somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ছবি ও ছবির গল্প (ছবি ব্লগ)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



উপরের ছবিটা দেখুন।
একলোক রেল লাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। এভাবে রেললাইন দিয়ে হাঁটা ঠিক না। পাশেই তো রাস্তা আছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই হয়। অনেকে তো কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যায়। প্রায়ই তো পত্রিকায় পড়ি- রেললাইনে কাটা পড়ার খবর। তাছাড়া রেললাইন দিয়ে আরাম করে হাঁটা যায় না। পাথর ছড়ানো। তাছাড়া রেল চলাচল করার সময়, রেলের টয়লেটের জিনিসপত্র সরাসরি রেল লাইনের উপর পড়ে। বাজে গন্ধ! ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম শাহেদ। শাহেদ জামাল।

১।


ছবিতে যে বাচ্চাকে দেখছেন তার নাম শাবির। আমাদের বাসার সবচেয়ে ছোট সদস্য। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে। ছোটবেলায় আমি দেখতে শাবিরের মতো ছিলাম। তবে আমি আরো মোটা ছিলাম। গাল গুলো ছিলো ফোলা ফোলা। গালের কারনে চোখ আর নাক দেখাই যেতো না। শাবিরের বাবা মা দুজনেই চাকরী করে। সে সারাদিন বাবা মা ছাড়া থাকে। ভালোই থাকে। সন্ধ্যায় তার বাবা মা ফিরলে সে তার বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে রাখে।

২।


ছবিতে ফারাজাকে দেখা যাচ্ছে। তাকে বোর্ড দেওয়া হয়েছে। সে তার ইচ্ছা মতো লিখে। ছবি আঁকে। এই কাজটা করে সে আনন্দ পায়। আগে সে দেয়ালে আঁকাআঁকি করতো। সব বাচ্চাদের প্রিয় খেলা দেয়ালে আঁকাআঁকি করা। বোর্ড পাবার পর ফারাজা দেয়ালে আঁকে না। আগামী বছর ফারাজাকে স্কুলে ভরতি করিয়ে দিবো।

৩।


লাউ। লাউ সমস্ত বাঙ্গালীদের পছন্দ। লাউ ডাল তো অনেকের খুবই পছন্দ। আমি লাউ খাই না। কেন খাই না জানি না। সুরভি খায়। আমার কন্যা খায়। এ বছর লাউয়ের দাম বেড়েছে। একটা লাউ ১০০শ' টাকা। আমাকে প্রতি সপ্তাহে একটা লাউ কিনতে হয়। ফারাজা লাউ ডাল পছন্দ করে। এমন কি সে মাছ দিয়ে লাউ পছন্দ করে।

৪।

শুক্রবার। মধ্যদুপুর। এক বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছি। গিয়ে দেখি কেউ আসে নাই। আমার হাত ঘড়িতে আমি সময় ভুল দেখেছি। টানা একঘণ্টা রোদের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলাম। রাস্তায় কোনো চায়ের দোকানও খোলা নেই। শুক্রবার, তারউপর দুপুর। তখন এই ছবিটা তুলি।

৫।

এক কাজে সায়দাবাদ দিয়েছি। বাসায় ফিরবো। দেখি রিকশা ভাড়া চাচ্ছে ১০০শ' টাকা। কিন্তু আসল ভাড়া ৫০/৬০ টাকা। আমি দশ টাকা দিয়ে বাসে করে চলে এসেছি। আমার ৯০ টাকা বেচে গেলো। জিনিসপত্রের যে দাম। হিসাব করেই চলা উচিৎ। তখন বাসে আমার সামনে সিটে দেখি এই পিচ্চি কান্না করছে। চোখ দিয়ে, নাক দিয়ে সমানে পানি পড়ছে। কপালে আবার একটা ইয়া বড় টিপ। এই টিপ তাকে খারাপ নজর থেকে বাঁচাবে। শিশুদের খারাপ নজর থেকে বাচানোর জন্য নবীজির হাদীস আছে।

৬।

ঢাকা শহর হলো- দুষ্টলোকদের শহর। রিকশার শহর। মানুষের শহর। যানজটের শহর। ভিক্ষুকের শহর। মসজিদের শহর। শুক্রবার তো গজব অবস্থা। এত লোক নামাজ পড়তে আসে যে মসজিদে জায়াগা হয় না। তখন রাস্তায় নামাজ পড়তে হয়। সারা সপ্তাহ খবর নাই। শুক্রবার হয়ে যায় নামাজী।

৭।

ছবিটা দেখুন। একটা সুখী পরিবার। আমার বন্ধু শাহেদ জামালের পরিবার। রাত তিনটায় বাচ্চা ঘুম থেকে উঠে বলে বাবা গল্প বলো। শাহেদ বিরক্ত হয় না। সে তার কন্যাকে গল্প বলে- ''তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। আমার ক্ষুধা পেয়েছে। আমি দোকান থেকে পাঁচ টাকার বিস্কুট কিনে খাচ্ছিলাম। তখন হঠাত চলে এলো তিনটা কুকুর। তাঁরা ঘেউ ঘেউ শুরু করে দিলো। কুকুর গুলো বিস্কুট খেতে চায়। আমি তাদের একটা বিস্কুট দিলাম। তাঁরা সেটা খেয়ে আরো বিস্কুট খেতে চায়। কিন্তু আমি আর তাদের বিস্কুট দিব না। আমি দিলাম ঝেড়ে একটা দৌড়। কুকুর গুলোও আমার পেছনে দিলো দৌড়। ভয়াবহ অবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×