somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

নবীজি- ১

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নবীজিকে নিয়ে লেখার ইচ্ছ আমার দীর্ঘদিন ধরে।
এজন্য আমাকে অনেক লেখা পড়তে হয়েছে। অবশ্য নবীজিকে নিয়ে লেখার মতো যোগ্য লোক আমি নই। নবীজিকে নিয়ে বহু মানুষ লিখেছেন। আছে শত শত বই। আমাদের হুমায়ূন আহমেদ নবীজিকে নিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই তার মৃত্যু হয়ে গেলো। বিশ্ব একটা অসাধারন বই পড়া থেকে বঞ্চিত হলো। যাইহোক, অনেকেই নবীজিকে নিয়ে লিখতে গিয়ে, তাকে মহান হিসেবে দেখানোর জন্য অনেক ভুল লিখেছেন। অতিরঞ্জিত করেছেন। বানোয়াট গালগল্প লিখেছেন। যেমন নবীজি জন্মের সময় চারপাশ আলোকিত হয়ে গিয়েছিলো। তার মা কোনো ব্যথাবোধ করেন নি। ইত্যাদি হাজার রকমের কথা। যাইহোক, নবীজিকে নিয়ে ৫শ' পর্ব লিখলেও লেখা শেষ হবে না। আমি ৫শ' পর্ব লিখব না। আমি লিখব মাত্র ৫ পর্ব। আজ লিখব প্রথম পর্ব।

মদীনা অঞ্চলের নাম আগে ছিলো- ইয়াসরিবই।
তখন চলছিলো ৫২২ সাল। সেই সময় আরবে গুটিকয়েক লোক লেখাপড়া জানতো। তাঁরা সক্রেটিসকে চিনতেন। তাঁরা খুব ভাল কবিতা লিখতেন। সেই সময় মদীনাতে অনেক ইহুদী ও খিস্টানদের বসবাস ছিলো। তৎকালীন রাজার পুত্রকে মদীনাবাসীরা হত্যা করে। রাগে রাজা কালেব মদীনার সমস্ত খেজুর গাছ পুড়িয়ে দেন। এই খেজুর গাছই ছিলো মদীনাবাসীর একমাত্র আয়ের পথ। কোরআনে এসব কথা আসেনি। মক্কাতে বেড়াতে অনেক লোকজন আসতো। কারন এখানে অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর মূর্তি আছে। যদিও কিছু মুসলিম দাবী করতো এটা আল্লাহর ঘর। কেউ কেউ আল্লাহকে দেবতা বলে মনে করতো। যারা মূর্তি দেখতে আসতো, মক্কা তে থাকতো, খেতো- তাতে মক্কাবাসীর বেশ ভাল ইনকাম হতো। চতুর লোকেরা মনে করলো- এখানে যেন সারা বছর লোকজন আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে মক্কা, মদীনাবাসী উপকার পাবে।

আব্রাহাম নামে এক রাজা ছিলেন।
সে তার ক্ষমতা দেখাতে চায়। সে মক্কাতে যেখানে মূর্তি রাখা হয়েছে। সে গুলো ধ্বংস করে ফেলতে চায়। কারন খিস্টান, মুসলিম এবং ইহুদীরা ঐ জায়গাটা নিয়ে সারা বছর ক্যাচাল করেই। রাজা অনেক সৈন্য পাঠায় মক্কাতে। সৈন্য গুলো মক্কাতে লোকজনের ঘরে গিয়ে যা পায় কেড়ে নিয়ে আসে। এমনকি তাদের উট গুলো পর্যন্ত। তখন লোকজন মক্কার ঘর নিয়ে চিন্তিত না। মূর্তি গুলো নিয়েও চিন্তিত না। তাঁরা চায় তাদের উট গুলো। এর মধ্যে আব্দুল মোতালিব নামে একজনের ৫০ টা উট ছিলো। অনেকেই এই ঘটনায় কিছু রুপকথা জুড়ে দিয়েছেন। যেমন যখন সৈন্যরা এলো- তখন আকাশ থেকে অসংখ্য পাখি পাথর নিক্ষেপ করে সৈন্যদের রক্তাত্ব করে দিয়েছে। এই পাখির নাম কোরআনে এসেছে 'আবাবিল' নামে। সেই সময় আরবের লোকজন উট ছাড়া অন্যান্য প্রানীদের ভাল চিনতো না।

৫৭০ সাল। রবিউল আওয়াল মাস, ১২ তারিখ, সোমবার।
২১ বছর বয়স আব্দুল্লাহ ও পনের বছর বয়স আমিনার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হযরত মুহাম্মাদ (সা)। আব্দুল্লাহ তার সন্তানকে কোলে তুলে নিলেন। তখন আমিনা বললেন, সবাইকে খেজুর বিতরণ করো। আব্দুল্লাহ বললেন, শুধু খেজুর নয় আমি দুটা উট জবাই করবো। তিনি তার স্বামীকে বলেছিলেন, দেখে নিও আমার ছেলে সন্তান হবে। এদিকে এই নবজাতকের জন্ম নেওয়ার খুশিতে আত্মীয়স্বজনেরা দুইজন দাসীকে মুক্ত করে দিলেন। পাড়াপ্রতিবেশীরা নবীজিকে দেখতে এলেন। এবং মুগ্ধ হলেন। তাঁরা নবজাতককে কোলে নিয়ে সুন্দর কথাবার্তা বললেন। আব্দুল্লাহ সকলে খেজুর খেতে দিলেন।

এক বেদুইন মহিলা যার নাম হালিমা-
নবজাতকে দুধ খাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হলো। তখন আরবে এরকমই নিয়ম ছিলো। হালিমা ৫ জন ছেলেমেয়ে। তবু সে আগ্রহ নিয়ে নবীজিকে লালন পালন করেছেন। তখন জ্ঞান বিজ্ঞান উন্নত ছিলো না। অতি সামান্য রোগে মানুষ মরে যেতো। নবীজির বাবা মারা গেলেন। নবীজির যখন ছয় বছর তখন তার মা মারা গেলেন। মায়ের বয়স মাত্র বিশ বছর। সময়টা তখন ৫৭৬ সাল। নবীজির যখন ৮ বছর তখন তার দাদা মারা গেলেন। বিনা দ্বিধায় বলা যায়- নবীজির জীবনটা সুখ দুঃখ মিলিয়েই পার হয়েছে। আজীব নবীজিকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। নবীজি ধনীর সন্তান ছিলেন না। একের পর এক মৃত্যু। বাবা, মা, দাদা, ধাত্রী মা হালিমাকে হারিয়ে নবীজি বড় অসহায় হয়ে পড়লেন। তিনি ধনীদের ছাগল মাঠে নিয়ে যেতেন ঘাস খাওয়াতে। তার পেশা হলে দাঁড়ালো রাখাল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০১
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৭৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪



গত কয়েকদিন আমি চিনি ছাড়া চা খাচ্ছি।
সারাদিনে মাত্র দুই কাপ চা। আগে চা খেতাম কমপক্ষে ৮ থেকে দশ কাপ। সবচেয়ে বড় কথা চা যেমন-তেমন, সিগারেট খাচ্ছি না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×