপাদাপি। আসলে তারা সুখী নয়।
আমি অবোধ বালকের মতো বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তলোয়ার বানিয়ে মনে মনে সেনাপতি সাজি, দুষ্টলোকদের শাস্তি দেই। রাত্রির পর আসে ভোর। মনে হয় নতুন কিছু ঘটবে। সময় এখন মধ্যরাত। পুরো শহর নিস্তব্ধ। মানুষ বেঁচে থাকে প্রত্যাশায়। অথচ ঈশ্বর বধির ও দৃষ্টিহীন। মানুষের আকুতি মিনতি তার কাছে মূল্যহীন। অসহায় মানুষের আছে শুধু দীর্ঘশ্বাস। কেউ কেউ অন্যের স্পর্শ বাঁচিয়ে চলতে পারে না। অনেকের শোক হয়। কিন্তু সকলে শোকে কাঁদে না। কাঁদতে হয় বলেও অনেকে কাঁদে।
রুশো, ভলতেয়ার থেকে শুরু করে ওডিসি, মহাভারত সব পড়া শেষ।
হাতিঘোড়া তো কিছু হলো না। নাকি পুরোটাই সময়ের অপচয়! আসলে ঈশ্বর নেই। মহান সত্য হলো ক্ষুধা। তবে কেন অদৃশ্য ভাবে পেছনে টানে। ধর্ম, জাতি, শিক্ষা এবং সাহিত্য একসঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই তো সুফল আসে না। তোমার বুকে ব্যথা, তোমারই ভুলের জন্য। রাত এগারোটায় হাইকোর্টের সামনে একটা মেয়ে একা দাড়িটা ছিলো। মেয়েটি কে? তাকে কেন বারবার মনে পড়ে? তোমাদের জয় হোক। সকলে বেঁচে থাকুক। কোনো শালা তো মরতে চায় না।
এলোমেলো এবং অসমাপ্ত রচনা গুলো এবার শেষ করতে হবে।
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। মানুষ শুধু ব্যক্তিগত দুঃখ ছাড়া অপরের দুঃখ সম্পর্কে মনোযোগ দিতে চায় না। যার যা মন চায় লেখা উচিত। কাউকে লিখতে বাধা দেওয়া অন্যায়। অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। মানুষ লিখতে চায়। কৈফিয়ত দিতে চায় না। যীশু বা কৃষ্ণ আজকের দুনিয়ায় অচল। অথচ তাদের বানী আজও মানুষ কে বেচে থাকতে শেখায়। সময় শেষের দিকে। ঘন্টা আসন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



