
ঠিক রাত তিনটায় প্রতিদিন গজব অবস্থা হয়।
আমাদের বাড়ির সামনে এবং পেছনে দুটা বাড়ি। সামনের বাড়িতে তাঁরা ছাদে হাঁস মূরগী লালনপালন করে। পেছনের বাড়ির ছাদে লালন পালন করে নানান রকম পাখি। মনে হয় তাঁরা ছাগল আর বানরও পালে। ঠিক রাত তিনটায় হাঁস প্যাঁক প্যাঁক করে ডাকে। ডাকতেই থাকে। হাঁসের দেখাদেখি মোরগ ডাকে। যেন পাল্লা দিয়েছে। হাঁস মূরগীর দেখাদেখি পেছনের বাড়ির ছাদে যেন যুদ্ধ শুরু হয়। ছাগল আর বানরের দৌড়ঝাঁপ। আর কিছু পাখির বিশ্রী ডাক। কি পাখি কে জানে! আমি তো জানতাম পাখি মিষ্টি সুরে ডাকে। এইসব যন্ত্রনার কারনে আমার ঘুমের সমস্যা হয়। কিন্তু কি করবো? কাকে বলব? তাই চুপ করে সহ্য করে যাই। বাসার কাছেই মসজিদ শেষমেষ হুজুর আমার কানের কাছে মাইকে আযান দেয়। সবাই মিলে ঠিক করেছে কেউ আমাকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না।
আমি সাধারণত অতি ভদ্র একটা ছেলে।
নিজের সমস্যার বা অসুবিধার কথা কাউকে বলি না। আশে পাশে অনেক বাড়ি ঘর আছে, পশু পাখির শব্দে তাদেরও নিশ্চয়ই ঘুমের সমস্যা হয়। তারাও তো কিছু বলে না। নাকি আসলে কোনো শব্দই হয় না। আমার মনের ভুল। অথবা আমি তখন গভীর ঘুমে থাকি। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে পশু পাখির শব্দ শুনি। না স্বপ্ন নয়। কারন ঐ দুই বাড়ির দাড়োয়ানকে কে আমি চিনি। দাড়োয়ান আমাকে বলেছে, তাঁরা ধনী লোক। ধনী লোকের অনেক রকম শখ থাকে। তাদের শখ ছাদের মধ্যে হাঁস মূরগী পালন। আর তাদের শখ ছাদে বিদেশী পাখি পালন। মানুষের শখের শেষ নেই। আমারও তো কত অদ্ভুত অদ্ভুত শখ আছে। কিন্তু আমার শখ কাউকে যন্ত্রনা দেয় না।
বাংলাদেশে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে নতুন দুটো স্থান যুক্ত হয়েছে।
পদ্মাসেতু এবং মেট্রোরেল। বহু লোক আয়োজন করে বউ বাচ্চা নিয়ে পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেল দেখতে যায়। ঢাকা শহরে যখন প্রথম উড়াল সেতু হলো- তখন দেখা যেতো গাড়ির চেয়ে মানুষের সংখ্যা বেশি। সন্ধ্যার পর তো ফ্লাইওভার পুরো জমজমাট। কেমন মেলা বসে গেছে। ধুমছে বাদাম বিক্রি হচ্ছে। চা বিক্রি হচ্ছে। চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে। আইসক্রীম বিক্রি হচ্ছে। পুরো ফ্লাইওভার একেবারে নোংরা করে ফেলেছে। ফ্লাইওভারে আড্ডা প্রিয় বাঙ্গালীরা আড্ডা দেয় মধ্যরাত পর্যন্ত। মাসের পর মাস একই অবস্থা। তখন পুলিশ এসে এই আড্ডা ভাঙ্গে। এবং হকারদের পিটিয়ে ফ্লাইওভার থেকে নামায়। এখনও অনেককে ফ্লাইওভারে সন্ধ্যার পর দেখা যায়, বাইক থামিয়ে, বাইকের আড়ালে প্রেমিক প্রেমিকা বসে আছে ঘনিষ্ট ভাবে। প্রায়ই সেখানে ছিনতাই হয়।
চোখে সমস্যা। গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার চশমা দিলেন।
এখন আমি বই পড়তে পাড়ি। বেগ পেতে হয় না। এতদিন কি কষ্ট করেই না বই পড়তে হয়েছে। আসলে আমি জানতান'ই না যে আমার চোখে সমস্যা। আমার মাথা ব্যথা করতো। লম্বা সময় ধরে মাথা ব্যথা করতো। তখন একজন বললেন, তোমার চোখে সমস্যা। আমি রেগে গেলাম। বললাম, চোখে সমস্যা হলে চোখ ব্যথা হতো। আমার ব্যথা মাথা। এরপর মা বলল, হ্যাঁ তোমার চোখে সমস্যা। গেলাম চোখের ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার আমাকে পড়তে দিলেন। একদম ছোট ছোট লেখা। কাগজটা চোখের সামনে নিয়ে পড়তে চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। ডাক্তার বললেন বুঝতে পেরেছি। এরপর চশমা। আপনাদের গোপনে বলি- আমি চশমা পড়ি না। বিরক্ত লাগে। মা জিজ্ঞেস করলে বলি হ্যাঁ চশমা পড়ি তো।
নতুন কোনো লেখকের বই বের হলে, সবাই তাকে শুধু শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন জানায়।
ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক। সহজ সরল সত্য কথা হলো- লেখকরা শুধু শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন চায় না। নতুন লেখক চায় সবাই এক কপি করে তার বই কিনুক। শীতের বুড়ি ফেরত যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে। প্রকৃতিতে লেগেছে ফাগুনের ছোঁয়া। নতুন বইগুলোকে ঘিরে লেখক-পাঠক-প্রকাশকেরা সব্বাই ভীষণ ব্যস্ত। মেলায় লেখক পাঠক হাত নেড়ে নেড়ে খুব গল্প করে, আমি দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি। খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন চায়ের কাপের পাশে বই থাকুক, মনিটরের পাশে থাকুক বই, বিছানায় বালিশের পাশে থাকুক বই, বই থাকুক বাথরুমে, জ্যামের বাসে, কিবা যাত্রা পথে। ইলেকট্রিক বিল অথবা ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আপনার হাতে একটা বই থাকতেই পারে। সময়কে উপভোগ করতে চান বা সময় থেকে পালিয়ে থাকতে চান বই হোক শ্রেষ্ঠ সঙ্গী।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




