সব কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান।
যেমন ধরুন- আম, জাম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি সমস্ত কিছুতেই। আবার ধরুন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টিভি, রকেট ইত্যাদি সব কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান। এই আমি, আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছি এটাতেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। এই যে রাত হচ্ছে, দিন হচ্ছে- এখানেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান। এজন্য আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেই দিয়েছেন, 'আমার কোন কোন নিয়ামত কে তুমি অস্বীকার করবা'?! না অস্বীকার করি না। সুবানাহাল্লাহ। আল্লাহ মহান। সময় পেলে দুবার বিশাল আকশের দিকে তাকাবেন। একবার দিনের আলোতে, একবার মধ্যরাতে। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
এবার আসি আসল কথায়।
সৃষ্টিকর্তা বলে দুনিয়াতে বা মহাকাশে কেউ নেই। সৃষ্টিকর্তাকে তৈরি করেছে কিছু নির্বোধ ও চতুর মানুষ। নিজেদের সুবিধার জন্য, নিজেদের আরাম আয়েশের জন্য সৃষ্টিকর্তা নামক কাল্পনিক চরিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও ধর্ম গুরুরা রাজার হালে জীবনযাপন করে চলেছে। আরও দরিদ্ররা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রভু কারো ভাগ্য বদলায় না। কিন্তু গাধা গুলো বুঝে না- নিজের ভাগ্য নিজেকেই বদলাতে হয়। নামাজ, রোজা, আমল, নেকি, সোয়াব ইত্যাদি দিয়ে কিছুই হাছিল হয় না। একসময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তাই সৃষ্টিকর্তা ঝেকে বসতে পেরেছে মানুষের মাথায়। এযুগের বুদ্ধিমান মানুষেরা সৃষ্টিকর্তাকে কেয়ার করে না। তাঁরা ধুমসে দুর্নীতি করেই যাচ্ছে। মন্দ কাজ করেই যাচ্ছে। তাঁরা জানে সৃষ্টিকর্তা বলে আসলে কিছু নেই। কোরআন হাদীস দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চলে সংবিধান দিয়ে।
ধর্ম নয় কর্মটাই আসল।
মানুষের পরিচয় তার কর্মে। কর্ম বড়। ধর্ম একটা ফালতু বিষয়। ধর্ম থেকে দূরে থাকুন। জাস্ট কর্ম করে যান। এই কর্মই আপনাকে বাচিয়ে রাখবে। পথ দেখাবে। সফলতা দিবে। ধর্ম নিয়ে হাঙ্গামা, খুন, হানাহানি, দাঙ্গা কম হয়নি। ফলাফল কি? ফলাফল শূন্য। দেশভাগ হয়ে গেলে ধর্মের কারনে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষের চিন্তা ভাবনা হবে উন্নত। আধুনিক। পুরনো ধ্যানধারনা আঁকড়ে ধরে থাকলে ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। যার কাজ সুন্দর সে-ই সুন্দর। আপনি ধর্ম করুণ। সেটা আপনার একান্ত ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান দুনিয়াতে কেহ সঠিকভাবে ধর্ম পালন করছে না। মসজিদ, মন্দির, গির্জা মানুষকে সঠিক পথে আনতে পারছে না। তাই এখন মানুষের প্রধান কাজ হচ্ছে- ধর্মের পেছনে না ছুটে, নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা। সফল হওয়া। সমাজের জন্য ভাল কিছু করা। এই আধুনিক যুগে ধর্ম নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
ধরুন, আল্লাহর কাছে 'সময়' চলমান।
তাতে আপনার বা আমার কি? অথবা পৃথিবীবাসীর কি? আবার ধরুন, আল্লাহর কাছে 'সময়' স্থির- তাতে আপনার বা আমার কি? অথবা পৃথিবীবাসীর কি? পৃথিবীতে যে এত এত অন্যায় হচ্ছে তাতে আল্লাহর ভূমিকা কি? ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? গতকাল সকালে ডাস্টবিনে কে বা কারা একটা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুকে মেরে ফেলে গেছে, আল্লাহ কি এসব ঘটনা জানেন? দেখেন? হিরোশিমা সম্পর্কে কি ঈশ্বর কিছু জানেন? যখন শিশুদের ধর্ষন করা হয় তখন ঈশ্বর কোথায় থাকেন? নাকি ঈশ্বর আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়ে দিয়ে মনে মনে বলে দিয়েছেন- নে ব্যাটার এবার চড়ে খা। যা খুশি কর। আমি কিচ্ছু বলব না। তোদের কিতাব দিয়েছি। মানলে ভাল। না মানলে মৃত্যুর পর খরব আছে। চোখের পানিতে ৫৭ টি দেশের অধিকাংশ মুসলিম শেষ হয়ে যাচ্ছে। আফসোস লাগে আমার।
আল্লাহ থাকলেও কিছু না, না থাকলেও কিছু না।
যা করার মানুষকেই করতে হবে। এই যে আজকের পৃথিবী এমন ছিলো না। মানুষের পরিশ্রমের ফলে আজকের আধুনিক পৃথিবী তৈরি হয়েছে। আল্লাহ এসে বা আল্লাহর নবীরা এসব করে দিয়ে যাননি। আল্লাহ/প্রভু/ঈশ্বর নিয়ে ভাবনা চিন্তা বাদ দিন। নিজেকে নিয়ে ভাবুন। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। পরিবার নিয়ে ভাবুন। তারপর সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবুন। কিছু করুণ, যেহেতু মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন। যে জিনিস নেই সেসব নিয়ে ভাবা বাদ দিন। আর কত কচলাবেন? একদম তিতা হয়ে গেছে। সময় অপচয় করবেন না। আমাদের দেশ বা উন্নত দেশ গুলো ইসলামের নিয়মে চলে না। তাদের নিজস্ব সংবিধান আছে। দেশ চলে সংবিধানে। সেদিন একজনকে বলতে শুনলাম- মুসলমানদের আল্লাহ গরিবকে সবসময় সান্ত্বনা দেয়। কিন্তু সুবিধা দেয় ধনীদের।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০