
১। বাংলা একাডেমিকে বলতে হবে-
তাঁরা যেন প্রতি বছর একজন ব্লগারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পুরস্কার প্রদান করেন। যারা ব্লগিং করেন তাঁরা এই দেশের মানুষ। এই দেশের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে লিখেন। কাজেই বাংলা একাডেমির উচিৎ প্রতি বছর একজন ব্লগারকে সম্মান দেখানো। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সাথে দেখা করে সরাসরি তার হাতে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। কাজ না হলে সংস্কৃতি মন্ত্রীর কাছে যেতে হবে। খুব অসম্ভব কিছু না। লেগে থাকলেই সম্ভব হবে।
২। লেখালেখির জন্য- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর পুরস্কার প্রদান করে।
যেমন জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার। হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে হবে যারা প্রতি বছর একজন ব্লগারকে লেখালেখির জন্য যে কোনো একটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেবেন। অসম্ভব কিছু না। বাংলাদেশে পুরস্কার দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। তাছাড়া সামুতে সব শ্রেণীর ব্লগার আছে। কেউ না কেউ ঠিকই এগিয়ে আসবেন। যেমন ধরুন, আমি আমার মৃত বাবার নাম দিয়ে একটা পুরষ্কারের ব্যবস্থা করবো। প্রতি বছর একজন ব্লগারকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
৩। যে কোনো একটি টিভি চ্যানেলের সাথে আলাপ করতে হবে।
তাঁরা যেন প্রতি সপ্তাহে একজন ব্লগার, একজন রাজণিতিবিদ এবং একজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে টক শো করে। জানি টিভিতে আঘা ঘণ্টার অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা খরচ আছে। স্পন্সর পাওয়া যাবে। টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে। স্পন্সর এক লাখ টাকা পাওয়া গেলে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েও ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে। বহু লোক এভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সামুর কল্যাণের জন্য একদল নিবেদিত লোক লাগবে। প্রয়োজনে টাকা দিয়ে হলেও এরকম লোক নিয়োগ করতে হবে। সময় দিতে হবে। শ্রম দিতে হবে। তবেই না সফলতা আসবে।
৪। প্রতি বছর বইমেলা হয়।
বইমেলাতে অবশ্যই-অবশ্যই স্টল নিতে হবে। একমাস বইমেলা করলে খরচ বেশি হবে না। যদি বইমেলা নীতিমালায় কোনো ব্লগকে জায়গা দেওয়া না হয় তাহলে অন্য উপায় আছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্টল পাওয়া যাবেই। বাংলাদেশে সব সম্ভব। স্টলে বড় করে লেখা থাকবে- 'সামহোয়্যারইন ব্লগ'। একমাসে সারা বাংলাদেশে এক কোটি শিক্ষিত লোক বইমেলাতে আসেই। পত্রপত্রিকায় সবারই অনেক ভাই ব্রাদার আছে। তাদের দিয়ে প্রতি সপ্তাহে একজন ব্লগারকে নিয়ে লেখাতে হবে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপদগ্রস্তদের সাহায্য জন্য সামুর একটা টিম রাখতে হবে। তাঁরা সাহায্যের জন্য যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৫। দেশের গুনীজনদের দিয়ে সামুতে লেখাতে হবে।
যেমন ধরুন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। আওয়ামীলীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি লেখালেখি করেন। তারপর ধরুন, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী শাওন। এরকম লোকদে দিয়ে জোর করে লেখাতে হবে। লেখা আদায় করে নিতে হবে। প্রয়োজনে সম্মানি দিয়ে হলেও তাদের দিয়ে সামুতে লেখাতে হবে। পত্রিকা অফিস গুলো ঈদ সংখ্যা যেভাবে বের করে, ঠিক সেভাবে। এরকম লোক সামুতে লিখলে দেশের লোকজন খুঁজে খুঁজে তাদের লেখা পড়বে। এদের ধরে লেখা আদায় করা খুব কঠিন কিছু না। এরকম করতে পারলে- আলেক্সা র্যাংকিং সামু সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে। সামুর এডমিনের, সামুর টিমের তীব্র ইচ্ছা থাকলে সামু বদলে ফেলা সম্ভব। সারা বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দেওয়া সম্ভব। অবশ্য সামুর উন্নতির জন্য দুই হাতে টাকা খরচ করতে হবে, একথা সত্য।
৬। ১৬ ডিসেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ শে মার্চ- ইত্যাদি বিশেষ দিনে-
ব্লগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর জন্ম দিনে পত্রিকায় বড় করে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে হবে সামুর পক্ষ থেকে। যখন ক্রিকেট খেলা হবে, তখন সামুর ক্রিকেট প্রেমীরা মাঠে খেলা দেখতে যাবে সামুর ব্যানার নিয়ে। প্রবাসীরা প্রবাসে প্রতি বছর অনেক রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। অনুষ্ঠানে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কাউকে না কাউকে দাওয়াত করে নিয়ে যান। প্রবাসীরা যেন কমপক্ষে একজন ব্লগারকে দাওয়াত করে নিয়ে যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। সামুর ব্লগারদের নিয়ে প্রতি মাসে-
একটা নির্দিষ্ট জায়গায় কমপক্ষে একটা সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। যার নাম হবে 'ব্লগার সমাবেশ'। সমাবেশে দেশের একজন গুনীজনকে আমন্ত্রন করে আনতে হবে। এই সমাবেশে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও দেশের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার চুম্বক অংশ ছবিসহ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে ছাপানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আমি অল্প কয়েকটা উদাহরন দিলাম।
এরকম বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিলে- সামুতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অসম্ভব কিছু না। আমি নিজের চোখে দেখেছি, গ্রাম থেকে পোলাপান এসে একটা সাইট খুলে ঢাকা শহরে গাড়ি বাড়ি করে ফেলেছে। তাঁরা তেমন শিক্ষিতও না। টানা দুই বছর চেষ্টা চালিয়ে গেলে সামুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাছাড়া সামু থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




